নিউইয়র্ক ০৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আওয়ামী লীগের আগামীর লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯৫ বার পঠিত

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ন্যান্স ও স্মার্ট সোসাইটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে।

তারা প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি, যাতে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে করতে হবে। ’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা—সব কিছুই আমরা ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে করব। ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সব কিছুতেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। আমি আশা করি, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণ সম্প্রদায় যত বেশি এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা শিখবে, আমরা তত দ্রুত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নানা অনুষঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ ধরনের ৫৭টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন এবং ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ৯২টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ছয় হাজার ৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার এবং ১৩ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

গতকাল সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরাও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার কথা জানান। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনাই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। সামনের স্মার্ট বাংলাদেশও শেখ হাসিনার সরকার করতে পারবে।

সম্মেলনে যোগ দিতে খুলনা থেকে ‘ডিজিটাল নৌকা’ নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের কর্মী মো. মিনারুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০০৯ সালে শেখ হাসিনা আমাদের বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ দেবেন। আজ সত্যিই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। নেত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, সেটি শুধু নেত্রীর নেতৃত্বেই সম্ভব। জনগণ আবারও নৌকায় ভরসা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে আসা আওয়ামী লীগ কর্মী আতাউল উদ্দীন তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় একসময় মঙ্গা (অভাব) লেগে থাকত। খাবার নিয়া টানাটানি পড়ত। এখন আর ওসব দিন নেই। আগের থেকে অনেক ভালো আছি। হাতের মধ্যে এখন স্মার্টফোন আছে। নেত্রীকে অনেকবার এই ফোনে দেখেছি। আজকে সরাসরি দেখতে এসেছি। ’

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের আগামীর লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চারটি ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ন্যান্স ও স্মার্ট সোসাইটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে।

তারা প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি, যাতে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে করতে হবে। ’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা—সব কিছুই আমরা ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে করব। ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সব কিছুতেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। আমি আশা করি, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণ সম্প্রদায় যত বেশি এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা শিখবে, আমরা তত দ্রুত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নানা অনুষঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ ধরনের ৫৭টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন এবং ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ৯২টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ছয় হাজার ৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার এবং ১৩ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

গতকাল সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরাও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার কথা জানান। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনাই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। সামনের স্মার্ট বাংলাদেশও শেখ হাসিনার সরকার করতে পারবে।

সম্মেলনে যোগ দিতে খুলনা থেকে ‘ডিজিটাল নৌকা’ নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের কর্মী মো. মিনারুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০০৯ সালে শেখ হাসিনা আমাদের বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ দেবেন। আজ সত্যিই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। নেত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, সেটি শুধু নেত্রীর নেতৃত্বেই সম্ভব। জনগণ আবারও নৌকায় ভরসা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে আসা আওয়ামী লীগ কর্মী আতাউল উদ্দীন তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় একসময় মঙ্গা (অভাব) লেগে থাকত। খাবার নিয়া টানাটানি পড়ত। এখন আর ওসব দিন নেই। আগের থেকে অনেক ভালো আছি। হাতের মধ্যে এখন স্মার্টফোন আছে। নেত্রীকে অনেকবার এই ফোনে দেখেছি। আজকে সরাসরি দেখতে এসেছি। ’