যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল
- প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮
- / ৪০৮ বার পঠিত
ফারাজী আজমল হোসেন: ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা গত সোমবার (২৯ অক্টোবর) দশম জাতীয় সংসদের সমাপনী বক্তৃতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র এই কবিতাটির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ততক্ষণ নিজেকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত রাখবো। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, বৃথা যেতে দেবো না। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার জীবনে কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার বেঁচে থাকাটাই একটা দুর্ঘটনা। আমার ওপর বার বার আঘাত এসেছে। গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা হয়েছে। আমি জানি যে কোন সময় আমি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারি। এটা জেনেই আমি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ততক্ষণ দেশের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাব। মানুষকে সুন্দর জীবন দেব, সেজন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি কার স্বার্থে? কার জন্য? আমার নিজের কোন স্বার্থ নেই, জনগণের স্বার্থে-কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। তাই দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন, আবার নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ সেবা করার সুযোগ দিন, বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিশ্বে বাংলাদেশ যেভাবে সম্মানিত হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে।
দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অদম্য অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। সারাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া বাংলাদেশ পেয়েছে, তাতে আমি বিশ্বাস করি- বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয়ই আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। জনগণের কাছে আমার আবেদন, আমরা যে মেগা প্রজেক্ট (প্রকল্প) গ্রহণ করেছি, তা সমাপ্ত করার জন্য আমাদের আরও কিছু সময় প্রয়োজন। আর সেই সুযোগটি দিতে পারে একমাত্র দেশের জনগণ। আমি বিশ্বাস করি দেশের মানুষ নিশ্চয়ই সেই সুযোগ আমাদের করে দেবেন। বাংলাদেশের মানুষ সেই সুযোগটি যদি দেয়, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করার যে কাজে আমরা হাত দিয়েছি, সেটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে পারব। দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আরেকটিবার নৌকায় ভোট দিন, আরেকবার দেশ সেবার সুযোগ দিন- ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। দেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষা করেছি। দেশের জনগণ আমাদের আবারও দেশ সেবার সুযোগ দিলে অবশ্যই দেশকে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
সমাপনী অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। বিরোধী দলের নেতাও সমাপনী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজ আমরা হাতে নিয়েছি; ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করা, সেই কাজ আমরা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই উন্নয়ন-অগ্রগতি ও বিশ্ব স্বীকৃতি ধরে রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোন যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা দুর্ঘটনা-দুর্বিপাক না হয়, এটাই হচ্ছে সংসদের শেষ অধিবেশন। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছিলেন একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে। তা হচ্ছে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন, উন্নত জীবন দেওয়া। বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের ১৮ জনকে হারিয়ে আমাকে ৬টি বছর রিফিউজি হিসেবে দিন কাটাতে হয়েছে। শত বাধা সত্ত্বেও দেশের মানুষ ও দলের সাহায্যে ’৮১ সালে দেশে ফিরে আসি। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং বাবার স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শত বাধার মুখেও ২০১৪ সালে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা মানুষের দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি, মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন হয়েছে। বাজেট সাতগুণ বৃদ্ধি করেছি। নিজস্ব অর্থায়নেই আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। উন্নয়ন প্রকল্পও ৯০ ভাগই নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি, কারও কাছে হাত পাততে হয় না। সেই আত্মমর্যাদা আমাদের গড়ে উঠেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। সেটি এখন দৃশ্যমান।
বঙ্গবন্ধুর উদ্বৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পাওয়া যেমন কষ্টকর, তা রক্ষা করা আরও কষ্টকর। দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে, কঠোর পরিশ্রম ও সত পথে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। সেই পরিশ্রমের ফসল দেশের জনগণ এখন ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করাই আমরা একমাত্র কর্তব্য। বিরোধী দলের দাবির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যাতে প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় সেজন্য ব্যাংক, বীমা, বেসরকারি টেলিভিশনসহ সবকিছু বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের ভবিষ্যত কী হবে, জীবনমান কেমন হবে? কেমন বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই, সেটাই একমাত্র চিন্তা। টানা ১০ বছরে আমাদের শাসনমালে তরুণ প্রজন্মের সুন্দর জীবন দিতে প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকে আমরা নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে। এত সিম ব্যবহার পৃথিবীর কোনো দেশে নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষা করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে সুনির্দিষ্ট টার্গেট করেছি শুধুমাত্র আইসিটি খাত থেকেই ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবো। দেশের ৬ লাখেরও বেশি তরুণ-তরুণী ঘরে বসেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করছে। মোবাইল ব্যাংকিংও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকে প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে, এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোরবানির গরুও এখন অনলাইনে বিক্রি হয়। সাড়ে সাত হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলেছি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আইটি খাতে বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। ২০২১ সাল নাগাদ ১ হাজার ১৮৭টি ই-সেবা চালু করা হবে। সাইবার ঝুঁকি থেকে দেশকে রক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করেছি। যারা শুধু ক্রাইম করবে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে, অন্যদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
সংসদ নেতা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে পারি, তবে বিশ্ব স্বীকৃতি পাবো। সেজন্য সরকারের ধারাবাহিকতা একান্তভাবে প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের সংখ্যা ১৮ ভাগ। আমরা তার থেকে কমিয়ে নিয়ে আসবো। জনগণ ভোট দিলে আমরা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলবো। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, কর্মসংস্থানের কোনো অভাব হবে না। রেলপথ, সড়কপথ ও নৌপথ সচল করবো যাতে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক সুফল গ্রামের তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। গ্রামীণ জীবন এখন পাল্টে গেছে। প্রত্যেকটা গ্রামকে শহরে পরিণত করবো, গ্রামে বসেই যেন সবাই নাগরিক সুবিধা পায়। তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসার কোনো স্বীকৃতি ছিল না। আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। ১৪-১৫ লাখ শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত হবে, চাকরি পাবে দেশে-বিদেশে। সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় সরকারি স্কুল করে দিচ্ছি। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। উন্নয়নের ছোঁয়া বাংলাদেশের মানুষের মনে লেগেছে, নিশ্চয় তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।
দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে আহ্বান, মেগা প্রকল্প নিয়েছি, তরুণ প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে আরও কিছু সময় আমাদের প্রয়োজন। আর এ সময় দিতে পারে দেশের জনগণ। জনগণ ভোট দিলে আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি, বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, সেটি আমরা অবশ্যই গড়ে তুলব। ২০২০-২১ বর্ষকে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আগামী একশ বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে, সেজন্যও ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ঘোষণা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়- বঙ্গবন্ধুর সেই পথ আমরা রক্ষা করতে পেরেছি। ব্লু-ইকোনমি আমরা ঘোষণা করেছি। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলে ব্লু-ইকোনমি বাস্তবায়ন করবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের সুফল দেশের সকল মানুষ ভোগ করছে। সকলের সহযোগিতায় আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। বিরোধী দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আগে সংসদের যে পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, কত নোংরা কথা শুনতে হয়েছে। টিভি ক্যামেরা, ফাইল, চেয়ার, ফোল্ডার কোনোকিছুই রেহাই পায়নি। দশম জাতীয় সংসদে বর্বরতা, অসভ্যতার মুখোমুখি হতে হয়নি। সংসদ যে জাতি, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে, দশম জাতীয় সংসদ তা প্রমাণ করেছে। গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা-বিশ্বাস বেড়েছে। গণতন্ত্র থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, তাও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০৪১ সালে হয়তো বেঁচে থাকব না। কিন্তু যে কাজ আমরা শুরু করেছি, যারাই ক্ষমতায় আসবে, তারা ওই সময়ের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ যদি উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কী অপরাধ করেছে? তারা কেন পারবে না। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষও উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে।
জাতীয় সংসদের মূল নকশা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী: স্থপতি লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা পর্যবেক্ষণ করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশনের বিরতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশাটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নকশা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্যানসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনা ভবনের নকশাটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির। (দৈনিক ইত্তেফাক)