নিউইয়র্ক ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমরা প্রিয়া সাহাকে নিরাপত্তা দিতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯
  • / ২৯৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতার নয় বরং নিরাপত্তা দিতে চায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপনের জন্য প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, গণমাধ্যমকর্মীরা বুধবার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই তথ্য জানান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত ১৮ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের বৈঠকে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত) প্রিয়া সাহা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের বুধবার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বলেন, ‘প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা, সেটা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে বলেছি, প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতারের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে চাই না, আমরা তাকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে ওয়াশিংটনে গত ১৬ জুলাই থেকে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেন। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে অংশ নেন প্রিয়া সাহা।
এই বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম আমি। বাংলাদেশ সরকার থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি যোগ দেন। তবে প্রিয়া সাহা সেখানে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে যোগ দেননি।’ এর আগে, গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ২০ জুলাই (শনিবার) বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে কোন উদ্দেশ্যে এবং কি কারণে করা হয়েছে, দেশে ফিরলে সেই বিষয়ে প্রিয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
এরপর এই বিষয়ে লন্ডন থেকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্তা দেন। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের গত ২১ জুলাই (রোববার) বলেন, ‘প্রিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। তার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলার বিষয়টি এবং এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না সেসব বিষয় এখনো পরিষ্কার নয়।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

আমরা প্রিয়া সাহাকে নিরাপত্তা দিতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯

হককথা ডেস্ক: প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতার নয় বরং নিরাপত্তা দিতে চায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ভুল তথ্য উপস্থাপনের জন্য প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, গণমাধ্যমকর্মীরা বুধবার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই তথ্য জানান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত ১৮ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের বৈঠকে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত) প্রিয়া সাহা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের বুধবার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বলেন, ‘প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা, সেটা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে বলেছি, প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতারের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে চাই না, আমরা তাকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে ওয়াশিংটনে গত ১৬ জুলাই থেকে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেন। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে অংশ নেন প্রিয়া সাহা।
এই বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম আমি। বাংলাদেশ সরকার থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি যোগ দেন। তবে প্রিয়া সাহা সেখানে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে যোগ দেননি।’ এর আগে, গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ২০ জুলাই (শনিবার) বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে কোন উদ্দেশ্যে এবং কি কারণে করা হয়েছে, দেশে ফিরলে সেই বিষয়ে প্রিয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
এরপর এই বিষয়ে লন্ডন থেকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্তা দেন। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের গত ২১ জুলাই (রোববার) বলেন, ‘প্রিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। তার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলার বিষয়টি এবং এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না সেসব বিষয় এখনো পরিষ্কার নয়।’