নিউইয়র্ক ১২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন জয়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৮০২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি পুরস্কার পেয়েছেন। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরের কাছে ইউএন প্লাজা হোটেল মিলেনিয়ামে প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জয়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিশ্বের সড়কে পৌঁছে দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন তিনি। জয়ের এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে মা-ছেলে দু’জনেই আবেগপ্রবণ হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড অর্গনাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কমপিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাভেনের স্কুল অব বিজনেস যৌথভাবে এ পুরস্কার দেয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশন উপলক্ষে এ বছর চালু হওয়া এই পুরস্কারটি এখন থেকে বার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে দেয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান ও প্রতিযোগিতামূলক টেকসই উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে আইসিটির প্রতি তার অঙ্গীকার ও অসাধারণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো এ পুরস্কারের জন্য জয়কে বেছে নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জয়ের মা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জয়ের কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার চালাতে শিখেছি। এজন্য সে আমার শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তির সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র মেহনতি মানুষ থেকে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তার মন্ত্র এসেছে জয়ের কাছ থেকে। এমন সন্তানের মা হতে পেরে আমি গৌরববোধ করছি। শেখ হাসিনা বলেন, একজন মা হিসেবে আমার ছেলে তার কাজের জন্য স্বীকৃতি পাচ্ছে দেখে আমি গর্বিত। সে আমাদের ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। তেমনি এক সময়ে জয়ের জন্ম। সে সময় আত্মীয়-স্বজন কাউকে পাশে পাইনি। আর জয় যখন হার্ভার্ডে, তখনও বাংলাদেশে জরুরি অবস্থার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে নিজের বন্দি থাকার কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ পুরস্কারের প্রবর্তকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকার স্বীকৃতি প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের অদম্য কর্মস্পৃহার প্রতিই সম্মান বলে মনে করছি।
পুরস্কার নেয়ার পর আবেগ আপ্লত জয় বলেন, ‘আমার মা তার কষ্টের কাহিনী বললেন, আমার জন্মের সময়ের অসহনীয় দুর্দশার দিনগুলো তিনি ভোলেননি।’ পুরস্কার পেয়ে সম্মানিতবোধ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, এ পুরস্কারের কৃতিত্ব একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও। তারা সবাই একযোগে কাজ করছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে। তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সম্ভাবনাময় শক্তি দেশের সব তরুণের উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রধান, রাষ্ট্রদূত, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও খ্যাতিমান তারকারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। নিজ সমাজ ও পেশার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর বিশ্বে ২৫০ জন তরুণ নেতৃত্বকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ভারতের ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটনেও কম্পিউটার প্রকৌশল পড়েন জয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। (দৈনিক যুগান্তর)
ছবি: আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হলিউড অভিনেতা রবার্ট ডেভি – পিআইডি

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন জয়

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি পুরস্কার পেয়েছেন। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরের কাছে ইউএন প্লাজা হোটেল মিলেনিয়ামে প্রখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জয়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিশ্বের সড়কে পৌঁছে দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন তিনি। জয়ের এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে মা-ছেলে দু’জনেই আবেগপ্রবণ হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড অর্গনাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কমপিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাভেনের স্কুল অব বিজনেস যৌথভাবে এ পুরস্কার দেয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশন উপলক্ষে এ বছর চালু হওয়া এই পুরস্কারটি এখন থেকে বার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে দেয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান ও প্রতিযোগিতামূলক টেকসই উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে আইসিটির প্রতি তার অঙ্গীকার ও অসাধারণ নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো এ পুরস্কারের জন্য জয়কে বেছে নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জয়ের মা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জয়ের কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার চালাতে শিখেছি। এজন্য সে আমার শিক্ষক। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তির সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র মেহনতি মানুষ থেকে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তার মন্ত্র এসেছে জয়ের কাছ থেকে। এমন সন্তানের মা হতে পেরে আমি গৌরববোধ করছি। শেখ হাসিনা বলেন, একজন মা হিসেবে আমার ছেলে তার কাজের জন্য স্বীকৃতি পাচ্ছে দেখে আমি গর্বিত। সে আমাদের ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। তেমনি এক সময়ে জয়ের জন্ম। সে সময় আত্মীয়-স্বজন কাউকে পাশে পাইনি। আর জয় যখন হার্ভার্ডে, তখনও বাংলাদেশে জরুরি অবস্থার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে নিজের বন্দি থাকার কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ পুরস্কারের প্রবর্তকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকার স্বীকৃতি প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের অদম্য কর্মস্পৃহার প্রতিই সম্মান বলে মনে করছি।
পুরস্কার নেয়ার পর আবেগ আপ্লত জয় বলেন, ‘আমার মা তার কষ্টের কাহিনী বললেন, আমার জন্মের সময়ের অসহনীয় দুর্দশার দিনগুলো তিনি ভোলেননি।’ পুরস্কার পেয়ে সম্মানিতবোধ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, এ পুরস্কারের কৃতিত্ব একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও। তারা সবাই একযোগে কাজ করছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে। তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সম্ভাবনাময় শক্তি দেশের সব তরুণের উদ্দেশ্যে এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রধান, রাষ্ট্রদূত, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও খ্যাতিমান তারকারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। নিজ সমাজ ও পেশার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর বিশ্বে ২৫০ জন তরুণ নেতৃত্বকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ভারতের ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটনেও কম্পিউটার প্রকৌশল পড়েন জয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। (দৈনিক যুগান্তর)
ছবি: আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হলিউড অভিনেতা রবার্ট ডেভি – পিআইডি