আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করছে বাংলাদেশ সরকার : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
- প্রকাশের সময় : ০৫:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
- / ৩৬ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দেয়া নিজস্ব প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার, এমনকি ভঙ্গ করছে আন্তর্জাতিক নিয়মও। এমনটাই দাবি করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশ পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করেছে।’
ওই বিবৃতিতে সংস্থাটির ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, অনেক বাংলাদেশি বলেন যে অংশগ্রহণ ও ভোটদানকে নস্যাৎ করার জন্যই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এর ফলে তারা সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জোর দেয়া উচিত। বিরোধীদের টার্গেট করা, হয়রানি করা এবং কারাগারের আড়ালে নির্বাচনকে সুষ্ঠু হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার হাজার বিরোধীদলীয় সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দলীয় কার্যালয় সিলগালা করেছে। সরকার গত বছর ধরে ক্রমবর্ধমানভাবে নির্বিচারে গণগ্রেফতার করেছে যা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলকে দমন করার একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।
সংস্থাটির ভাষ্য, ২৮ অক্টোবর সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় সমর্থক সহিংসতায় লিপ্ত হয়, কয়েক ডজন সাংবাদিকসহ আহত হয় শতাধিক। উভয় পক্ষই তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করেছে। তবে, বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু করার জন্য সমাবেশে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত তাদের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানানো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাক্ষাৎকারে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ‘পুলিশ ভিড়ের উপর অতিরিক্ত রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। সরকারের উচিত জনসমক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীকে হিংসাত্মক বিক্ষোভে সাড়া দেওয়ার সময় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা বলপ্রয়োগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জাতিসংঘের মৌলিক নীতিমালা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/নাছরিন