নিউইয়র্ক ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৬১ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: দেশেবরেণ্য আলেমে দ্বীন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল­ামা নূর হোসাইন কাসেমী (৭৬) ফুসফুসে রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয় স্বজন,ভক্ত ও ছাত্র রেখে গেছেন। ১৯৪৫ সালের ১০ জানুয়ারী রোজ শুক্রবার বাদ জুমা কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা নামক গ্রামে তিনি জনগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আবদুল ওয়াদূদ। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল নয় টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী গত ১ ডিসেম্বর ঠান্ডাজণিত কারণে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কর্মজীবনে তিনি ফরিদাবাদ মাদরাসা ও মালিবাগ মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে রাজধানীর অন্যতম জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৮ সালে তুরাগ থানায় জামিয়া সুবহানিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি এই দুই প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
এছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আল হাইআতুল উলিয়ার কো-চেয়ারম্যান এবং বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন তিনি করেন। দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে তার অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। যারা ইসলামের খেদমতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। দেশ জাতি ইসলাম ও মানবতার জন্য এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলেম একজন খানাকার পীর, শিক্ষাঙ্গনের ওস্তাদ, সংগ্রামী সাধক ও ময়দানে বীরের ভূমিকা রেখে গিয়েছেন। তিনি প্রতিটি আন্দোলনে আপোষহীনতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বাতিল যখনি মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে, তিনি তখন গর্জে উঠেছেন। অতীত যুগের আলেমদের মতো বহুমাত্রিক অবদানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে ইসলামী অঙ্গনে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ, তার রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন কররেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী ছিলেন মাঠে ময়দানে ইসলামের পক্ষে অকুতোভয় আপোষহীন লড়াকু সৈনিক ও দ্বীনি অঙ্গনের বিশ্বস্ত অভিভাবক। দেশের অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে ঢাকার রাজপথে তার নেতৃত্ব আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস ছিল। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ০১:২১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

ঢাকা ডেস্ক: দেশেবরেণ্য আলেমে দ্বীন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল­ামা নূর হোসাইন কাসেমী (৭৬) ফুসফুসে রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয় স্বজন,ভক্ত ও ছাত্র রেখে গেছেন। ১৯৪৫ সালের ১০ জানুয়ারী রোজ শুক্রবার বাদ জুমা কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা নামক গ্রামে তিনি জনগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আবদুল ওয়াদূদ। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল নয় টায় রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী গত ১ ডিসেম্বর ঠান্ডাজণিত কারণে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কর্মজীবনে তিনি ফরিদাবাদ মাদরাসা ও মালিবাগ মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে রাজধানীর অন্যতম জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৮ সালে তুরাগ থানায় জামিয়া সুবহানিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি এই দুই প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
এছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আল হাইআতুল উলিয়ার কো-চেয়ারম্যান এবং বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন তিনি করেন। দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে তার অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। যারা ইসলামের খেদমতে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। দেশ জাতি ইসলাম ও মানবতার জন্য এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলেম একজন খানাকার পীর, শিক্ষাঙ্গনের ওস্তাদ, সংগ্রামী সাধক ও ময়দানে বীরের ভূমিকা রেখে গিয়েছেন। তিনি প্রতিটি আন্দোলনে আপোষহীনতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বাতিল যখনি মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে, তিনি তখন গর্জে উঠেছেন। অতীত যুগের আলেমদের মতো বহুমাত্রিক অবদানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে ইসলামী অঙ্গনে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালে বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ, তার রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন কররেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী ছিলেন মাঠে ময়দানে ইসলামের পক্ষে অকুতোভয় আপোষহীন লড়াকু সৈনিক ও দ্বীনি অঙ্গনের বিশ্বস্ত অভিভাবক। দেশের অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে ঢাকার রাজপথে তার নেতৃত্ব আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস ছিল। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন।