নিউইয়র্ক ০২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

উন্নয়ন বিরোধী একটি গোষ্ঠী অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭৭ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা এবং উন্নয়ন বিরোধী একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এই কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামাত জোটকে ভোট দেয়নি। জনগণের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে তারা এখন অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের একটা অংশ শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে তারা মানুষ হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন।

কিন্তু, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। পুনর্বাসিত হয়ে তারা আবার হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই বাংলাদেশ এত উন্নতি করতে পারত না। উন্নয়নশীল দেশ হতে পারত না।

এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদেরই বেছে নিতে হবে আপনারা কী চান। উন্নত মর্যাদাশীল জীবনের ধারাবাহিকতা নাকি বিএনপি-জামাত জোটের দুর্বৃত্তায়নের দুর্বিষহ জীবন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

উন্নয়ন বিরোধী একটি গোষ্ঠী অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে

প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা এবং উন্নয়ন বিরোধী একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এই কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামাত জোটকে ভোট দেয়নি। জনগণের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে তারা এখন অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের একটা অংশ শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে তারা মানুষ হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন।

কিন্তু, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। পুনর্বাসিত হয়ে তারা আবার হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই বাংলাদেশ এত উন্নতি করতে পারত না। উন্নয়নশীল দেশ হতে পারত না।

এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদেরই বেছে নিতে হবে আপনারা কী চান। উন্নত মর্যাদাশীল জীবনের ধারাবাহিকতা নাকি বিএনপি-জামাত জোটের দুর্বৃত্তায়নের দুর্বিষহ জীবন।