ঘূর্ণিঝড়ে ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বনবিভাগের ৬০টির অধিক পুকুরে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। ছবি: যুগান্তর
ঢাকা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এসব কমিটি গঠন করা হয়। সহকারী বন সংরক্ষক পদাধিকারী রেঞ্জ অফিসারদের নেতৃত্বে এ কমিটিগুলো কাজ করবে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বর এ তথ্য জানান।
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেন, বরাবরের মতো এবারও সুপার সাইক্লোন আম্পানে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবন বন বিভাগের ১০টির অধিক কাঠের জেটি এবং ৩০টির অধিক স্টাফ ব্যারাকের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বনবিভাগের ৬০টির অধিক পুকুরে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের গাছ গাছালির মধ্যে কেওড়া গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্থ অথবা ভেঙ্গে যাওয়া গাছপালা অপসারণ করা হবে না। সুন্দরবন নিজস্ব প্রাকৃতিক ক্ষমতা বলেই এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। শুধু ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো গুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। পুকুরগুলোর লবনাক্ত পানি অপসারণ করা হবে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কিছু পুকুর পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। (যুগান্তর)