মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন : উন্নত আর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার
- প্রকাশের সময় : ০৮:০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯
- / ৫০৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: উন্নত আর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকারে মঙ্গলবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে উদযাপনের মূল কেন্দ্র সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছিল জনতার ঢল। বিভেদ ভুলে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ছিল সবার কণ্ঠে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সংঘাত-সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করা হয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দিবসটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গোটা বাঙালী জাতি।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ৪৮ বছর পূর্ণ করা বাংলাদেশে এবারের স্বাধীনতা দিবস এসেছে নতুন অনুষঙ্গ নিয়ে। মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটের দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।
সাভারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যান। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভোর ৬টার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সড়কে জমায়েত হতে থাকে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে ও তার আশপাশের সড়কে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার মানুষের ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। ‘স্বাধীনতার অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান’ ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন শ্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল হাই ও মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় পতাকা ও সংসদের পতাকাসহ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি মো. হুমায়ন কবির ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বিভিন্ন দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে ঢাকায় স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে। তার উপস্থিতিতে সেখানে এবং সারা দেশে একই সময় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন সরকার প্রধান। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের শিশু-কিশোর সমাবেশে ১০-১৮ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শুদ্ধ সুরে জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃত করেছে। এ দায় এড়াতে তারা একাত্তরের গণহত্যার বিচারে বাধা দিয়েছে। সে কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে এত বিলম্ব হচ্ছে। এ স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। সরকার এ স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই স্বাধীনতা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের মালিক জনগণ। নির্ভেজাল গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করে দেশের ক্ষমতা জনগণকে বুঝিয়ে দিতে হবে। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে সংবিধানের ১৬ আনা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে। দেশে এক সময় চাঁদাবাজি হতো, এখন কোথাও কোনো চাঁদাবাজি নেই। গ্রামে কোনো অস্থিরতা নেই। শ্রদ্ধা জানানো শেষে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জানান, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও ধর্মের অপব্যবহার চলছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বাঙালী জীবনের অনেক বিপর্যয় ঘটেছে। এ বিপর্যয়ের মধ্যেও প্রত্যাশা অনুপাতে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারি। তিনি বলেন, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা হরণ ও দেশকে বিকলাঙ্ক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মহাবিপর্যয় থেকে দেশ ও জাতিকে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন এখন অনেকাংশ পূরণের পথে। এভাবে এগিয়ে গেলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জাতীয় প্রেসক্লাব: জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। প্রেসক্লাবে মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘লালজমিন’ নাটক মঞ্চস্থ হয়। এছাড়া সদস্যদের জন্য বিশেষ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সকালে সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের নেতৃত্বে ডিআরইউ সদস্যরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বিদেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাসেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। কলোম্বিয়া ডিসির মেয়র ২৬ মার্চকে ‘বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাস চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। করাচির বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস গুরুত্ব সহকারে নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধ: এদিকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ: বাংলা লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান নৌকা বাইচ বিকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ রোইং ফাউন্ডেশন। এ সময় দর্শকদের করতালি আর সাইড ড্রামের বাজনায় মেতে উঠে পুরো হাতিরঝিল। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় পুরুষদের ১১টি এবং নারীদের চারটি ক্লাব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।