নিউইয়র্ক ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৫
  • / ৭১৪ বার পঠিত

ঢাকা: জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। ২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬। কাজী জাফর আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তাফা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন কাজী জাফর ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা কাজী জাফর কিডনির রোগ, ডায়বেটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার কিডনি ট্রান্সফার করা হয়। এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। টঙ্গী অঞ্চলের একজন প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা হিসেবে দেশব্যাপী তার খ্যাতি ছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন কাজী জাফর আহমেদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় তিনি ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি) নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগ দেন। তিনি কুমিল্লা-১২ (চৌদ্দগ্রাম) নির্বাচনী এলাকা থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে কাজী জাফর স্ত্রী, তিন মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শোক প্রকাশ: প্রবীণ রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদ এবং মরহুমের বিদেহী আতœার শান্তি কামনা করেছেন তার ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে জাতি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকেই হারালো। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। আতিকুর রহমান সালু বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও কাজী জাফরের চিন্তা-চেতনা দেশের জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। দেশের মানুষ সবসময় তাকে স্মরণ রাখবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৫

ঢাকা: জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন)। ২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬। কাজী জাফর আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তাফা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন কাজী জাফর ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা কাজী জাফর কিডনির রোগ, ডায়বেটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার কিডনি ট্রান্সফার করা হয়। এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। টঙ্গী অঞ্চলের একজন প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা হিসেবে দেশব্যাপী তার খ্যাতি ছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন কাজী জাফর আহমেদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় তিনি ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি) নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগ দেন। তিনি কুমিল্লা-১২ (চৌদ্দগ্রাম) নির্বাচনী এলাকা থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে কাজী জাফর স্ত্রী, তিন মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শোক প্রকাশ: প্রবীণ রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদ এবং মরহুমের বিদেহী আতœার শান্তি কামনা করেছেন তার ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাজী জাফর আহমেদের মৃত্যুতে জাতি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকেই হারালো। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। আতিকুর রহমান সালু বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও কাজী জাফরের চিন্তা-চেতনা দেশের জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। দেশের মানুষ সবসময় তাকে স্মরণ রাখবে।