আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি : টুকিটাকি

- প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
- / ১৭০ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন জেলা থেকে ওঠে এসেছে নতুন মুখ, সিসি কমিটির সদস্য ও সাবেক কমিটির বেশ কয়েকজন। কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। নতুন কমিটিতে বাদ পড়েছেন যুবলীগের গত কমিটির বিতর্কিত নেতারা। পাশাপাশি বয়স ৫৫ বছরের বেশি হওয়ায় বাদ পড়েছেন ৭০ জনের বেশি। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে সংগঠনটির সভাপতি পদে আসেন শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগের বড় দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাঁচ সদস্য
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের বড় দায়িত্বে রয়েছেন ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের পাঁচ সদস্য। যুবলীগ নিয়ে নানা বিতর্কের পর এবার জাতির জনকের পরিবারের সদস্যরা নেতৃত্বে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
গত বছর ২৩ নভেম্বর জমকালো কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ সংগঠনের চেয়ারম্যান হন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। যুবলীগের কমিটিতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের চার উদিয়মান রাজনৈতিক মুখের স্থান হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ছাড়াও এদের মধ্যে রয়েছেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, শেখ ফজলে ফাহিম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম ও শেখ সোহেল।
সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাগ্নে ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। পরশের ছোট ভাই ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে। তার ছোট ভাই যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম।
শেখ ফজলে ফাহিম যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের আপন চাচাতো ভাই। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল হক মনির আপন ছোট ভাই হন এই শেখ ফজলে ফাহিমের বাবা শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আবার বঙ্গবন্ধু পরিবারের অপর সদস্য যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এমপি নিক্সনের দাদি ফাতেমা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আপন বড় বোন। সেই হিসাবে তিনি বঙ্গবন্ধুর নাতি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছোট ছেলে শেখ সোহেলও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন।
যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশ কিছু নতুন মুখ
সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি স্থান পেয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখ। শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ কমিটি ঘোষণা করেন। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার পদেও এসেছে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুরের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এছাড়াও এ পদে রয়েছেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। একই পদে আরও রয়েছেন শেখ হেলালের ছোটভাই শেখ সোহেল উদ্দিন এবং সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় বীর কর্নেল অব. শওকত আলীর বড় ছেলে ডা. খালেদ শওকত আলী।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শেখ সেলিমের ছোট ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম। নতুনদের মধ্যে যুবলীগের আইন সম্পাদকের পদে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়িদুল হক সুমন। কমিটিতে সাংগঠনিক পদ পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
ছবিতে (বাঁ থেকে) ডা. খালেদ শওকত আলী, ডা. মো. ফরিদ রায়হান, ডা. হেলাল উদ্দিন ডা. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া রাফি। ফাইল ছবি
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৬ চিকিৎসক
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডা. খালেদ শওকত আলী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আরও ৫ জন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ডা. মো. ফরিদ রায়হান, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডা. হেলাল উদ্দিন ও সহসম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া রাফি।
যুবলীগের নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব। তিনি বলেন, যুবলীগ হবে মানবিক যুবলীগ। চিকিৎসক হিসেবে আমি প্রথম মিটিংয়েই একটি প্রস্তাবনা দেব। আমি চাই যুবলীগের কেন্দ্রীয়ভাবে একটি চিকিৎসক সেল থাকবে। ওই সেলের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সবাই ফ্রি চিকিৎসা পাবে। এছাড়া আমরা অনলাইন টেলিসার্ভিস চালু করতে চাই। যুবলীগের উদ্যোগে ফ্রি অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
ডা. খালেদ শওকত আলী রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ১৯৯৪ সালে এমবিবিএস পাস করেন। পরে তিনি ময়মনিসংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে আশিয়ান মেডিকেল কলেজে সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে শরীয়তপুরের নড়িয়ার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় তিনি হাসপাতাল তৈরি করেছেন।
নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যুবলীগের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে ভূমিকা পালন করব’। ডা. হেলাল উদ্দিন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে পাস করেন। তিনি ঢাকা ডেন্টালের ডি ৩৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত রয়েছেন।
যুবলীগের আইন সম্পাদক হলেন ব্যারিস্টার সুমন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। গত বছর ২৩ নভেম্বর জমকালো কংগ্রেসের মধ্যে দিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সামাজিক নানা সমস্যা নিয়ে ফেসবুক লাইভ করে আলোচিত ব্যারিস্টার সুমন। ফেসবুকে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে সরব থাকেন তিনি। এছাড়া ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (আইসিটি) মামলা করে সুমন।
যুবলীগের পদ পাওয়ায় সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। যুবলীগে জায়গা করে নেওয়া সুমন একদিকে শুভেচ্ছা বার্তা পেলেও অপরদিকে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। যুবলীগে সুমনের অবস্থান প্রকাশ পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের শেয়ার করা প্রতিবেদনে আসতে শুররুকরেছে নেতিবাচক মন্তব্য। কেউকেউ বলছেন, কমিটিতে পদ পাওয়ায় লাইভে আসা বন্ধ হয়ে যাবে সুমনের। আবার কেউ কেউ বলছেন, পদ পাওয়ার মাধ্যমে সুমনের এতদিনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।
তবে সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জানিয়েছেন, যুবলীগের কমিটিতে নাম থাকা কোন সুবিধা নয় বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইয়ের সম্মান পাহারার দায়িত্ব নেয়া। তবে তার এমন দাবি সত্তে¡ও ফেসবুক কমেন্টেসে সুবঙ্কিম কল্লোল নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘উনার লাইভে আসা বন্ধ হয়ে গেলো।’
মোহাম্মদ আবু সায়েদ নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘ফুটবলের সাথে মাথার খেলাও বেশ ভালো পারে। আশা করি এখন শুধু গুণগান গাইবেন।’
রহম আলী নামের একজন বলেছেন, ‘ওরে বাটপার শেষ বেলায় ধরা খেলি।’ মো. স্বপন মন্তব্য করেছেন, ‘যে মুজিব কোটের প্রশংসা করবে এবং গায় দিবে। সে তো পদ পাইবেই।’
এদিকে সুমন খান মন্তব্য করেছেন, ‘ক্ষমতা পেলে বেশিরভাগ লোকই ন্যায়নীতির কথা ভুলে যায়।’ আর আবু বক্কর সিদ্দীক বলেছেন, ‘এই পদটার জন্যই তো সুমন সাহেব এতদিন লাইভ এ আসতো, সে যে আসলে ধান্দাবাজ মানুষ তা বুঝে গেছে।’
তবে নানান সমালোচনার মধ্যেই নিজের দায়িত্ব পালন করতে চান সুমন। ফেসবুকে সুমন লিখেছেন, দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।’
যুবলীগের নতুন দায়িত্ব পেলেন নিক্সন চৌধুরী
সদ্য ঘোষিত আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। শনিবার বিকেলে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন।
এর আগে গত বছর ২৩ নভেম্বর জমকালো কংগ্রেসের মধ্যে দিয়ে গঠিত হয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। আর কমিটির শীর্ষ পদে আসে নতুন মুখ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র থেকে প্রর্থী হয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
যুবলীগের নবগঠিত কমিটিতে সিরাজগঞ্জের ৭ নেতা
যুবলীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার ৬ নেতা। এ ছাড়া সদ্য ঘোষিত যুবলীগের জাতীয় কমিটিতেও সিরাজগঞ্জের একজন নেতা স্থান পেয়েছেন। এবারই প্রথম সিরাজগঞ্জের এতো সংখ্যক নেতা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন। শনিবার রাতে ঘোষিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকায় দেখা যায় সিরাজগঞ্জ থেকে ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ফিরোজ আল আমিন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন। তিনি বিগত কমিটিতে যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার পুরস্কার স্বরূপ তাকে পদন্নোতি দিয়ে প্রেসিডয়াম সদস্য করা হয়েছে। সাজ্জাদ হায়দারের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায়।
উপ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফিরোজ আল আমিন। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায়। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুর রহীম নির্বাহী সদস্য হয়েছেন। তিনি ১৯৯৬-৯২ সালে শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। ২০১২-২০১৩ সালে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাম্মী খান। তিনি ছোটবেলা থেকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বড় হয়েছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জেল জুলুম সয়েছেন।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নূর হোসেন সৈকত এবং আসাদুল্লাহ তুষারও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সদ্য ঘোষিত যুবলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী। বাপ্পী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক/যুগান্তর/কালের কন্ঠ)