নিউইয়র্ক ১২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খুনের হুমকিতে দিল্লি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে তসলিমা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০১৫
  • / ৫৯৬ বার পঠিত

কলকাতা: ফের ‘ভিটেমাটি’ ছাড়া হলেন নির্বাসিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ব্লগার খুনে জড়িত মৌলবাদী সংগঠনের হুমকি তসলিমাকে ভারত সরকার অত্যন্ত গোপনে আমেরিকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি গত ২৭ মে’র। তিনি দিল্লি ত্যাগ করলেও বুধবার (৩ জুন) তসলিমার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তসলিমা স্বীকার করেছেন, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বিন্দুমাত্র সময় না দিয়ে চটজলদি মার্কিন বিমানে তুলে দিয়েছে। তবে তাকে আমেরিকায় থাকার ব্যাপারে সাহায্য করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেন্টার ফর ইনকোয়ারি’ (সিএফআই)। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার দিল্লির নয়ডা উপনগরীতে ফিরে আসবেন বলে তসলিমা জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে একাধিক সংগঠনের আপত্তিতে বছর পাঁচেক আগে কলকাতা থেকে চলে আসতে হয়েছিল তসলিমাকে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতিতে দিল্লির নয়ডা এলাকায় থাকছিলেন বিতর্কিত এ লেখিকা। কিন্তু ব্লগার অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান ও অনন্ত বিজয় দাসের হত্যকান্ডে যাদের হাত রয়েছে সেই মৌলবাদী সংগঠনের তরফ থেকে সম্প্রতি তসলিমাকে খুনের হুমকি দেয়া হয়। এর পরেই বিতর্কিত লেখিকার নিরাপত্তা জোরদার করে ভারত সরকার। তবে নিউইয়র্কভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএফআই লেখিকার প্রাণসংশয় হতে পারে অনুমান করে তাকে আমেরিকায় সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে ভারত সরকারও তসলিমাকে দেশ ছাড়তে পরামর্শ দেয়। এর পরই ২৭মে দিল্লি থেকে নিউইয়র্কের বিমানে তুলে দেয়া হয় বিতর্কিত লেখিকাকে। তসলিমার ভারত থেকে চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ হতেই কলকাতা ও দিল্লিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার একাধিক সাহিত্যিক ও বিজ্ঞজনেরা বলেছেন, একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখিকাকে এভাবে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোর ঘটনা অত্যন্ত লজ্জানজক।
তসলিমার ঘনিষ্ঠমহল জানিয়েছে, আপাতত নিউইয়র্কেই থাকার বিষয়ে মনস্থির করেছেন লেখিকা। সেখানেই লেখা-লেখির পাশাপাশি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত হবেন তিনি। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে ‘বিতাড়িত’ হয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আস্তানা গেড়েছেন তসলিমা। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

খুনের হুমকিতে দিল্লি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে তসলিমা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০১৫

কলকাতা: ফের ‘ভিটেমাটি’ ছাড়া হলেন নির্বাসিত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ব্লগার খুনে জড়িত মৌলবাদী সংগঠনের হুমকি তসলিমাকে ভারত সরকার অত্যন্ত গোপনে আমেরিকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি গত ২৭ মে’র। তিনি দিল্লি ত্যাগ করলেও বুধবার (৩ জুন) তসলিমার নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তসলিমা স্বীকার করেছেন, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বিন্দুমাত্র সময় না দিয়ে চটজলদি মার্কিন বিমানে তুলে দিয়েছে। তবে তাকে আমেরিকায় থাকার ব্যাপারে সাহায্য করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেন্টার ফর ইনকোয়ারি’ (সিএফআই)। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার দিল্লির নয়ডা উপনগরীতে ফিরে আসবেন বলে তসলিমা জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে একাধিক সংগঠনের আপত্তিতে বছর পাঁচেক আগে কলকাতা থেকে চলে আসতে হয়েছিল তসলিমাকে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতিতে দিল্লির নয়ডা এলাকায় থাকছিলেন বিতর্কিত এ লেখিকা। কিন্তু ব্লগার অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান ও অনন্ত বিজয় দাসের হত্যকান্ডে যাদের হাত রয়েছে সেই মৌলবাদী সংগঠনের তরফ থেকে সম্প্রতি তসলিমাকে খুনের হুমকি দেয়া হয়। এর পরেই বিতর্কিত লেখিকার নিরাপত্তা জোরদার করে ভারত সরকার। তবে নিউইয়র্কভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএফআই লেখিকার প্রাণসংশয় হতে পারে অনুমান করে তাকে আমেরিকায় সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে ভারত সরকারও তসলিমাকে দেশ ছাড়তে পরামর্শ দেয়। এর পরই ২৭মে দিল্লি থেকে নিউইয়র্কের বিমানে তুলে দেয়া হয় বিতর্কিত লেখিকাকে। তসলিমার ভারত থেকে চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ হতেই কলকাতা ও দিল্লিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার একাধিক সাহিত্যিক ও বিজ্ঞজনেরা বলেছেন, একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখিকাকে এভাবে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানোর ঘটনা অত্যন্ত লজ্জানজক।
তসলিমার ঘনিষ্ঠমহল জানিয়েছে, আপাতত নিউইয়র্কেই থাকার বিষয়ে মনস্থির করেছেন লেখিকা। সেখানেই লেখা-লেখির পাশাপাশি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত হবেন তিনি। উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে ‘বিতাড়িত’ হয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আস্তানা গেড়েছেন তসলিমা। (দৈনিক যুগান্তর)