নিউইয়র্ক ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ৭০

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৬৪৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: পুরান ঢাকার চকবাজারে চার তলা একটি বাড়িসহ কয়েকটি ভবনে অগ্নিকান্ডে অন্তত ৭০ জন মারা গেছেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হওয়ার নয় ঘণ্টা পরও তা পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ৩৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। সকালে হেলিকপ্টারে করে উপর থেকে পানি ছিটানোর পর আগুন আর দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ভেতরে এখনও জ্বলছে। রাসায়নিকসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন পুরো নেভাতে অনেক সময় লাগবে।

চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনগুলোতে অগ্নিকান্ডে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ভোরের দিকেও দগ্ধ অবস্থায় লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেন, উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর হতাহতের সঠিক তথ্য জানা যাবে।
রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাফিজ নামে একজন তার তিন স্বজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আমার ভাগ্নি, ভাগ্নির জামাই ও তাদের দুই মেয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের বড় ছেলেটাকে খুঁজে পেয়েছি। বাচ্চাটার একপাশ পুড়ে গেছে। বাকি তিনজনকে এখনও খুঁজে পাইনি। সব মেডিকেলে খুঁজতেছি, কোথাও পাচ্ছি না।
স্থানীয়রা জানায়, চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে প্রয়াত ওয়াহিদ চেয়ারম্যানের চার তলা ভবনটিতে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা পাশের রাজমনি নামে একটি রেস্তোরাঁ এবং সরু রাস্তার উল্টো দিকের তিনটি ভবনে ছড়ায়।
যে ভবনে প্রথম আগুন লাগে, তার নিচতলায় একটি দোকান রয়েছে, দোতলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রসাধন-প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদাম। উপরের দুটি তলায় রয়েছে বাসা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আগুন লাগার পরপরই চার তলা ভবনটির সামনে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটে; ওই সময় রাস্তায় থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
পুরান ঢাকার ওই সংকীর্ণ সড়কে রাত সাড়ে ১০টায় অগ্নিকান্ড শুরুর সময়ও ছিল যানবাহন আর মানুষের ভিড়। তাছাড়া মসজিদের সামনে ফুটপাতের উপর দোকান, আনাস হোটেলের সামনে একটি ফলের দোকান এবং আরও কয়েকটি ভাসমান দোকান ছিল।
মসজিদের উত্তর পাশে, সামনে, দক্ষিণপাশের রাস্তায় ছিল গাড়ি আর চলতি পথের যাত্রীদের ভিড়। কীভাবে এই আগুন লাগল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। (সূত্র প্রতিদিনের সংবাদ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত ৭০

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হককথা ডেস্ক: পুরান ঢাকার চকবাজারে চার তলা একটি বাড়িসহ কয়েকটি ভবনে অগ্নিকান্ডে অন্তত ৭০ জন মারা গেছেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হওয়ার নয় ঘণ্টা পরও তা পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ৩৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। সকালে হেলিকপ্টারে করে উপর থেকে পানি ছিটানোর পর আগুন আর দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও ভেতরে এখনও জ্বলছে। রাসায়নিকসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন পুরো নেভাতে অনেক সময় লাগবে।

চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনগুলোতে অগ্নিকান্ডে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ভোরের দিকেও দগ্ধ অবস্থায় লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেন, উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর হতাহতের সঠিক তথ্য জানা যাবে।
রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাফিজ নামে একজন তার তিন স্বজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আমার ভাগ্নি, ভাগ্নির জামাই ও তাদের দুই মেয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের বড় ছেলেটাকে খুঁজে পেয়েছি। বাচ্চাটার একপাশ পুড়ে গেছে। বাকি তিনজনকে এখনও খুঁজে পাইনি। সব মেডিকেলে খুঁজতেছি, কোথাও পাচ্ছি না।
স্থানীয়রা জানায়, চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে প্রয়াত ওয়াহিদ চেয়ারম্যানের চার তলা ভবনটিতে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা পাশের রাজমনি নামে একটি রেস্তোরাঁ এবং সরু রাস্তার উল্টো দিকের তিনটি ভবনে ছড়ায়।
যে ভবনে প্রথম আগুন লাগে, তার নিচতলায় একটি দোকান রয়েছে, দোতলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রসাধন-প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদাম। উপরের দুটি তলায় রয়েছে বাসা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আগুন লাগার পরপরই চার তলা ভবনটির সামনে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটে; ওই সময় রাস্তায় থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
পুরান ঢাকার ওই সংকীর্ণ সড়কে রাত সাড়ে ১০টায় অগ্নিকান্ড শুরুর সময়ও ছিল যানবাহন আর মানুষের ভিড়। তাছাড়া মসজিদের সামনে ফুটপাতের উপর দোকান, আনাস হোটেলের সামনে একটি ফলের দোকান এবং আরও কয়েকটি ভাসমান দোকান ছিল।
মসজিদের উত্তর পাশে, সামনে, দক্ষিণপাশের রাস্তায় ছিল গাড়ি আর চলতি পথের যাত্রীদের ভিড়। কীভাবে এই আগুন লাগল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। (সূত্র প্রতিদিনের সংবাদ)