নিউইয়র্ক ০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সংসদ নির্বাচন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেবার আহ্বান ইউএস কংগ্রেসের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৫৩২ বার পঠিত

বিবিসি: বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউএস কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। দেশটির গণতন্ত্রের ‘নেতিবাচক গতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত গত ১১ ফেব্রুয়ারী ঐ কমিটির সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগগুলোকে কংগ্রেসের সদস্যরা ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ বলেও অভিহিত করেছেন।
ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নেতিবাচক গতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।’
‘ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমেরিকান স্বার্থেই জরুরী; এবং বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ আসছে, তা ঐসব স্বার্থের জন্য বিরাট হুমকি।’
চিঠিতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচনের সময় ‘সংঘর্ষ, গণ গ্রেপ্তার এবং বাক-স্বাধীনতার ওপরে হামলার’ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশা প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘সরকার দ্বারা নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করলেও আমরা (ইউএস কংগ্রেস) বিশ্বাস করি অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।’
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টের বরাত দিয়ে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই কিছু জায়গায় ব্যালট বাক্স পূর্ণ দেখতে পাবার ঘটনা, আওয়ামী লীগের ভোটকেন্দ্র দখলসহ বেশ কিছু অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
‘এমনকি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন রয়েছে এমন পর্যবেক্ষকদের ভিসা দেয়নি।’ চিঠিতে বলা হয়, এ বছর এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশ, যেমন আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন্স এবং থাইল্যান্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। ‘ফলে গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে আস্থা ও ধারাবাহিক সমর্থন তা বজায় রাখতে, বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের সমাধান জরুরী।’
কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান, এশিয়া ও প্যাসিফিক সাব কমিটির নেতৃবৃন্দসহ মোট ছয়জন কংগ্রেসম্যান ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

সংসদ নির্বাচন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেবার আহ্বান ইউএস কংগ্রেসের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বিবিসি: বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউএস কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। দেশটির গণতন্ত্রের ‘নেতিবাচক গতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত গত ১১ ফেব্রুয়ারী ঐ কমিটির সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগগুলোকে কংগ্রেসের সদস্যরা ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ বলেও অভিহিত করেছেন।
ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নেতিবাচক গতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।’
‘ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমেরিকান স্বার্থেই জরুরী; এবং বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ আসছে, তা ঐসব স্বার্থের জন্য বিরাট হুমকি।’
চিঠিতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচনের সময় ‘সংঘর্ষ, গণ গ্রেপ্তার এবং বাক-স্বাধীনতার ওপরে হামলার’ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশা প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনের ফলাফল তুলে ধরে চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘সরকার দ্বারা নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করলেও আমরা (ইউএস কংগ্রেস) বিশ্বাস করি অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।’
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টের বরাত দিয়ে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই কিছু জায়গায় ব্যালট বাক্স পূর্ণ দেখতে পাবার ঘটনা, আওয়ামী লীগের ভোটকেন্দ্র দখলসহ বেশ কিছু অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
‘এমনকি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন রয়েছে এমন পর্যবেক্ষকদের ভিসা দেয়নি।’ চিঠিতে বলা হয়, এ বছর এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশ, যেমন আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন্স এবং থাইল্যান্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। ‘ফলে গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে আস্থা ও ধারাবাহিক সমর্থন তা বজায় রাখতে, বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের সমাধান জরুরী।’
কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান, এশিয়া ও প্যাসিফিক সাব কমিটির নেতৃবৃন্দসহ মোট ছয়জন কংগ্রেসম্যান ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।