বাংলাদেশে মার্চ পর্যন্ত স্বল্প পরিসরেই চলবে ক্লাস : শিক্ষামন্ত্রী

- প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১০৮ বার পঠিত
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জানুয়ারি মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। তবে এ বছরও আগের মতো আংশিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করানো হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মার্চ মাসের পর স্বাভাবিক শ্রেণি পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতুয়াইল মৌসুমী প্রিন্টিং প্রেস পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোপুরি পাঠদান শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. দীপু মনি বলেন, ওমিক্রন নিয়ে এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি। সদ্য ইউরোপ, আমেরিকায় যা দেখছি, ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। আর একটু দেখার দরকার। আমরা ভালো আছি, কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে করোনা সংক্রমণ বাড়ে মার্চ মাসে। কাজেই মার্চ না আসা পর্যন্ত বলতে পারবো না, আমরা নিরাপদ অবস্থায় আছি। এ কারণে আমরা পুরোপুরি স্বাভবিক জায়গায় যেতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, যেখানে শিক্ষার্থী কম সেখানে হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া যাবে। অন্য প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া যাবে না। আমরা স্কুলকে বলতে পারি না, শিক্ষার্থী অর্ধেক বাড়িয়ে দাও। মার্চে যদি না বাড়ে তাহলে আমরা বলতে পারবো, পুরো সময় ধরে বিদ্যালয় চলবে।
নতুন কারিকুলামের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং কার্যক্রম হিসেবে নতুন কারিকুলাম শুরু করা হবে। এজন্য সারা দেশের ১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে।
তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো সম্ভব নয়। এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হবে। নতুন কারিকুলামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও ভৌগোলিক সব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমি প্রেসে দেখলাম, কাজ পুরোদমে চলছে। কাজ সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে বাঁধাই হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যবিধির কারণেই ১ জানুয়ারি বই দিতে পারবো না। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি বই ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী মাতুয়াইলের মৌসুমী প্রেস, জনতা প্রেস ও প্রমা প্রেস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।