অবশেষে রায়হানের খুনি এসআই আকবর গ্রেফতার

- প্রকাশের সময় : ০৪:০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
- / ৫৪ বার পঠিত
ফয়সাল আমীন: অবশেষে গ্রেফতার সিলেটে রায়হান হত্যার প্রধান হোতা আকবর। পালিয়ে থাকার দীর্ঘ ২৬ দিন পর তাকে গ্রেফতারে সমর্থ হয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ। সীমান্তবর্তী কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে সোমবার (৯ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রথমে ভারতীয় এলাকায় খাসিয়াদের হাতে পাকড়াও হয় সে। বিজিবি হয়ে কানাইঘাট থানায় তাকে সোর্পদ করার পর কানাইঘাট থানা পুলিশ হয়ে সিলেট জেলা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় আকবরকে। সেখানে পূর্ব নির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। আকবরকে দেখতে সন্ধ্যা থেকে জেলা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। সেখানে ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান মুখর হয়ে যায়।
আকবরকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়-একটি পাহাড়ি ছড়ায় পাথরের উপর আকবর হোসেনকে বসিয়ে রেখে হাত-পা বাঁধছেন কয়েকজন যুবক। একপর্যায়ে, আকবর জানান সিনিয়র এক অফিসারের পরামর্শে পালান তিনি। তবে রায়হান হত্যা নিয়ে এ ভিডিও দ্বিমুখী বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। আকবর গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে মুখ রক্ষা হয়েছে সিলেট মেট্রো পুলিশের। এছাড়া সোমবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেনের সাথে সাক্ষাত করেছেন রায়হানের আত্মীয়-স্বজন।
পাত্তা মিলেছে, ধরা আকবর: রায়হান হত্যার ঘটনার পর লাপাত্ত হয়ে যায় বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আকবর ভ‚ঁইয়া। তার এমন পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। উত্তাল হয়ে উঠে সিলেট। বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামে রায়হানের পরিবারসহ সচেতন সিলেটবাসী। এর মধ্যে পার হয়ে যায় প্রায় ২৬ দিন। কিন্তু আকবর থেকে যায় অধরা। কিন্তু সব কিছুর শেষ আছে, তাই সত্য হয়ে গ্রেফতার হয়েছে আকবর। তাকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রথমে সে জনতার হাতে আটক হন। পরে পুলিশ দ্রæত গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ফেসবুকে আপলোডকৃত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে প্রথমে পাকড়াও হয় আকবর। এ সময় আকবর হোসেন হাতজোড় করে কাঁদছিলেন। এবং তার হাত-পা না বাঁধার জন্য অনুরোধ করছিলেন।
যদিও সিলেটের এএসপি আব্দুল করিম জানিয়েছেন, ভারতে পালানোর সময় কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ সীমান্ত এলাকা থেকে আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে অবশ্য গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছিলো আকবর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছেন। এরপর আকবরকে গ্রেফতারে নানা কৌশল অবলম্বন করেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার এসপি ফরিদ উদ্দিন। তার নিজস্ব নেটওয়ার্কের জাল সীমানার ওপারে বিস্তার করেন তিনি। সেই জালে অত্যন্ত সু-কৌশলে আটক করা হয় আকবরকে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী খাসিয়া পুঞ্জিতে নিজস্ব সোর্স নিয়োগ করেন এসপি ফরিদ। এ সোর্সের মাধ্যমেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয় আকবরকে।
আকবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, দাবি পুলিশ সুপারের: সিলেট জেলার পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, পুলিশের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মাধ্যমে আকবরকে সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ৯টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি আরও বলেন, সোমবার আমাদের কাছে একটি তথ্য ছিল সে (আকবর) ভারতে পালিয়ে যাবে। তাই আমরা সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি শুররু করেছিলাম। পরে তাকে গ্রেফতার করি।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে ভারতের খাসিয়ারা আকবরকে আটক করেছে- এমন প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ভিডিও করা হয়নি। ওই ভিডিও কে, কোথায় করেছে তা আমাদের জানা নেই। এরকম কিছু দেখিনি। তবে তাকে জেলা পুলিশের কানাইঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কেউ আকবরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, কেউ হস্তান্তর করেনি। কিন্তু আমরা পুলিশের সকল কাজে জনগণের সহযোগিতা নিই। তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের কিছু বন্ধু সহযোগিতা করেছেন। প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ।
আকবরের সহযোগী নোমানকে ধরতে অভিযানে পুলিশ: বন্দরবাজার ফাঁড়ির সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব ও আকবরকে পালাতে সহায়তা করা কথিত সাংবাদিক নোমানকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নোমানকে গ্রেফতার করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে তার বাবা, মা ও স্ত্রীকে আমরা জিজ্ঞসাবাদ করেছি। এমনকি যারা নোমানকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবার ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আছে।
গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে আকবর: রায়হান মৃত্যুর প্রায় একমাসের মাথায় সোমবার দুপুরে সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত (সাময়িক বরখাস্তকৃত) বন্দর ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ আকবর হোসেন ভ‚ঁইয়াকে। প্রথমে জনতার হাতে আটক হন তিনি। পরে পুলিশ দ্রæত গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ফেসবুকে আপলোডকৃত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে প্রথমে পাকড়াও হন আকবর। এসময় আকবর হোসেন হাতজোড় করে কাঁদছিলেন। এবং তার হাত-পা না বাঁধার জন্য অনুরোধ করছিলেন। কেঁদে কেঁদে আকবর বলছিলেন- আমি রায়হানকে মারিনি। অসুস্থ হওয়ার পর আমি তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমি বাঁচব না- বলেও এসময় অনুনয় করতে দেখা যায় আকবরকে।
এ সময় ভিডিওতে দেখা যায়, আকবরের হাত-পা বাঁধতে বাঁধতে যুবকরা বলছেন- মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য সে মানুষকে মেরে ফেলেছে। ওই যুবকরা বাংলায় কথা বললেও তাদের কণ্ঠস্বর ছিলো অবাঙালিদের মতো। এ সময় তাদের একজন আরেকজনকে একটি বাংলাদেশি সিগারেটের একটি প্যাকেট দিয়ে বলতে শোনা যায়- নে তুই তো বাংলাদেশি সিগারেট পাস না। এরপর রায়হানের হাত-পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে তাকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসেন ওই যুবকরা। ওই ভিডিও দেখে কানাইঘাটের স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, ভিডিওর যুবকদের কথাবার্তা ও এলাকা দেখে বোঝা গেছে, তারা ভারতের আদিবাসী খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোক।
আকবর নিয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিও: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে আকবরের একটি ভিডিও। ধারণা করা হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে জনতার হাতেই সে আটক হয়েছিল। আটকের পর রশি কোমরে দিয়ে বেধে রাখা হয় তাকে। আকবরকে ঘিরে রাখা আদিবাসী খাসিয়া ভাষাভাষী মানুষের কথোপকথন। সেই চিত্রটি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করা হয়। কিন্তু রেকর্ডকৃত ভিডিওতে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন আকবর।
প্রথমে বলেছেন তিনি খুনি না একা মারেননি আকবরকে, তারপর বলেন ৫/৬ জন রিমান্ড দিয়েছিল রায়হানকে। কিন্তু ভিডিয়ের শেষাংশে দেখা যায়, পুরানো ছকে আবারও বলছেন, পাবলিক মারছে, তাকে হাসপাতলে পাঠিয়েছেন, সেখানে মারা গেছে রায়হান। এমনকি এক সিনিয়র অফিসারের পরামর্শেই পালিয়েছেন বলে বক্তব্য দেন আকবর। ভিডিও রেকর্ডের শুরুতেই আকবর বলেন, আমি খুনি না, আমি একা মারিনি। রিমান্ড দিয়েছিল ৫/৬ জন, আফসোস করে বলেন এজন্য মরে গেছে ভাই।
এ সময় বির্মষ দেখাচ্ছিল আকবরকে, নায়কোচিত ক্লিন সেভ মুখে দাড়ি গজিয়েছে তার। একজন প্রশ্ন করে কে মারছে, আকবর উত্তরে বলেন একটা ছেলে। আবার প্রশ্ন বয়স কত, আকবরের উত্তর বয়স ৩২। ফের প্রশ্ন কিতা জুলুম করছিল, আকবর বলেন ছিনতাই করেছিল। পুনরায় প্রশ্ন তার জান নিয়েছ, তখন আবকর বলেন তার জান নেই নাই, পাবলিক মারছে, আমরা হাসপাতাল নিছি, ওখানে মারা গেছে। এরপর অন্য একজনের প্রশ্ন করেন, তুমি কিতার জন্য ভাগছো? উত্তরে আকবর বলেন আমি ভাইগ্যা আসছি যে কারণ, সাসপেন্সন করছে নিউজ হতে পারে, ২ মাস পর ঠান্ডা হলে আবার হ্যান্ডেল করা যাবে, অন্য কোন কারণে ভাগি নাই।
এরপর কিছুক্ষণ ভিডিওতে আশপাশে স্থানীয় খাসিয়াদের কথোপকথন চলে, একটু পর আবার আকবর বললেন, সিনিয়র এক অফিসার আমাকে বলেন তুমি আপাতত চলে যাও, কয়দিন পর আইসো, পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে। এরপর আকবরকে একজন প্রশ্ন করে ইন্ডিয়া কেমনে আইলা, উত্তরে আকবর বলে ইন্ডিয়ার এক পরিবারের কাছে সে ছিল, সেই পরিবার সীমান্তবর্তী ভোলাগঞ্জে তার পরিচিত।
এক সিনিয়র অফিসারের পরামর্শে পালায় আকবর: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকবর গ্রেফতার পূর্ব মুহুর্তে প্রকাশিত ভিডিওতে বলেন, সিনিয়র এক অফিসার আমাকে বলেন তুমি আপাতত চলে যাও, কয়দিন পর আইসো, পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে।
এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সিনিয়র পুলিশ অফিসার কে সে? ইতোপূর্বে পুলিশ সদর দফতরের একটি তদন্ত দল আকবরকে পালাতে সহায়তাকারী শনাক্তে সিলেটে এসেছিলেন। তাদের তদন্তে এক সহায়তাকারী না প্রকাশ পায়, সেই সহায়তাকারী ছিল বন্দর বাজার ফাঁড়ির এসআই হাসান। তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।
রায়হানের মৃত্যু নিয়ে দ্বিমুখী বক্তব্য আকবরের: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে আকবরের একটি ভিডিও। রেকর্ডকৃত সেই ভিডিওতে রায়হানের মৃত্যু নিয়ে দ্বিমুখী বক্তব্য দিয়েছেন আকবর। প্রথমে বলেছেন তিনি খুনি না একা মারেননি আকবরকে, তারপর বলেন ৫/৬ জন রিমান্ড দিয়েছিল রায়হানকে। কিন্তু ভিডিওয়ের শেষাংশে দেখা যায়, পুরানো ছকে আবারও বলছেন, পাবলিকে মারছে, তাকে হাসপাতলে পাঠিয়েছেন, ওখানে মারা গেছে ও।
জেলা পুলিশ কার্যালয়ে উৎসুক জনতা, ফাঁসির দাবিতে চলছে শ্লোগান: সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আকবরকে নিয়ে আসা হয়েছে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। তার গ্রেফতারের খরব শোনে নগরীর বন্দর বাজারস্থ এসপি কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেছেন উৎসুক জনতা। এ সময় শতাধিক মানুষ আকবরের ফাঁসি চেয়ে সেøাগান দেয়। সিলেটের সচেতন ছাত্র সমাজ নামে একটি সংগঠন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত রায়হান স্বজনদের : নিহত রায়হানের স্বজনরা ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে সোমবার সকালে সাক্ষাৎ করেছেন। মন্ত্রীর দফতরে এ সাক্ষাতে রায়হান হত্যা মামলার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন। এ হত্যার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন রায়হানের চাচা মইনুল ইসলাম কুদ্দুস, ভগ্নীপতি মোফাজ্জেল আলী, মামাত ভাই শওকত আলী এবং রায়হানের আত্মীয় ও সিলেট মহানগরের কাউন্সিলর মোকলেস রহমান কামরান এবং ব্যারিস্টার ফয়েজ আহমেদ। এছাড়া ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গাজী জাকির হোসেন।
জনতার সামনে প্রকাশ্যে বিচারের দাবি রায়হান পরিবারের: আকরের গেগ্রফতারে আপাতত রায়হান পরিবারের দাবি পূরণ হয়েছে। সেকারণে স্বস্তি ও সন্তুষ্ট পুত্র শোকে শোকাহত রায়হানের মা সালমা বেগম ও রায়হানের বিধবা স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী। তারা জানিয়েছে, আকবরকে ধরা পড়ায় তারা খুশি। আমরা চাই সঠিক বিচার হোক। রায়হানকে যেভাবে আকবর ও তার সহযোগিরা অত্যাচার করে মেরেছেন, প্রয়োজনে জনতার সামনে আকবরসহ তাদের এভাবে বিচার করে মারা হোক। আকবরের সঙ্গে তার সকল সহযোগীরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। (দৈনিক ইনকিলাব)