নিউইয়র্ক ০৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দল থেকে বহিষ্কার একই পরিবারের দুইজন, আরেকজনের পদত্যাগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৩৪ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হওয়ায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে মাসেদুল হককে গত শনিবার রাতে জেলা কমিটির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি। এর একদিন পর গতকাল রোববার (২৮ মে) রাতে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মাসেদুলের ছোট বোন তাহমিনা চৌধুরী।

এর আগে গত ১৯ মে মাসেদুল হক রাশেদের ছোট ভাই, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাইছারুল হক জুয়েলকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত পত্রে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার পত্রে বলা হয়েছে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবুর বিরুদ্ধে ভাইয়ের পক্ষে প্রচারাভিযানে নামায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর বাবুর নির্দেশনায় বহিষ্কার পত্র পাঠানো হয়।

তবে, কাইছারুল হক জুয়েল বহিষ্কারাদেশের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে জানান, বহিষ্কারাদেশের পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাহমিনা চৌধুরী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে কক্সবাজার যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে তিনি অব্যাহতি চাইছেন। এরপর নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তাহমিনা বলেন, ‘আমি আমার বাবার রক্তের কাছে দায়বদ্ধ।’ এ বিষয়ে তাহমিনার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, তিনি বড় ভাই মাসেদুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। নারী ভোটারদের সংগঠিত করছেন। ভাইয়ের জন্যই দলের পদ ছেড়েছেন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মাসেদুল হককে বহিষ্কার করা হয়।

আরোও পড়ুন । সরকারের লাফালাফি কমে এসেছে : ফখরুল

এদিকে মাসুদুল হক রাশেদের মেজো ভাই শহীদুল হক সোহেল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ছোট ভাই শাহীনুলহক মার্শাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনিও দলীয় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ চৌধুরীকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাসেদুল হক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। মাসেদুলের প্রতীক নারিকেলগাছ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাসেদুল হক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর যেকোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী অবস্থান নিলে তাঁদেরও দল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দল থেকে বহিষ্কার একই পরিবারের দুইজন, আরেকজনের পদত্যাগ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হওয়ায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে মাসেদুল হককে গত শনিবার রাতে জেলা কমিটির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি। এর একদিন পর গতকাল রোববার (২৮ মে) রাতে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মাসেদুলের ছোট বোন তাহমিনা চৌধুরী।

এর আগে গত ১৯ মে মাসেদুল হক রাশেদের ছোট ভাই, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাইছারুল হক জুয়েলকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত পত্রে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার পত্রে বলা হয়েছে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবুর বিরুদ্ধে ভাইয়ের পক্ষে প্রচারাভিযানে নামায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর বাবুর নির্দেশনায় বহিষ্কার পত্র পাঠানো হয়।

তবে, কাইছারুল হক জুয়েল বহিষ্কারাদেশের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে জানান, বহিষ্কারাদেশের পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাহমিনা চৌধুরী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে কক্সবাজার যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে তিনি অব্যাহতি চাইছেন। এরপর নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তাহমিনা বলেন, ‘আমি আমার বাবার রক্তের কাছে দায়বদ্ধ।’ এ বিষয়ে তাহমিনার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, তিনি বড় ভাই মাসেদুল হকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। নারী ভোটারদের সংগঠিত করছেন। ভাইয়ের জন্যই দলের পদ ছেড়েছেন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মাসেদুল হককে বহিষ্কার করা হয়।

আরোও পড়ুন । সরকারের লাফালাফি কমে এসেছে : ফখরুল

এদিকে মাসুদুল হক রাশেদের মেজো ভাই শহীদুল হক সোহেল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ছোট ভাই শাহীনুলহক মার্শাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনিও দলীয় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদ চৌধুরীকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাসেদুল হক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। মাসেদুলের প্রতীক নারিকেলগাছ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাসেদুল হক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর যেকোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী অবস্থান নিলে তাঁদেরও দল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা