নিউইয়র্ক ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাতভর জেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৪৬২ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে আগুন ভয়াবহ আকারে আশপাশের আরও ৫টি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮১ জনের নিহতের খবর জানা গেছে। এই ট্রাজেডি কাঁদিয়েছে গোটা দেশের মানুষের।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এগিয়েছে এসেছে। তবে ঘিঞ্জি পরিবেশের কারণে বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। আর তাতেই ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এই ভয়াবহতায় উদ্বেগ ছিল সবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বুধবার রাতের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজারের অগ্নিকান্ডের উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৪১ জন, তাদের মধ্যে ৩২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আহতদের হাসপাতালে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে, যাদের শনাক্ত করা যাবে না তাদের জন্য ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে।
‘উদ্ধার কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। তিনটি টিম কাজ করবে। আগুন নিভে গেছে। উদ্ধার কাজ সমাপ্ত। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সরকারের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সারারাত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সারা রাত জেগে উদ্ধার কাজ তদারক করেছেন। এ ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সকালে ঘটনাস্থলে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন হতাহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে আগুন ভয়াবহ আকারে আশপাশের আরও ৫টি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ছবি: ফাইল থেকে। (সুত্র: বিডি২৪লাইভ.কম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

রাতভর জেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:২০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হককথা ডেস্ক: বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে আগুন ভয়াবহ আকারে আশপাশের আরও ৫টি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮১ জনের নিহতের খবর জানা গেছে। এই ট্রাজেডি কাঁদিয়েছে গোটা দেশের মানুষের।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এগিয়েছে এসেছে। তবে ঘিঞ্জি পরিবেশের কারণে বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। আর তাতেই ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এই ভয়াবহতায় উদ্বেগ ছিল সবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বুধবার রাতের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজারের অগ্নিকান্ডের উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৪১ জন, তাদের মধ্যে ৩২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদের কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। আহতদের হাসপাতালে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে, যাদের শনাক্ত করা যাবে না তাদের জন্য ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে।
‘উদ্ধার কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। তিনটি টিম কাজ করবে। আগুন নিভে গেছে। উদ্ধার কাজ সমাপ্ত। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সরকারের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সারারাত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সারা রাত জেগে উদ্ধার কাজ তদারক করেছেন। এ ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সকালে ঘটনাস্থলে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন হতাহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে আগুন ভয়াবহ আকারে আশপাশের আরও ৫টি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ছবি: ফাইল থেকে। (সুত্র: বিডি২৪লাইভ.কম)