নিউইয়র্ক ০১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আদালতে আমি একা কেন? শেখ হাসিনা কোথায়?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৫১৮ বার পঠিত

ঢাকা: আদালতে শুধু আমি একা কেন? এ মামলাতে তো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসামী ছিলেন, তাহলে তিনি কোথায়? গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে এই প্রশ্ন তোলেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আদালতকে বলেন, নাইকো দুর্নীতিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও জড়িত ছিলেন। উনিও আসামী ছিলেন। আমি শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করি। তাহলে শুধু আমার একার বিচার হচ্ছে কেনো? শেখ হাসিনার বিচার কেনো হচ্ছে না? উনাকে কেন আদালতে নেওয়া হচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার প্রশ্নের জবাবে আদালত বলেন, তিনি এখন এই মামলার পার্ট না। তাই উনি আসেননি। পরে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চতর আদালত এ মামলা থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তাই তিনি এখন আর এ মামলার পার্ট না। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও মামলাটি খারিজের চেষ্টা করেন । কিন্তু মামলার মেরিট থাকায় হাইকোর্ট তা বিচারিক আদালতে পাঠান। পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন আদালত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। এদিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি ওই মামলার শুনানিতে হাজির করা হয়। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শারীরিকভাবে অসুস্থ জানিয়ে শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য আদালতকে অনুরোধ জানান। কিন্তু এর বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। পরে মামলার আংশিক যুক্তিতর্ক করেন মওদুদ আহমদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

উল্লেখ্য, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’মাধ্যমে আসামীরা রাষ্ট্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামী পক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালত তা মঞ্জুর করেন। (দৈনিক সংগ্রাম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

আদালতে আমি একা কেন? শেখ হাসিনা কোথায়?

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ নভেম্বর ২০১৮

ঢাকা: আদালতে শুধু আমি একা কেন? এ মামলাতে তো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসামী ছিলেন, তাহলে তিনি কোথায়? গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে এই প্রশ্ন তোলেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি আদালতকে বলেন, নাইকো দুর্নীতিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও জড়িত ছিলেন। উনিও আসামী ছিলেন। আমি শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করি। তাহলে শুধু আমার একার বিচার হচ্ছে কেনো? শেখ হাসিনার বিচার কেনো হচ্ছে না? উনাকে কেন আদালতে নেওয়া হচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার প্রশ্নের জবাবে আদালত বলেন, তিনি এখন এই মামলার পার্ট না। তাই উনি আসেননি। পরে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চতর আদালত এ মামলা থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তাই তিনি এখন আর এ মামলার পার্ট না। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও মামলাটি খারিজের চেষ্টা করেন । কিন্তু মামলার মেরিট থাকায় হাইকোর্ট তা বিচারিক আদালতে পাঠান। পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন আদালত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। এদিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি ওই মামলার শুনানিতে হাজির করা হয়। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শারীরিকভাবে অসুস্থ জানিয়ে শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য আদালতকে অনুরোধ জানান। কিন্তু এর বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। পরে মামলার আংশিক যুক্তিতর্ক করেন মওদুদ আহমদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

উল্লেখ্য, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’মাধ্যমে আসামীরা রাষ্ট্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামী পক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালত তা মঞ্জুর করেন। (দৈনিক সংগ্রাম)