নিউইয়র্ক ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে কমিউনিটির পরিচিত মুখ জাকির খান ছুরিকাঘাতে নিহত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৭৯৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে বসবাসকারী বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জাকির খান (৪৬) আর নেই (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ব্রঙ্কসে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। কমিউনিটির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা জনক। তার স্ত্রী ন্যান্সী খান সহ সন্তানরাও ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। তারা ৭ ভাই ও ৫ বোন ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ। ১৯৯২ সালে তিনি অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করছিলেন। জাকির খানের অকাল ও আকস্মিক মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে সিটি পুলিশ জাকির খানকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে সোমবার রাতে তার বাড়ী মালিক এক মিশরীয়কে আটক করেছে বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ব্রঙ্কসে তিনি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। এর তাতে দ্রুত স্থানীয় জ্যাকবী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাকে ছরিকাঘাত করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একাধিক সূত্র জানায়, ব্রঙ্কসে তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাসার মালিকের সাথে বাসার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিলো। বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিলো। পুলিশ জাকির খান নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার রাত ১১টা) জাকির খানের মরদেহ জ্যাকবী হাসপাতালেই ছিলো। স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দও হাসপাতালে অবস্থান করছেন। পুলিশ জাকির খান ছুরিকাঘাত হওয়ার এলাকা ঘিরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত জাকির খান এক সময় ব্যবসায় খুব ভালো করেন এবং মূলধারার মিডিয়ার ব্যবসা-বাণজ্য বিভাগের শিলোনাম হন। তাকে ব্রঙ্কসের ‘কিং অব রিয়েল এস্টেট’ আখ্যায়িত করাও হয়। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হলে ‘বাংলাদেশ ডে পালন’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা ও সংগঠক ছিলেন জাকির খান। এছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডে তার সক্রিয় পদচারনা ছিলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে কমিউনিটির পরিচিত মুখ জাকির খান ছুরিকাঘাতে নিহত

প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে বসবাসকারী বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জাকির খান (৪৬) আর নেই (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)। ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ব্রঙ্কসে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। কমিউনিটির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা জনক। তার স্ত্রী ন্যান্সী খান সহ সন্তানরাও ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। তারা ৭ ভাই ও ৫ বোন ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ। ১৯৯২ সালে তিনি অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করছিলেন। জাকির খানের অকাল ও আকস্মিক মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে সিটি পুলিশ জাকির খানকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে সোমবার রাতে তার বাড়ী মালিক এক মিশরীয়কে আটক করেছে বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ব্রঙ্কসে তিনি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। এর তাতে দ্রুত স্থানীয় জ্যাকবী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাকে ছরিকাঘাত করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একাধিক সূত্র জানায়, ব্রঙ্কসে তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাসার মালিকের সাথে বাসার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিলো। বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিলো। পুলিশ জাকির খান নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার রাত ১১টা) জাকির খানের মরদেহ জ্যাকবী হাসপাতালেই ছিলো। স্থানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দও হাসপাতালে অবস্থান করছেন। পুলিশ জাকির খান ছুরিকাঘাত হওয়ার এলাকা ঘিরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত জাকির খান এক সময় ব্যবসায় খুব ভালো করেন এবং মূলধারার মিডিয়ার ব্যবসা-বাণজ্য বিভাগের শিলোনাম হন। তাকে ব্রঙ্কসের ‘কিং অব রিয়েল এস্টেট’ আখ্যায়িত করাও হয়। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হলে ‘বাংলাদেশ ডে পালন’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা ও সংগঠক ছিলেন জাকির খান। এছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডে তার সক্রিয় পদচারনা ছিলো।