নিউইয়র্ক ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

স্মার্ট পুলিশ গড়তে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮১ বার পঠিত

স্মার্ট পুলিশ গড়তে সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী আধুনিক, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। পুলিশ যেন আরও স্মার্ট বাহিনী হয় সেজন্য সরকার সবকিছু করছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর এসব কথা বলেন তিনি।

মানুষের সেবার জন্য পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের সেবা করার মতো করে পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয় স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মৃত লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করেছে।

দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পুলিশের ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন নিশ্চিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই। এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।

পুলিশ বারবারই অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জীবনের বিনিময়ে জনসাধারণকে রক্ষা করেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। গত ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসাত্মক কাজ চালিয়েছিল তখন পুলিশ ধৈর্য দেখিয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের কথা আমি স্মরণ করছি। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এরপর সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত করা হয়। সূত্র : ঢাকা মেইল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

স্মার্ট পুলিশ গড়তে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্মার্ট পুলিশ গড়তে সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী আধুনিক, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। পুলিশ যেন আরও স্মার্ট বাহিনী হয় সেজন্য সরকার সবকিছু করছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর এসব কথা বলেন তিনি।

মানুষের সেবার জন্য পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের সেবা করার মতো করে পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয় স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মৃত লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করেছে।

দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পুলিশের ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন নিশ্চিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই। এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।

পুলিশ বারবারই অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জীবনের বিনিময়ে জনসাধারণকে রক্ষা করেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। গত ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসাত্মক কাজ চালিয়েছিল তখন পুলিশ ধৈর্য দেখিয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের কথা আমি স্মরণ করছি। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এরপর সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামলূক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদকে ভূষিত করা হয়। সূত্র : ঢাকা মেইল।