নিউইয়র্ক ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২১ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে দেশে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের উদ্ভাবক দলের প্রধান অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বর্তমানে আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত নন। নাগরিকত্ব জটিলতায় পড়েছেন তিনি। জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ড. বিজন কুমার শীল যুক্ত না থাকলে গণস্বাস্থ্যের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে।
অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আমার আদি বাড়ি ও জন্ম বাংলাদেশে। তবে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছি। তিন বছরের চুক্তিতে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলাম। গত ১ জুলাই ওই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভিসার মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করেছি। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো সেটি বাড়ায়নি। পরে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ট্যুরিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করছি। এ অবস্থায় গণবিশ্ববিদ্যালয় বা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারি না। আর গণবিশ্ববিদ্যালয়ও আমার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখন ট্যুরিস্ট হিসেবে এখানে আছি। এ অবস্থায় এ দেশে গবেষণা, শিক্ষকতা বা অন্য কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারি না। বিষয়টি ফয়সালা হলে তখন দেখা যাবে।’ এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিজন কুমার শীলের মতো একজন বিজ্ঞানীকে আমার প্রতিষ্ঠানে রাখার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না বলে আগে আমি তাঁকে রাখতে পারিনি। এবার অ্যান্টিবডি কিট উদ্ভাবনে তিনি সব কিছু করেছেন। তাঁকে গণস্বাস্থ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তিনি এখনো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। আমার সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের বিরোধ বা দূরত্বও তৈরি হয়নি। কোনো মহল হয়তো বিষয়টি অন্যভাবে দেখছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাগরিকত্ব জটিলতায় গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেনের কাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এটি করা না গেলে গণস্বাস্থ্যের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আর সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে আরো অনেক বেশি। সরকার বিদেশি কিট আমদানির অনুমতি দিলেও আমাদের কিটের অনুমতি দিচ্ছে না।’
বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাব : ড. বিজন
আরেক খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট ‘জিআর কভিড-১৯ ডট ব্লোট’উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। গত ৩০ আগষ্ট রোববার এক গণমাধ্যমকে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, দেশের মানুষ যদি মনে করে আমি তাদের কোনো উপকারে আসিনি তবে আমি সিঙ্গাপুরে চলে যাব। এতে কোনো সমস্যা নেই আমার। আর দেশের মানুষ যদি চায় আমি তাদের পাশে থাকি তবে এখানে থাকার চেষ্টা করব। সরকারও আমাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, ড. বিজন কুমার শীলের জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি এখন এ দেশের নাগরিক নন। তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের সময় নিয়ম অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। এবং ওই দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। যে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে তার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো আবেদন জমা দিয়েছে গণবিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বে গবেষক ও অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে সুপরিচিত ড. বিজন কুমার শীল। ১৯৬১ সালে নাটোরের এক কৃষক পরিবারে জন্ম হয় এই বিজ্ঞানীর। (দৈনিক কালের কন্ঠ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়েছি

প্রকাশের সময় : ১২:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে দেশে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের উদ্ভাবক দলের প্রধান অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বর্তমানে আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত নন। নাগরিকত্ব জটিলতায় পড়েছেন তিনি। জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ড. বিজন কুমার শীল যুক্ত না থাকলে গণস্বাস্থ্যের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে।
অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আমার আদি বাড়ি ও জন্ম বাংলাদেশে। তবে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছি। তিন বছরের চুক্তিতে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলাম। গত ১ জুলাই ওই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভিসার মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করেছি। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো সেটি বাড়ায়নি। পরে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ট্যুরিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করছি। এ অবস্থায় গণবিশ্ববিদ্যালয় বা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারি না। আর গণবিশ্ববিদ্যালয়ও আমার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখন ট্যুরিস্ট হিসেবে এখানে আছি। এ অবস্থায় এ দেশে গবেষণা, শিক্ষকতা বা অন্য কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারি না। বিষয়টি ফয়সালা হলে তখন দেখা যাবে।’ এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিজন কুমার শীলের মতো একজন বিজ্ঞানীকে আমার প্রতিষ্ঠানে রাখার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না বলে আগে আমি তাঁকে রাখতে পারিনি। এবার অ্যান্টিবডি কিট উদ্ভাবনে তিনি সব কিছু করেছেন। তাঁকে গণস্বাস্থ্য থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তিনি এখনো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। আমার সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের বিরোধ বা দূরত্বও তৈরি হয়নি। কোনো মহল হয়তো বিষয়টি অন্যভাবে দেখছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাগরিকত্ব জটিলতায় গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেনের কাজ অনেক পিছিয়ে গেছে। এটি করা না গেলে গণস্বাস্থ্যের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আর সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে আরো অনেক বেশি। সরকার বিদেশি কিট আমদানির অনুমতি দিলেও আমাদের কিটের অনুমতি দিচ্ছে না।’
বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাব : ড. বিজন
আরেক খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট ‘জিআর কভিড-১৯ ডট ব্লোট’উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। গত ৩০ আগষ্ট রোববার এক গণমাধ্যমকে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, দেশের মানুষ যদি মনে করে আমি তাদের কোনো উপকারে আসিনি তবে আমি সিঙ্গাপুরে চলে যাব। এতে কোনো সমস্যা নেই আমার। আর দেশের মানুষ যদি চায় আমি তাদের পাশে থাকি তবে এখানে থাকার চেষ্টা করব। সরকারও আমাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, ড. বিজন কুমার শীলের জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি এখন এ দেশের নাগরিক নন। তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের সময় নিয়ম অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। এবং ওই দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। যে কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে তার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো আবেদন জমা দিয়েছে গণবিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বে গবেষক ও অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে সুপরিচিত ড. বিজন কুমার শীল। ১৯৬১ সালে নাটোরের এক কৃষক পরিবারে জন্ম হয় এই বিজ্ঞানীর। (দৈনিক কালের কন্ঠ)