মান্না’য় বিমুখ সুশীল-সতীর্থরা
- প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
- / ৬৪১ বার পঠিত
ঢাকা: ‘মান্না-কেলেঙ্কারি’ ফাঁসে বেশ হতভম্ব হয়ে পড়েছেন তার কাছের মানুষেরা। সুশীল সমাজে মান্নার সতীর্থরা এখন আর তাকে নিজেদের বলে মানতে চাইছেন না। বরং মান্না প্রসঙ্গে কথা বলতেও কেউ কেউ বিব্রত বোধ করছেন। সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপ ফাঁস, তার নিখোঁজ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এমনই মনোভাব দেখান তার এতোদিনের সঙ্গীরা।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ফোন বন্ধই পাওয়া গেল এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। নিজেদের কর্মসূচীতেও তিনি আসছেন না মান্নার ফোনের অডিও প্রকাশের পর থেকে।
ড. কামালের কাছের মানুষেরাও জানাতে চাইছেন না তার অবস্থান। শুধু এটুকু জানা গেল যে, এ ঘটনায় বিব্রত হয়েছেন তিনি। মান্নার সঙ্গে তার সম্প্রতি বেশি চলাফেরা দেখা যাওয়ায় তাকে নিয়ে চিন্তিত ঘনিষ্ঠরা।
মান্নার আরেক সতীর্থ অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেন। সুলতানা কামাল বলেন, মান্নার সঙ্গে আমি কখনোই কাজ করিনি। শুধু একটি টিভি প্রোগ্রামে দেখেছি। তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই আমার। মান্নার ‘নিখোঁজে’ কোনো রকম উৎকন্ঠা বা উদ্বেগ হচ্ছে কি-না জানতে চাইলেও এড়িয়ে যান সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, আমার শরীরটা খুব খারাপ। ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারও দীর্ঘদিন ধরে মান্নার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তিনিও সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বদিউল বলেন, কী আর বলবো? তারা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাদের প্রসঙ্গে আমরা সাধারণ মানুষ কী বলতে পারি? আমি রাজনীতি সেভাবে বুঝি না।
সুশীলদের প্রতিনিধি তিনি, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই ড. বদিউল আলম মজুমদার বললেন, আমরা আর কোথায় সুশীল সমাজ? সুশীল সমাজ এখন অনেক দ্বিধা-বিভক্ত। সাধারণ জনগণের একজন আমিও।
মান্না ফোনে বলা কথাগুলো ঠিক বলেছেন কি-না জানতে চাইলে বদিউল বলেন, ঠিক বলেছেন বলে আমি বলছি না । এরপরই ফোন রেখে দেন সুজন সম্পাদক।
মান্নার দীর্ঘদিনের আরেক সতীর্থ নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, মান্নার কথাগুলো সমর্থন করি না। তিনি যদি লাশ চান, সেটি কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে তার নিখোঁজ হওয়াটাও উৎকন্ঠার। সাধারণ মানুষ এতে আতঙ্কিত হবে। তিনি বলেন, এই ফোনালাপে কষ্ট পেয়েছি। এতে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। মানুষ রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমাদের ওপর বেশি বিশ্বাস রাখে। সেই বিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত। কথায়, কাজে ও চিন্তায় আমাদের পরিশীলিত ও অনুসরণীয় হওয়া উচিত। (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম