নিউইয়র্ক ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩২ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়। ইইউ’র সাতটি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আজকে বৈঠক করা। তারা চায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশগ্রহণ করবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ইইউভুক্ত ৭ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

‘ইইউ আগামী নির্বাচন নিয়ে যা বলছে, এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আপনাদের মতামত কী’ এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার তার বক্তব্যে বলেছেন আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আজকে আমাদের বক্তব্যের কোনো ভিন্নতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন আমরা তাই প্রতিধ্বনি করেছি। একই সঙ্গে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ ছিল কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো কারও নির্দেশনা শুনবো না। আমাদের নির্দেশনা আমাদের সংবিধান এবং আমাদের গঠনতন্ত্র। যা আমরা ফলো করি। আমাদের দেশে ইলেকশনের যত রিফর্ম হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এবং তার উদ্যোগেই হয়েছে। এমনকি ইলেকশনের জন্য একটি আইনও সংসদে পাস হয়েছে। তিনি বলেন, যে দল সংলাপে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ উপেক্ষা করে।

এমনকি ইলেকশন কমিশন তাদেরকে (বিএনপি) দুইবার সংলাপে আমন্ত্রণ করেছে। তবে সংলাপের ব্যাপারে বিএনপি’র বরাবরই একটা অনাগ্রহ রয়েছে। আসলে মনের দিক থেকে বিএনপি ইলেকশনে যেতে ইচ্ছুক নয়। কারণ তারা জানে নির্বাচনে শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি কূটকৌশল অবলম্বন করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যে ইনফরমেশন পাচ্ছি তাতে বিএনপি ২০১৪-১৫ সালের মতো আবারো আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ওপর ভর করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে। বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতাটা ছিল তা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তিন জন কমিশনার সিলেক্টর ছিলেন তিনি। সেই ক্ষমতার বলে তিনি আইনগত ভাবে সার্চ কমিটি গঠন করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট লোকজনকে নিয়ে। তার মানে বাংলাদেশের ইতিহাসে ’৭৫ সালের পরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজেই আমরা ভালো একটা ইলেকশন চাই। ইলেকশন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে আমরা আরও ম্যাচিউর দেখতে চাই। সে লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন আমরা তা করছি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। সূত্র : মানবজমিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়। ইইউ’র সাতটি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আজকে বৈঠক করা। তারা চায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশগ্রহণ করবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ইইউভুক্ত ৭ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

‘ইইউ আগামী নির্বাচন নিয়ে যা বলছে, এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আপনাদের মতামত কী’ এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার তার বক্তব্যে বলেছেন আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আজকে আমাদের বক্তব্যের কোনো ভিন্নতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন আমরা তাই প্রতিধ্বনি করেছি। একই সঙ্গে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ ছিল কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো কারও নির্দেশনা শুনবো না। আমাদের নির্দেশনা আমাদের সংবিধান এবং আমাদের গঠনতন্ত্র। যা আমরা ফলো করি। আমাদের দেশে ইলেকশনের যত রিফর্ম হয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে এবং তার উদ্যোগেই হয়েছে। এমনকি ইলেকশনের জন্য একটি আইনও সংসদে পাস হয়েছে। তিনি বলেন, যে দল সংলাপে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ উপেক্ষা করে।

এমনকি ইলেকশন কমিশন তাদেরকে (বিএনপি) দুইবার সংলাপে আমন্ত্রণ করেছে। তবে সংলাপের ব্যাপারে বিএনপি’র বরাবরই একটা অনাগ্রহ রয়েছে। আসলে মনের দিক থেকে বিএনপি ইলেকশনে যেতে ইচ্ছুক নয়। কারণ তারা জানে নির্বাচনে শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি কূটকৌশল অবলম্বন করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যে ইনফরমেশন পাচ্ছি তাতে বিএনপি ২০১৪-১৫ সালের মতো আবারো আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের ওপর ভর করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে। বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতাটা ছিল তা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তিন জন কমিশনার সিলেক্টর ছিলেন তিনি। সেই ক্ষমতার বলে তিনি আইনগত ভাবে সার্চ কমিটি গঠন করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট লোকজনকে নিয়ে। তার মানে বাংলাদেশের ইতিহাসে ’৭৫ সালের পরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজেই আমরা ভালো একটা ইলেকশন চাই। ইলেকশন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে আমরা আরও ম্যাচিউর দেখতে চাই। সে লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন আমরা তা করছি। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। সূত্র : মানবজমিন