ঢাকা ডেস্ক : বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করছে। আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তির সেবা পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করবেন।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বিপ্লবের ক্ষেত্রে অর্জিত সফলতার ফলে পৃথিবীর অনেক দেশেরই বাংলাদেশের সাথে তাল মেলানোর সুযোগ নেই। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশ পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম প্রযুক্তি ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা উদ্ভাবন ও প্রয়োগে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীতে ডিজিটাল বিপ্লব বাংলাদেশ থেকেই সূচিত হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘ফাইভ-জি: দ্য ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ শীর্ষক সেমিনারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালুর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রথমে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি কার্যালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে ফাইল-জি সেবা চালু হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই সেবা দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্ভর এলাকায় বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকের মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকার ও এন্টারপ্রাইজ এবং ইউটিলিটি সার্ভিস প্রোভাইডাররা আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। ফাইল-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগত মানের ভয়েস কল ও ফোর-জি হতে ২০ গুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে।
কাদের বলেন, ফাইভ-জির মাধ্যমে চালকবিহীন গাড়ি চলবে রাস্তায়। ফাইভ-জি চালু হলে কল ড্রপের সংখ্যা কমে যাবে বলে আমরা আশা করছি। মানুষ ও ডিভাইসের মধ্যে তৈরি হবে জিরো ডিসটেন্স কানেক্টিভিটি। বিগডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে ফাইভ-জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফাইভ-জি চালু হলে আমূল পরিবর্তন আসবে চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিংবা অগমেন্টেড রিয়েলিটির এক্সপেরিয়েন্স নেয়া ফাইভ-জির কল্যাণে আরও সহজ হয়ে যাবে। -বাসস