নিউইয়র্ক ০৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কানাডায় সুরেন্দ্র সিনহা, পদত্যাগের বিষয়টি অনিশ্চিত!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৬৪২ বার পঠিত

টরন্টো (কানাডা): বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি বরাবরে পাঠিয়েছেন বলে যে সংবাদ বাংলাদেশে প্রচারিত হয়েছে, তার সত্যতা যাচাই করা না গেলেও সিঙ্গাপুর থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কানাডার টরন্টোয় এসে পৌঁছেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা। এতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার কারণে পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি নিকটজনের সহায়তায় ডাউন টাউনে যেখানে উঠেছেন, সেখানে অন্য কারোর সঙ্গে দেখা দেননি তিনি। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন বাসভবন ত্যাগের আগে মিডিয়ার সামনে বলেছেন, ‘আমি অসুস্থ না। আমি পালিয়েও যাচ্ছি না। আমি আবার ফিরে আসব। আমি একটু বিব্রত। আমি বিচার বিভাগের অভিভাবক। বিচার বিভাগের স্বার্থে, বিচার বিভাগটা যাতে কলুষিত না হয়, এ কারণেই আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি’।
পরে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে তিনি বড় মেয়ের বাসায় পুরোটা সময় কাটিয়েছেন। এরপর ১০ নভেম্বর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৬ নভেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে যান। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি চলে এসেছেন কানাডায়। কিন্তু কেন?
এর একটি কারণ হতে পারে কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশে অধ্যয়নরত ছোট মেয়েকে দেখতে আসা। তবু সেটা অনুমান নির্ভর। কেননা তার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর সুপ্রিমকোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবরে একটি চিঠি প্রেরিত হয় বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ। এতে বলা হয়, ‘প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা দীর্ঘদিন বিচারকাজে থাকায় এবং অবসর গ্রহণের তারিখ নিকটবর্তী হওয়ায় মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ। মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গমন এবং অবস্থান করতে চান’।
এখন দেখার বিষয়, কানাডায় পদার্পণের পর প্রধান বিচারপতি কী বলেন বা কোথায় যান অথবা তার পদত্যাগ বিষয়টি সত্যি কিনা? (আমাদের সময়.কম)
ই-মেইল: bukhari.toronto@gmail.com

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কানাডায় সুরেন্দ্র সিনহা, পদত্যাগের বিষয়টি অনিশ্চিত!

প্রকাশের সময় : ০২:২১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭

টরন্টো (কানাডা): বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি বরাবরে পাঠিয়েছেন বলে যে সংবাদ বাংলাদেশে প্রচারিত হয়েছে, তার সত্যতা যাচাই করা না গেলেও সিঙ্গাপুর থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কানাডার টরন্টোয় এসে পৌঁছেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা। এতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার কারণে পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি নিকটজনের সহায়তায় ডাউন টাউনে যেখানে উঠেছেন, সেখানে অন্য কারোর সঙ্গে দেখা দেননি তিনি। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন বাসভবন ত্যাগের আগে মিডিয়ার সামনে বলেছেন, ‘আমি অসুস্থ না। আমি পালিয়েও যাচ্ছি না। আমি আবার ফিরে আসব। আমি একটু বিব্রত। আমি বিচার বিভাগের অভিভাবক। বিচার বিভাগের স্বার্থে, বিচার বিভাগটা যাতে কলুষিত না হয়, এ কারণেই আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি’।
পরে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে তিনি বড় মেয়ের বাসায় পুরোটা সময় কাটিয়েছেন। এরপর ১০ নভেম্বর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৬ নভেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে যান। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি চলে এসেছেন কানাডায়। কিন্তু কেন?
এর একটি কারণ হতে পারে কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশে অধ্যয়নরত ছোট মেয়েকে দেখতে আসা। তবু সেটা অনুমান নির্ভর। কেননা তার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর সুপ্রিমকোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবরে একটি চিঠি প্রেরিত হয় বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ। এতে বলা হয়, ‘প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা দীর্ঘদিন বিচারকাজে থাকায় এবং অবসর গ্রহণের তারিখ নিকটবর্তী হওয়ায় মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ। মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গমন এবং অবস্থান করতে চান’।
এখন দেখার বিষয়, কানাডায় পদার্পণের পর প্রধান বিচারপতি কী বলেন বা কোথায় যান অথবা তার পদত্যাগ বিষয়টি সত্যি কিনা? (আমাদের সময়.কম)
ই-মেইল: bukhari.toronto@gmail.com