নিউইয়র্ক ০১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অবশেষে ফলাফল ঘোষণা : জাকসু’র ভিপি জিতু, জিএস মাজহার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৫ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: অবশেষে নানা নাটকীয়তা আর ম্যারাথন ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রশীদ জিতু (স্বতন্ত্র) ও সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) পদে ৩ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম (ছাত্রশিবির)। নানা জল্পনা-কল্পনা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সদস্যের পদত্যাগ, ভোট গণনায় বিলম্ব আর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সহ ৫টি প্যানেলে ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত জাকসু’র ফলাফল ঘোষণা হলো। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সন্ধ্যা ৭টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই ফল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত ভিপি আব্দুর রশীদ জিতু ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেল ও জিএস মাজহারুল ইসলাম শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নির্বাচিত অন্য দুই শীর্ষ পদে এজিএস (পুরুষ) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আল হাসান (২ হাজার ৩৫৮ ভোট) ও এজিএস (নারী) দর্শন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা মেঘলা (৩ হাজার ৪০২)।
এদিকে ডাকসু’র পর এবার জাকসু-তেও ইসলামী ছাত্র শিবির ভূমিধস জয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের ২০টিতেই ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল জয়ী হয়েছে। বাকি ৫টির দুটিতে স্বতন্ত্র ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জয়ী হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নাম ছিল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছেন।
ফলাফল ঘোষণা: নির্বাচনে জাকসু’র অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলে- শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক- আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল), পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক- মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল), সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মো: রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল), নাট্য সম্পাদক- মো রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), ক্রীড়া সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী)- ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ)- মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল), তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক- মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক- আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী)- নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ)- মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল), স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল), পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক- মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)। কার্যকরী সদস্য যথাক্রমে (পুরুষ)- আবু তালহা (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (পুরুষ)- তরিকুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (পুরুষ)- মোহাম্মদ আলী চিশতি (বাগছাস), কার্যকরী সদস্য (নারী)- নাবিলা বিনতে হারুণ (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (নারী)- ফাবলিহা জাহান (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (নারী)- নুসরাত জাহান ইমা (শিবির প্যানেল)

উল্লেখ্য, এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন, ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন।প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।
ছাত্রদের হল ও ভোটার সংখ্যা: আল বেরুনী হল ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হল ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হল ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হল ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হল ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হল ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হল ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হল ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হল ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হল ও ভোটার সংখ্যা: নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হল ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হল ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হল ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হল ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হল ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল ৫৭১ জন, রোকেয়া হল ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হল ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হল ৯৮৩ জন।
জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে এবার ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’।
আরো উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে ৯ বার নির্বাচন হলেও দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু ভোট।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অবশেষে ফলাফল ঘোষণা : জাকসু’র ভিপি জিতু, জিএস মাজহার

প্রকাশের সময় : ১২:২০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা ডেস্ক: অবশেষে নানা নাটকীয়তা আর ম্যারাথন ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রশীদ জিতু (স্বতন্ত্র) ও সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) পদে ৩ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম (ছাত্রশিবির)। নানা জল্পনা-কল্পনা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সদস্যের পদত্যাগ, ভোট গণনায় বিলম্ব আর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সহ ৫টি প্যানেলে ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত জাকসু’র ফলাফল ঘোষণা হলো। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সন্ধ্যা ৭টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই ফল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত ভিপি আব্দুর রশীদ জিতু ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেল ও জিএস মাজহারুল ইসলাম শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নির্বাচিত অন্য দুই শীর্ষ পদে এজিএস (পুরুষ) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আল হাসান (২ হাজার ৩৫৮ ভোট) ও এজিএস (নারী) দর্শন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা মেঘলা (৩ হাজার ৪০২)।
এদিকে ডাকসু’র পর এবার জাকসু-তেও ইসলামী ছাত্র শিবির ভূমিধস জয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদের ২০টিতেই ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল জয়ী হয়েছে। বাকি ৫টির দুটিতে স্বতন্ত্র ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জয়ী হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নাম ছিল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। এই প্যানেলের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছেন।
ফলাফল ঘোষণা: নির্বাচনে জাকসু’র অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলে- শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক- আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল), পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক- মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল), সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মো: রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল), নাট্য সম্পাদক- মো রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), ক্রীড়া সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী)- ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ)- মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল), তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক- মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক- আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী)- নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ)- মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল), স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল), পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক- মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)। কার্যকরী সদস্য যথাক্রমে (পুরুষ)- আবু তালহা (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (পুরুষ)- তরিকুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (পুরুষ)- মোহাম্মদ আলী চিশতি (বাগছাস), কার্যকরী সদস্য (নারী)- নাবিলা বিনতে হারুণ (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (নারী)- ফাবলিহা জাহান (শিবির প্যানেল), কার্যকরী সদস্য (নারী)- নুসরাত জাহান ইমা (শিবির প্যানেল)

উল্লেখ্য, এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন, ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন।প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।
ছাত্রদের হল ও ভোটার সংখ্যা: আল বেরুনী হল ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হল ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হল ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হল ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হল ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হল ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হল ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হল ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হল ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হল ও ভোটার সংখ্যা: নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হল ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হল ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হল ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হল ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হল ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল ৫৭১ জন, রোকেয়া হল ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হল ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হল ৯৮৩ জন।
জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে এবার ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে সহ সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’।
আরো উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে ৯ বার নির্বাচন হলেও দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু ভোট।