নিউইয়র্ক ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব ॥ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭
  • / ৪৮২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর চট্টলার সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত হয়নি। ৫ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় এই প্রার্থী চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও ‘নির্বাচন ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে’ নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব করছেন। উল্লেখ্য, আগামী ২ এপ্রিল রোববার এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল অর্থাৎ ‘জিয়া-সেলিম’ ও ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল সরাসরি প্রতদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেয়ার কথা। ইতিমধ্যেই বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় প্যানেল দুটি’র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রোববার সন্ধ্যায় ব্রুকলীনস্থ সমিতি কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র গ্রহণ বাবদ ৩৫ হাজার ডলার আয় হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এবার সমিতির ভোটার হচ্ছেন ৩০০০ হাজার।
এদিকে সমিতির নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে প্রয়োজনে নির্বাচন বর্জনের হুমকী দিয়েছেন ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল। গত রোববার বিকেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন কথাই জানিয়েছেন প্যানলটির নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা হলেন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী খায়রুল বাসার, কমিশনের সদস্য যথাক্রমে মাকসুদুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান জাহাঙ্গীর, রুহুল আমীন হোসেন ও মনিরুল ইসলাম।
অপরদিকে সমিতির নির্বাচন ঘিরে দুই প্যানেলে প্রচারণা জমে উঠেছে। বিশেষ করে প্রার্থীদের ছবি আর লিফলেট সহ ফেসবুকে জোর প্রচারণা চলছে। অপরদিকে এবারের নির্বাচন ঘিরে কোন কোন কর্মকর্তা ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ সংগঠন পরিচালনায় অনিয়ম আর আর্থিক প্রসঙ্গ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে তাদের চারজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন। প্রার্থীরা হলেন ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী প্রবীর দাশ (দিপু), কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী পুলক কান্তি দাশ, মোহাম্মদ আকতার হোসেন ও তৌহিদ হাসান খান। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ‘জিয়া-সেলিম’ প্যানেলের কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ বখতিয়ারের প্রার্থীতা স্থগিত রেখেছেন। কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত ঘিরে জটিলতার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে সমিতির আসন্ন নির্বাচন।
গত রোববার রাতে (রাত ১১টা) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক সদস্য বলেন, টেকনিক্যাল কারণে আজ রোববার (৫ মার্চ) চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে কমিশনকে সময় নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা সকল জটিলতা কাটিয়ে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়াই কমিশনের লক্ষ্য। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব ॥ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর চট্টলার সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত হয়নি। ৫ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় এই প্রার্থী চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও ‘নির্বাচন ঘিরে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে’ নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব করছেন। উল্লেখ্য, আগামী ২ এপ্রিল রোববার এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল অর্থাৎ ‘জিয়া-সেলিম’ ও ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল সরাসরি প্রতদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেয়ার কথা। ইতিমধ্যেই বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় প্যানেল দুটি’র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রোববার সন্ধ্যায় ব্রুকলীনস্থ সমিতি কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র গ্রহণ বাবদ ৩৫ হাজার ডলার আয় হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এবার সমিতির ভোটার হচ্ছেন ৩০০০ হাজার।
এদিকে সমিতির নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে প্রয়োজনে নির্বাচন বর্জনের হুমকী দিয়েছেন ‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল। গত রোববার বিকেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন কথাই জানিয়েছেন প্যানলটির নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা হলেন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী খায়রুল বাসার, কমিশনের সদস্য যথাক্রমে মাকসুদুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান জাহাঙ্গীর, রুহুল আমীন হোসেন ও মনিরুল ইসলাম।
অপরদিকে সমিতির নির্বাচন ঘিরে দুই প্যানেলে প্রচারণা জমে উঠেছে। বিশেষ করে প্রার্থীদের ছবি আর লিফলেট সহ ফেসবুকে জোর প্রচারণা চলছে। অপরদিকে এবারের নির্বাচন ঘিরে কোন কোন কর্মকর্তা ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ সংগঠন পরিচালনায় অনিয়ম আর আর্থিক প্রসঙ্গ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
‘জাহাঙ্গীর-বিল্লাহ’ প্যানেল অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে তাদের চারজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন। প্রার্থীরা হলেন ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী প্রবীর দাশ (দিপু), কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী পুলক কান্তি দাশ, মোহাম্মদ আকতার হোসেন ও তৌহিদ হাসান খান। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ‘জিয়া-সেলিম’ প্যানেলের কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ বখতিয়ারের প্রার্থীতা স্থগিত রেখেছেন। কমিশনের এসব সিদ্ধান্ত ঘিরে জটিলতার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে সমিতির আসন্ন নির্বাচন।
গত রোববার রাতে (রাত ১১টা) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক সদস্য বলেন, টেকনিক্যাল কারণে আজ রোববার (৫ মার্চ) চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে কমিশনকে সময় নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা সকল জটিলতা কাটিয়ে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়াই কমিশনের লক্ষ্য। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ ভিত্তিহীন।