একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ভোট ২৩ ডিসেম্বর
- প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৮
- / ৫২৪ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর রোববার ভোট গ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর সোমবার, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এবং প্রার্থিতাপ্র্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে তার ভাষণ প্রচারিত হয়। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারীর মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলোর বিরোধের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলো। নির্বাচনের তফসিল পেছাতে প্রধান বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্ট কমিশনে আবেদন করেছিল। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে।
তফসিল ঘোষণার সময় বিরোধের প্রসঙ্গটি টেনে কেএম নূরুল হুদা বলেন, দেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দলগতভাবে অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে মিলিত হয়েছেন। সভা-সমাবেশ নির্বাচনী বক্তব্যে উত্তপ্ত হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বহুসংখ্যক সংগঠন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশব্যাপী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, দলগুলোর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ থেকে থাকলে রাজনৈতিকভাবে তা মীমাংসার অনুরোধ জানাই।
প্রত্যেক দলকে একে অপরের প্রতি সহনশীল, সম্মানজনক এবং রাজনীতিসুলভ আচরণ করার অনুরোধ জানাই। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে প্রার্থীর সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে অনিয়ম প্রতিহত হয় বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রতিযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন কখনও প্রতিহিংসা বা সহিংসতায় পরিণত না হয় রাজনৈতিক দলগুলোকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাই। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের আশ্বাস জানিয়ে সিইসি বলেন ভোটার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রার্থী, প্রার্থীর সমর্থক এবং এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হন বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হন তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর কঠোর নির্দেশ থাকবে। দলমত নির্বিশেষে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্ম, জাত, বর্ণ ও নারী-পুরুষভেদে সকলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ভোট শেষে নিজ নিজ বাসস্থানে নিরাপদে অবস্থান করতে পারবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পাবে। সকলের জন্য অভিন্ন আচরণ ও সমান সুযোগ সৃষ্টির অনুকূলে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে। এসব নিয়ে শিগগির প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭ লাখ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যগণ। তাদের দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও একাগ্রতার উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসামরিক প্রশাসনকে যথা-প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানান কেএম নূরুল হুদা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহার করা গেলে নির্বাচনের গুণগতমান উন্নত হবে এবং সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হবে। সে কারণে শহরগুলোর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা থেকে দ্বৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় বেছে নেয়া অল্প কয়েকটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সভায় ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও মনোনয়নপত্র দাখিল ও ভোট গ্রহণের তারিখসহ বিস্তারিত সময়সূচি ৮ নভেম্বরে আরেকটি সভায় নির্ধারণ করা হয়। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইসির তফসিল ঘোষণা সংক্রান্ত কমিশনের ৩৯তম গুরুত্বপূর্ণ সভায় বসে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে তফসিল ও সিইসির ভাষণ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচন শাখার যুগ্ম সচিব উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পরই বেলা ১২টার দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালককে ডেকে পাঠানো হয়। সিইসির নিজ কক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণ দুপুর ১টার পর রেকর্ডিং সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি জানিয়েছেন, দুপুর ১টার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে তার ভাষণের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একসঙ্গে এই রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে। এর আগে এই ভাষণসহ তফসিলের বিস্তারিত বিষয় অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, রেকর্ড করা ভাষণটি ১৫ মিনিটের মতো হবে।
ভাষণটি রেকর্ডের সময় বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইসি সূত্রে আরো জানা গেছে, অন্যবারের মতো এবারও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নিয়োগ করা হয়েছে। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন থানা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কেও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেবেন। এদিকে তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবন এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। সাদা পোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কমিশন কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বাজেট ৭০২ কোটি টাকা: একাদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে অংশগ্রহণমূলক ভোটগ্রহণের সম্ভাবনার মধ্যে ৭০২ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতি আসনের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় দুই কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ৭০২ কোটি টাকার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আর আইনশৃঙ্খলার জন্য ব্যয় হবে ৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
ইসির সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। ভোটকেন্দ্র ৪১ হাজার ১৯৯টি।
সভা-সমাবেশসহ নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ: এদিকে তফসিল ঘোষণার পর শুক্রবার রাত থেকেই সভা-সমাবেশসহ নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হতে যাচ্ছে। সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধিমালা অনুসারে তফসিল ঘোষণার পর সভা-সমাবেশের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আসবে। জন চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা এমনকি পথ সভাও করা যাবে না। মাইকের ব্যবহারও সীমিত করা হবে। শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে নির্বাচন বিরোধী যে কোনো ধরনের তৎপরতা। ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের আগের ২১ দিন ছাড়া কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারও নিষিদ্ধ থাকবে।
নির্বাচনী মালামাল পাঠানোর নির্দেশ: বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাঠপর্যায়ে মনোনয়ন ফরমসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার প্রায় ৩৩ হাজার মনোনয়ন ফরম ছাপানো হয়েছে। তেজগাঁও প্রিন্টিং প্রেস থেকে দেশের সব জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
গত ১০টি সংসদ নির্বাচনের তফসিল: প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয় ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারী। ৬০ দিন পর ৭ মার্চ ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রয়ারী। ওই নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর।
১৯৮৬ সালের ২ মার্চ তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ৪৭দিন পর ৭ মে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
চতুর্থ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। ৬৯ দিন আগে ১৯৮৭ সালের ২৬শে ডিসেম্বর ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল।
১৯৯০ সালের ১৫ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করা করা হয়েছিল। ৭৮দিন পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের তফসিল হয় ১৯৯৫ সালের ৩ ডিসেম্বর। ৩ বার পুনঃতফসিলের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ভোটগ্রহণ করা হয়।
সপ্তম জাতীয় সংসদের ভোটের তফসিল হয় ১৯৯৬ সালের ২৭ এপ্রিল। ৪৭ দিন পর ১২ জুন ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
২০০১ সালের ১৯ আগস্ট অষ্টম জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা হয়। ৪২ দিন পর ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ করা হয়। নবম জাতীয় সংসদের তফসিল হয় ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর। পুনঃতফসিলে পর ২৯ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয় ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর। ৪২ দিন পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারীর মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। কেননা বর্তমান দশম জাতীয় সংবিধান অনুযায়ী দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারী দশম সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসাবে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারীর আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ওই ৯০ দিনের শুরু হয় গত ৩১ অক্টোবর থেকে। (মানবজমিন)