গাফফার চৌধুরীকে জুতা মারার আহ্বান আন্দালিব রহমান পার্থ’র

- প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০১৫
- / ২০১৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিফ রহমান পার্থ বলেছেন, জনাব লতিফ সিদ্দিকি যখন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছিল তখন বলেছিলাম, এই লোককে জুতা মারলে মিনাতে শয়তানকে পাথর মারার মত সওয়াব হয়ত হবে না। তবে কিছু সওয়াব অবশই হবে। আন্দালিফ রহমান পার্থ বলেন, এখন গাফফার চৌধুরীর ইসলাম নিয়ে কটূক্তির সংবাদটি পড়ার পর আমার মনে হছে যে জুতা মারার ব্যাপারটা গাফফার সাহেব এর ওপরও প্রযোজ্য। যে যত বড় কলামিস্ট, লেখক, রাজনীতিবিদ বা যাই হোক না কেন, ইসলাম কে অপমান করলে সে সবচেয়ে বড় অপদার্থ, মূর্খ। গাফফার চৌধুরী আপনি দেশে আসুন, বুঝবেন যে জনগন আপনাকে মন থেকে কতখানি ঘৃণা করে। রোববার (৫ জুলাই) বিকেলে আন্দালিব রহমান পার্থ তার ফেসবুকে এই মন্তব্য করেন।
গাফফার চৌধুরীর ওপর আমার ক্ষোভ কমে গেছে-তসলিমা: এদিকে বিতর্কিত ও নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিউইয়র্কে স্থানীয় ৪ জুলাই শনিবার (৪ জুলাই) তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, “কিছু কিছু কারণে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ওপর আমার রাগ ছিল. তার একটির কথা না হয় বলিই, আমাকে দিয়ে কোনো এক পাকিস্তানি ভাট্টির বাঙালী স্ত্রীর জন্য তিনি পলিটিকাল এসাইলামের ব্যবস্থা করিয়েছিলেন, যে কৃতঘœ স্ত্রী এসাইলাম পাওয়ার কিছুকাল পর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছিল, তার এই জঘন্য চরিত্র সম্পর্কে জানার পর আব্দুল গাফফার চৌধুরী কৃতঘœ মহিলাটিকে তিরস্কার করেছেন বলে শুনিনি।
আজ গাফফার চৌধুরীর ওপর যত রাগ ছিল আমার, সব জল হয়ে গেল. এতদিনে তিনি কিছু সত্যি কথা বলেছেন. মোহাম্মদ, আলী, ওসমান , আব্দুল্লাহ, খাদিজা এসব যে কোনো মুসলমান নাম নয়, তা মাথায় সামান্য বুদ্ধি যাদের আছে, তারাই জানে. মোহাম্মদ তাঁর ৪০ বছর বয়সে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন. তার আগে তিনি এবং তাঁর পরিবার এবং তাঁর বন্ধুরা অন্য ধর্মের অনুসারী ছিলেন. তাঁরা কেউ মুসলমান ছিলেন না. তাঁরা কেউ তাঁদের অমুসলমান নাম কিন্তু পরিবর্তন করেননি.
গাফফার চৌধুরীর পাশে আছি. আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটি লিখেছেন তিনি, যে গান শুনে শত কোটি মানুষ বাংলা ভাষাকে ভালবাসতে শিখেছে. বাংলা ভাষার কসম, গাফফার চৌধুরীর গান বৃথা যেতে দেব না.
আল্লাহর নাম নিয়ে যারা গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে একমত নন, তারাও নিজেদের মত প্রকাশ করুন. সুস্থ বিতর্ক চলুক. কিন্তু কল্লা চাই মুন্ডু চাই-এর শয়তানি বন্ধ হোক. এক পাল শয়তান ওদিকে লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি চাইছে. ধর্মের মোটা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেশটাকে পুরো অন্ধকার বানিয়ে দিচ্ছে. গাফফার চৌধুরী তো নিতান্তই নিরীহ মানুষ, আল্লাহর ৯৯ নামের কথা বলেছেন শুধু, আল্লার ৩ কন্যার কথা তো বলেননি!
এরপর ৫ জুলাই রোববার আরেকটি স্ট্যাটস পোস্ট করেন তসলিমা। সেখানে নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশনের ভিডিও ক্লিপসও আপলোড করেন তিনি। বলেন, ‘গাফফার চৌধুরী যখন আল্লার নাম নিয়ে কথা বলছিলেন নিউ ইয়র্ক-এ , টুপি দাড়িওলা লোকগুলোও প্রতিবাদ করেনি. বরং সবাই উপভোগ করেছে তাঁর বক্তব্য. শয়তানি শুরু হয়েছে পরে, দেশে. লতিফ সিদ্দিকীর বেলাতেও, যখন তিনি হজ নিয়ে কথা বলেছিলেন, সেটিও নিউ ইয়র্ক-এ, দর্শকরা প্রতিবাদ করেনি, বরং উপভোগ করেছিল তাঁর বক্তব্য. শয়তানি শুরু হয়েছে পরে, দেশে’।