নিউইয়র্ক ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৯ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নিরাপদ সড়ক ও নয় দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা৷

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ আন্দোলনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকে অর্থবহ ও সড়কে মৃত্যুর নৃশংসতা ও নির্মমতা প্রকাশ করতে শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে একটি সাদা কাপড় ও বাংলাদেশের পতাকা মোড়ান লাশের কফিন রাখেন৷ খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান দাবিগুলো হলো- সারাদেশে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য সড়ক, নৌ ও রেল পথে হাফ ভাড়া গ্রহণ করা, গণপরিবহনে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাসে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা, সড়ক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া৷

এসময় স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইঞ্জামুল হক রামিম বলেন, ছাত্রবান্ধব পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। সড়কে লাশের মিছিল যেন থামছেই না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও ছাত্রদের জন্য হাফ পাশের দাবি করেই যাবো। শুধু ঢাকা সিটির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হাফ পাশের আইন বৈষম্যমূলক। আমরা সরকারের নিকট সারা দেশের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রেল বাস এবং লঞ্চের হাফ পাশের দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, রাষ্ট্রের মালিকি স্বার্থ রক্ষা যে চরিত্র আমরা আজ সেই চরিত্রে আঘাত করতে চাই এবং প্রতিদিন যে সড়কে ১৮ হতে ২০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে সে মৃত্যুর লাশের মিছিলের প্রতীক হিসেবে আমরা আজ এই প্রতীকী লাশ নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি৷

এছাড়াও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা প্রায় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছি৷ আমরা মনে করি সড়কে পুলিশের যে দুর্নীতি চলমান রয়েছে সে দুর্নীতিকে অব্যাহত রাখতে তারা আমাদের এই কর্মসূচিগুলো পালন করতে বাধা দিচ্ছে৷

আন্দোলন শেষে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন ও প্রতিবাদী গান গেয়ে তাদের এই আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থী

প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নিরাপদ সড়ক ও নয় দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা৷

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ আন্দোলনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকে অর্থবহ ও সড়কে মৃত্যুর নৃশংসতা ও নির্মমতা প্রকাশ করতে শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে একটি সাদা কাপড় ও বাংলাদেশের পতাকা মোড়ান লাশের কফিন রাখেন৷ খবর সাম্প্রতিক দেশকাল

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান দাবিগুলো হলো- সারাদেশে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য সড়ক, নৌ ও রেল পথে হাফ ভাড়া গ্রহণ করা, গণপরিবহনে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাসে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা, সড়ক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া৷

এসময় স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইঞ্জামুল হক রামিম বলেন, ছাত্রবান্ধব পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। সড়কে লাশের মিছিল যেন থামছেই না। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও ছাত্রদের জন্য হাফ পাশের দাবি করেই যাবো। শুধু ঢাকা সিটির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হাফ পাশের আইন বৈষম্যমূলক। আমরা সরকারের নিকট সারা দেশের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রেল বাস এবং লঞ্চের হাফ পাশের দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, রাষ্ট্রের মালিকি স্বার্থ রক্ষা যে চরিত্র আমরা আজ সেই চরিত্রে আঘাত করতে চাই এবং প্রতিদিন যে সড়কে ১৮ হতে ২০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে সে মৃত্যুর লাশের মিছিলের প্রতীক হিসেবে আমরা আজ এই প্রতীকী লাশ নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি৷

এছাড়াও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা প্রায় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছি৷ আমরা মনে করি সড়কে পুলিশের যে দুর্নীতি চলমান রয়েছে সে দুর্নীতিকে অব্যাহত রাখতে তারা আমাদের এই কর্মসূচিগুলো পালন করতে বাধা দিচ্ছে৷

আন্দোলন শেষে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন ও প্রতিবাদী গান গেয়ে তাদের এই আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷