বন্দুকযুদ্ধে নিহত সেই নয়ন বন্ড
- প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
- / ৩৯৯ বার পঠিত
এলাকায় স্বস্তি, মিষ্টি বিতরণ * লাশ দেখতে মর্গে শত শত মানুষ * এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম-রিফাত শরীফের স্ত্রী * লাশ দাফনে রাজি নয় গ্রামের মানুষ * ৭ দিন পর রিফাত শরীফের বাড়িতে এমপি শম্ভু * জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসায় র্যাবের অভিযান * নেপথ্যের প্রভাবশালীদের বিচার দাবি * পুলিশ পরিচয়ে পলিটেকনিক ছাত্রকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
আকতার ফারুক শাহিন, বরগুনা থেকে: বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড (২৫) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ভোরে বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ কর্মকর্তাসহ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বরগুনার মানুষ। লাশ দেখতে হাসপাতাল মর্গে ভিড় করে হাজার হাজার মানুষ।
এই খবরে স্বস্তির পাশাপাশি খুশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ এবং রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। এদিকে খুনি পলাতক রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে ধরতে তাদের খালু সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা ও বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বাসায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৮।
রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে না পেয়ে তাদের ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যাব কর্মকর্তারা। এদিকে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ৭ দিন পর মঙ্গলবার নিহত রিফাত শরীফের বাড়িতে যান বরগুনা সদর আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন।
যেভাবে নিহত হয় নয়ন বন্ড: বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সকাল ৯টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গোপন সূত্রে আমরা খবর পাই যে নয়ন বন্ড এবং তার সহযোগীরা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা এলাকায় অবস্থান করছে। তারা পুরাকাটার পার্শ্ববর্তী পায়রা নদী দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলার ভাড়া করার চেষ্টা করছে।
খবর পেয়ে বরগুনা-পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিএম আশ্রাফ বিল্লাহ তাহেরের নেতৃত্বে ভোর সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা পিছু হটে। পরে পুরাকাটা এলাকার মজিদ মিলিটারির বাড়ির পূর্বদিকে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আশপাশের লোকজন নিহত ব্যক্তিকে রিফাত হত্যা মামলার আসামি নয়ন বন্ড বলে শনাক্ত করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন, সাব-ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান, ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান আহত হয়েছেন। শাহজাহান এবং হাবিবকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ২টি শটগানের গুলির খোসা এবং ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নয়ন বন্ডকে জীবিত গ্রেফতার করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। তাকে জীবিত ধরা গেলে এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নয়ন বন্ডের গঠন করা সন্ত্রাসী গ্রুপ ০০৭ সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যেত।’
হত্যা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ৯ আসামিকে গ্রেফতার করেছি। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তারা গ্রেফতার হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম: বন্দুকযুদ্ধে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার খবর শুনে আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তিনি বলেন, ‘এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম। সকালে বাবার কাছ থেকে শোনার পর আল্লাহ’র দরবারে লাখো শুকরিয়া আদায় করেছি।
চোখের সামনে আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে নয়ন বন্ড-রিফাত ফরাজীসহ অন্যরা। জীবন বাজি রেখে ওদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। হত্যাকান্ডের পর নয়ন বন্ড এবং রিফাত ফরাজীসহ অন্য আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে ছিলাম। সকালে যখন বাবার কাছে এ সংবাদ শুনি তখন কি যে ভালো লেগেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। বাকি খুনিরাও যাতে এ রকম সাজা পায় আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করছি।’
মিন্নির বাবা (রিফাত শরীফের শ্বশুর) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই খবর আসতে থাকে যে, নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। খবরের সত্যতা জানতে বাজারে গিয়ে নিশ্চিত হই যে, কুখ্যাত নয়ন আর এই দুনিয়ায় নেই। শুনে ভালো লেগেছে।
বাড়ি এসে মেয়েকে জানালে সেও প্রচন্ড খুশি হয়। রিফাত শরীফ (জামাই) খুন হওয়ার পর প্রচন্ড রকম ভেঙে পড়েছে আমার মেয়ে। ওর বিধ্বস্ত চেহারার দিকে তাকানো যায় না। এখন ওর খুশি দেখে আমারও ভালো লেগেছে। আমি চাই খুনিদের সবার এভাবে শাস্তি হোক। তাদের কেউ যেন রেহাই না পায়।’
নেপথ্যের প্রভাবশালীদের বিচার চান রিফাত শরীফের বাবা: নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার খবর শুনে স্বস্তি পেয়েছেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ। তিনি বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। আমি ধন্যবাদ জানাই পুলিশ প্রশাসনকে। তাদের লাগাতার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেয়ার পর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়েছে বলেই নয়ন বন্ডের মতো এত বড় খুনি ও সন্ত্রাসী শাস্তি পেল।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি, যারা সন্ত্রাসীদের নেপথ্যে মদদ দিয়েছে তাদেরও যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে সেই তদন্ত করা হোক।
নয়ন বন্ডের লাশ দেখতে জনতার ভিড়, মিষ্টি বিতরণ: সকাল ৭টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয় নয়ন বন্ডের লাশ। খবর পেয়ে মর্গ এলাকায় ভিড় করে শত শত মানুষ। লাশ দেখার জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানায়। জনতার চাপ এবং দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬-৭ হাজারের বেশি মানুষ নয়ন বন্ডের লাশ দেখেছে। এ সময় সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। লাশ দেখতে আসা কয়েকজন বলেন, ‘যেভাবে ছেলেটাকে দিনের আলোয় কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ভিডিও আমরা দেখেছি। ওই ঘটনার প্রধান খুনি নয়ন বন্ড মরার পর তার চেহারা কেমন হয়েছে তা দেখতে এসেছি। এত বড় নৃশংস ঘটনা এর আগে আর বরগুনায় ঘটেনি। আমরা চাই নয়ন বন্ডের মতো অন্য খুনিদের ভাগ্যেও একই ঘটনা ঘটুক।’ লাশ দেখার সময় সেখানে আসা হাজার হাজার মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার খবরে বরগুনা শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। রিফাত-রিশানসহ পলাতক অন্য খুনিদেরও যাতে এভাবে শাস্তি হয় সেই দাবি অনেকের।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসায় র্যাবের অভিযান: সোমবার (০১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বরগুনার বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের নাথপট্টি রাসেল স্কয়ার সংলগ্ন বাসভবনে অভিযান চালায় র্যাব-৮। দেলোয়ার হোসেনের আপন ভায়রার ছেলে হল রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ২নং আসামি রিফাত ফরাজী এবং ৩নং আসামি রিশান ফরাজী।
প্রায় ১ ঘণ্টা ওই বাসায় অবস্থানকালে জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যাব কর্মকর্তারা। এ সময় পলাতক আসামিদের সন্ধানে পুরো ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির কথা স্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তারা আমার বাসায় এসেছিল এবং আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলে চলে গেছে।’
হত্যাকান্ডের ৭ম দিনে রিফাত শরীফের বাড়িতে এমপি শম্ভু: নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ৭ম দিনে মঙ্গলবার দুপুরে নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি যান বরগুনা সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তিনি রিফাতের কবরের পাশে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন এবং রিফাতের বাবা দুলাল শরীফকে সান্তনা দেন। তিনি হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ারও আশ্বাস দেন।’ প্রসঙ্গত, এমপি শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে খুনি ও সন্ত্রাসী নয়ন বন্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সুনাম এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন।
নয়ন বন্ডের লাশ দাফনে কেউ রাজি নয়: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে গলাচিপা উপজেলার ৮ নম্বর বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামে সাব্বির হোসেন নয়ন বন্ডের পৈতৃক বাড়ি। বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী সন্ত্রাসী নয়ন বন্ডের লাশ দাফনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গ্রামের ফোরকান হাওলাদার ও মোশারেফ হোসেন জানান, নয়ন বন্ডের লাশ আমাদের গ্রামে দাফন করতে দেয়া হবে না।
নয়ন বন্ডের চাচা লিটন মোল্লা জানান, এলাকার সবাই নয়ন বন্ডের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে নিষেধ করেছেন। ঘৃণ্য কর্মকান্ডের কারণে গ্রামের বাড়ির কেউই ‘ওকে’ পরিচয় দিতে চান না। বাড়ির জাহাঙ্গীর মোল্লা ও জাহিদ মোল্লা বলেন, নয়ন বন্ড আমাদের কেউ নয়, ওরা বরগুনার বাসিন্দা। ওর বাবা অনেক বছর আগে থেকে বাড়ি ছেড়ে বরগুনায় বসবাস করেন।
নয়ন বন্ডের ফুপাতো ভাই দশমিনার বাসিন্দা সাফায়াত হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ওকে যারা সৃষ্টি করেছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ পরিচয়ে এক ছাত্রকে ধরে নেয়ার অভিযোগ: পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের ছাত্র মাহথির মুহাম্মাদ বিন ফরিদকে (১৭) ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটে ১ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইন্সটিটিউট ক্যাম্পাসের ছাত্র হোস্টেলে।
কলেজর নাইটগার্ড নুরুল ইসলাম খন্দকার জানান, গভীর রাতে সাদা পোশাকধারী ৩-৪ জন লোক কলেজ গেটে এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে গেট খুলতে বাধ্য করে। তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহথির মুহাম্মাদ বিন ফরিদকে খুঁজতে হোস্টেলে প্রবেশ করে মাহথিকে ধরে নিয়ে যায়।
নাইটগার্ড ও হোস্টেলে থাকা ছাত্ররা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান, বরগুনা শহরে রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে মাহথির জড়িত। ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মাহথিরের পরিবারকে জানালে তারা দ্রুত ক্যাম্পাসে আসেন। পরে মাহথিরের বাবা ফরিদ উদ্দিন এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মুহাম্মাদ ইদ্রিস বলেন, সাদা পোশাকধারী পুলিশ আমাকে এবং হোস্টেল সুপারকে অবহিত না করেই মাহথিরকে ধরে নিয়ে গেছে।
মাহথির মুহাম্মাদ বিন ফরিদ গৌরনদী উপজেলার আশুকাঠী গ্রামের মো. ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। ফরিদ উদ্দিন বরগুনা কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক মতিয়ার রহমানের গাড়িচালক। মাহথির বাবার সঙ্গে বরগুনা থাকত।
২০১৮ সালে বরগুনার জিলা স্কুল থেকে সে এসএসসি পাস করে। এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, মাহথিরকে সাদা পোশাকধারীরা ধরে নেয়ার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
খুনিদের ফাঁসি দাবিতে তালতলীতে মানববন্ধন: রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে তালতলীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তালতলী উপজেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে সদর রোডের উজ্জ্বল চত্বরে কর্মসূচি পালিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তালতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আফজাল হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হাফেজ ফোরকান হোসেন, ইদ্রিসুর রহমান, কামাল হোসেন, মনির হোসেন প্রমুখ। (দৈনিক যুগান্তর)