নিউইয়র্ক ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জয়কে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ ‘কল্পকাহিনী’: বিএনপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০১৫
  • / ৪৫৭ বার পঠিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চেষ্টার যে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে ‘কল্পকাহিনী’ ও ‘বালখিল্যপনা’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সোমবার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, বর্তমানে কার্যত দলের মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিক আড্ডায় ‘বিকাশ মার্কা’ এমপিদের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেবের অপহরণ বিষয়ক কল্পকাহিনীর সাথে বিএনপি হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে। আমরা এ জাতীয় বালখিল্যপনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘নিপীড়ক আওয়ামী শাসকচক্রের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম প্রকৃত বিচারে জনগণের ক্ষমতায়নের একমাত্র এবং সর্বশেষ অবলম্বন হিসাবেই এখন দেশের সকল মানুষের কাছে বিবেচিত। দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে রূপান্তরের লক্ষে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনীসহ জাতীয় সনদ রচনার লক্ষে গড়ে উঠা জাতীয় ঐক্যমত্যকে অগ্রগণ্য করে জাতীয় মুক্তির এই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি। দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়াবেই ইনশাল্লাহ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এই গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ; পরিণামে অস্তিত্ব সংকটে নিপতিত হওয়ার শংকায় দেশ ও জাতি। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘সরকারি নির্দেশে গুপ্তঘাতকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বত্র লাশের গন্ধ, যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গুলিবিদ্ধ লাশ। ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তিরা খুনের উল্লাসে মেতে উঠেছে।’ এতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ক্ষমতার উত্তাপে নির্বিকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রের বদলে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবাস্তব নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র ইতোপূর্বে বাকশাল প্রনয়ণের মাধ্যমেও সফল হয়নি; এখনও হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে কন্যা হিসেবে পিতার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য পুনরায় আহবান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, অবশেষে বাংলাদেশের সর্বজনস্বীকৃত ঘৃণ্য স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রীকে তার চাইতে বড় স্বৈরাচারের সনদ প্রদান করলেন গতকাল (৮ মার্চ, রোববার)। গৃহপালিত বিরোধী দলের আসনে বসলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে পতাকা উড়িয়ে বেড়ান। তিনি ৫ জানুয়ারীর বিনাভোটের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও তাকে জোরপূর্বক ধরে এনে সংসদ সদস্যের শপথ পাঠ করানো হয় এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দূত বানানো হয়েছে। হত্যার রাজনীতিতে পারদর্শিতার কারণে শেখ হাসিনার এই সনদপ্রাপ্তি ও স্বীকৃতি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিরূপণে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে সহায়তা করতে পারে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জয়কে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ ‘কল্পকাহিনী’: বিএনপি

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চেষ্টার যে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে ‘কল্পকাহিনী’ ও ‘বালখিল্যপনা’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সোমবার (৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, বর্তমানে কার্যত দলের মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিক আড্ডায় ‘বিকাশ মার্কা’ এমপিদের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেবের অপহরণ বিষয়ক কল্পকাহিনীর সাথে বিএনপি হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে। আমরা এ জাতীয় বালখিল্যপনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘নিপীড়ক আওয়ামী শাসকচক্রের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম প্রকৃত বিচারে জনগণের ক্ষমতায়নের একমাত্র এবং সর্বশেষ অবলম্বন হিসাবেই এখন দেশের সকল মানুষের কাছে বিবেচিত। দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে রূপান্তরের লক্ষে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনীসহ জাতীয় সনদ রচনার লক্ষে গড়ে উঠা জাতীয় ঐক্যমত্যকে অগ্রগণ্য করে জাতীয় মুক্তির এই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি। দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়াবেই ইনশাল্লাহ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এই গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ; পরিণামে অস্তিত্ব সংকটে নিপতিত হওয়ার শংকায় দেশ ও জাতি। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘সরকারি নির্দেশে গুপ্তঘাতকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বত্র লাশের গন্ধ, যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গুলিবিদ্ধ লাশ। ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পেটোয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তিরা খুনের উল্লাসে মেতে উঠেছে।’ এতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ক্ষমতার উত্তাপে নির্বিকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রের বদলে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবাস্তব নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র ইতোপূর্বে বাকশাল প্রনয়ণের মাধ্যমেও সফল হয়নি; এখনও হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে কন্যা হিসেবে পিতার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য পুনরায় আহবান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, অবশেষে বাংলাদেশের সর্বজনস্বীকৃত ঘৃণ্য স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রীকে তার চাইতে বড় স্বৈরাচারের সনদ প্রদান করলেন গতকাল (৮ মার্চ, রোববার)। গৃহপালিত বিরোধী দলের আসনে বসলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে পতাকা উড়িয়ে বেড়ান। তিনি ৫ জানুয়ারীর বিনাভোটের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও তাকে জোরপূর্বক ধরে এনে সংসদ সদস্যের শপথ পাঠ করানো হয় এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দূত বানানো হয়েছে। হত্যার রাজনীতিতে পারদর্শিতার কারণে শেখ হাসিনার এই সনদপ্রাপ্তি ও স্বীকৃতি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিরূপণে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে সহায়তা করতে পারে।’