বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে নিহত ২৫
- প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০১৬
- / ৭০৫ বার পঠিত
ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে উপকূল। ২১ মে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে ২৫ জন নিহতের কথা জানা গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১২ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, নোয়খালীতে ৩ জন, লক্ষীপুরে ১ জন, ফেনীতে ১ জন, ভোলায় ৪ জন ও পটুয়াখালীতে ১ জন নিহত হন। এছাড়া উপকূলীয় ১৮ জেলায় নানাভাবে আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
জোয়ারের পানি, প্রবল বর্ষণ ও বাঁধ ভেঙে জেলাগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এসব এলাকায় ভেঙে পড়েছে শত শত ঘরবাড়ি ও গাছপালা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মাঠের ফসলের। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ঝড় শুরুর আগেই বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। কোথাও কোথাও প্রচন্ড বাতাসে তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
চট্টগ্রামে দুপুর ১২টার দিকে উপকূলে আঘাত হানে ‘রোয়ানু’। এতে কমপক্ষে ১২জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সীতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঞ্জল সলিমপুরে গাছচাপায় শনিবার ভোররাতে মা কাজল বেগম (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ বাবু (১০) নিহত হয়েছেন। নিহতরা ওই এলাকার মোহাম্মদ রাফিকের স্ত্রী ও ছেলে।
চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় বেলা ১২টার দিকে আম কুড়াতে গিয়ে ভবন থেকে ইট পড়ে রাকিব (১১) নামে এক শিশু মারা যায়। এছাড়া হালিশহরে নিহত হন দুজন। তবে এখনও তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি। বাঁশখালী উপজেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭-৮ ফিট উচ্চতায় সাগরের পানি প্রবাহিত হয়। বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা, আলোকদিয়া, খাটখালী, গন্ডামারা বাজার, প্রেমাশিয়া, ছনুয়া ও খুদুকখালি এলাকায় পানি প্রবেশ করে। এতে কমপক্ষে সাত জন নিহত হন। প্রেমাশিয়া ইউনিয়নের রোষাঙ্গিপাড়ায় পানির স্রোতে মাটির ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে আবু সিদ্দিক নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এখানে জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় চার শিশু মোহাম্মদ হোসেন (৭), জালাল (৩), জান্নাতুল মাওয়া (৪), শাহেদা বেগম (৩)। এ সময় জালালের দাদি বুলু আখতারও ভেসে যান। পরে তাদের কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা গেছে। এছাড়া ছনুয়া ইউনিয়নের খুবুতখালী গ্রামে জোয়ারের পানিতে ভেসে যান হারুনের স্ত্রী তাহেরা বেগম। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। (দৈনিক যুগান্তর)