নিউইয়র্ক ১১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেফতার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
  • / ৪৭৭ বার পঠিত

বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী আব্দল মাজেদ গ্রেফতার
হককথা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগার প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি টিম সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরপ মাজেদকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (ডিবি) দফতরে জিজ্ঞাসবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ছয় আত্মস্বীকৃত খুনির মধ্যে তিনি অন্যতম। পলাতক বাকি পাঁচ খুনিরা হলো আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরীও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন।
বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্র্রফতার
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩৪ বছর পর এ হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। খুব ধীরে দীর্ঘ বারো বছরে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে আইনের প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনিদের মৃত্যুদন্ডের রায় দেওয়া হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাবন্দি পাঁচ আসামির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য পাঁচ আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ (বরখাস্ত) লিবিয়া ও বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন। বেশিরভাগ সময় লিবিয়াতে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম (বরখাস্ত) পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। পাকিস্তান থেকে হংকংয়ে তার যাতায়াত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী (বরখাস্ত) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, লে. কর্নেল (অব.) এন এইচ এমবি নূর চৌধুরী (বরখাস্ত) কানাডায় রয়েছেন। আরো একজন ভারতে কারাগারে আটক বলে অনেকে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যার নাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ১০:২২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০

বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী আব্দল মাজেদ গ্রেফতার
হককথা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগার প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি টিম সোমবার (৬ এপ্রিল) রাতে মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরপ মাজেদকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (ডিবি) দফতরে জিজ্ঞাসবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ছয় আত্মস্বীকৃত খুনির মধ্যে তিনি অন্যতম। পলাতক বাকি পাঁচ খুনিরা হলো আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরীও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন।
বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্র্রফতার
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩৪ বছর পর এ হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। খুব ধীরে দীর্ঘ বারো বছরে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে আইনের প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনিদের মৃত্যুদন্ডের রায় দেওয়া হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাবন্দি পাঁচ আসামির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য পাঁচ আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ (বরখাস্ত) লিবিয়া ও বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন। বেশিরভাগ সময় লিবিয়াতে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম (বরখাস্ত) পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। পাকিস্তান থেকে হংকংয়ে তার যাতায়াত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী (বরখাস্ত) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, লে. কর্নেল (অব.) এন এইচ এমবি নূর চৌধুরী (বরখাস্ত) কানাডায় রয়েছেন। আরো একজন ভারতে কারাগারে আটক বলে অনেকে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যার নাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)