বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে শপথ পড়াবেন প্রধানমন্ত্রী

- প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
- / ৭৩ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক: বাঙালীর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক লগ্ন আগামী ১৬ ডিসেম্বর। এদিন সারা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘শপথ অনুষ্ঠান’ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে দুটি সভা শেষে ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল নাসের চৌধুরী জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ মিলিয়ে আমরা ইতিহাসের অসাধারণ সময় অতিক্রম করছি। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এর উদযাপন অনুষ্ঠান হবে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বড় আকারে কুচকাওয়াজ হবে। সেখানে অনেক দেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক প্যারেড হবে। এ ছাড়া জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর বিকালে ‘মহা বিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে অনুষ্ঠান হবে।
১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি অংশ নেবেন। প্রধান সমন্বয়ক কামাল চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ৫০ বছরের বাংলাদেশের নানা অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হবে। করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ ছাড়া কেউ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু করা হবে।
সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠান সারা দেশের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতেও স¤প্রচার হবে। তিনি আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে একটি শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিজয় দিবসের ৫০ বছরের পূর্তি উৎসব নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ রয়েছে। এতে অংশ নিতে সবাই উন্মুখ হয়ে আছেন। দুটি অনুষ্ঠান ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা কী হবে, নিরাপত্তার জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ হতে পারে- সবকিছু নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। যার যা করণীয় সেগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মেহমানদের অবস্থান, তাদের আসা-যাওয়া ও নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করব।
তিনি আরও বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার ও জাতীয় সংসদের সামনে মুজিবজন্মশতবর্ষের শেষ অনুষ্ঠান এবং বিজয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছি। এর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবকিছু যাতে সুন্দরভাবে হয়, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। (দৈনিক যুগান্তর)