সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই
- প্রকাশের সময় : ০৩:১২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৯
- / ৫৯২ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও সৈয়দ আশরাফের আত্মীয় আনোয়ারুল কবীর তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
শোক: এদিকে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককের থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে থেকেই তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর) নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত বছরের ২৩ অক্টোবর তার স্ত্রী শিলা ইসলাম মারা যান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারী ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। লন্ডনে দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৯৬ সালে আশরাফুল ইসলাম দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ-১ (সদর) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যার জনক।