‘শরীয়তের হুকুম, হিজাব খুলবে না ঝর্ণা’

- প্রকাশের সময় : ০৮:১২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
- / ৫৫ বার পঠিত
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আজ আদালতে মুখোমুখি হয়েছেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহীন উদ্দিনের আদালতে তারা মুখোমুখি হন।
সেখানে ঝর্ণার সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। এ সময় সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতে আদালত ঝর্ণার মুখের হিজাব খুলতে বলেন। তবে মামুনুল হক উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শরীয়তের হুকুম, হিজাব খুলবে না ঝর্ণা।’
কিন্তু ঝর্ণা একবার হিজাব খুলে বিচারককে মুখ দেখিয়ে ফের হিজাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জেরা চলাকালীন ঝর্ণার দিকে বারবার তাকিয়েছেন মামুনুল হক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জানান, বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা মেডিক্যাল টেস্টে বলেছেন তিনি মামুনুল হকের কালেমা পড়া স্ত্রী। মামুনুল হকের সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। তাদের অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় তিনি কোথাও মামলা কিংবা জিডি করেননি। কারও কাছে বলেননি।
তবে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাদীকে জেরা করেছেন। তার বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন জান্নাত আর ঝর্ণা তার (মামুনুল হক) স্ত্রী। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ’
এর আগে, সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। এ সময় মামুনুল হকের অনুসারীরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। মামুনুলকে আদালতে তোলার সময় অনুসারীরা পিছু পিছু ছুটতে থাকেন, পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আদালতের কার্যক্রম শেষে তাকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে পুলিশ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে নিয়ে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে যান মামুনুল হক। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে হোটেল কক্ষে তাদের দুজনকে আটক করে। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রাত ৮টার দিকে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে মামুনুল হক ও জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে যায়। ৩০ এপ্রিল ঝর্ণা সোনারগাঁ থানায় বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত দুই বছর ধরে বিয়ের আশ্বাসে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।