অন্তর্বরতী সরকার কোন পথে?
- প্রকাশের সময় : ০৫:২২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮ বার পঠিত
৭ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে জুলাই সনদ-গণভোট সংকট জিইয়ে রেখেই ড. আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার পাড়ি জমালেন আমেরিকায়
স্টালিন সরকার: জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত অন্তর্বরতী সরকারকে জানানোর ৭ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ। অথচ এই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ করতে ঐকমত্য হয়নি। এখন গণভোট ইস্যুতে কী সিদ্ধান্ত দেবে অন্তর্র্বতী সরকার? রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দেয়ার সময় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বার্তা দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না জানালে সরকার নিজ থেকেই সিদ্ধান্ত নেবে। এখন সেই সিদ্ধান্ত জানার জন্য অন্তর্বরতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের মানুষ।
জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ইনকিলাবকে বলেন, ‘গণভোট’ সংবিধানসম্মত কি না এটি বোঝার জন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। জামায়াতের নেতারা দেখাতে পারবেন সংবিধানের কোথায় ‘গণভোট’ লেখা আছে? বিদ্যমান সংবিধানে কোথাও গণভোট নেই। দু’টি গণভোট হয়েছিলো এ দেশে। একটি জিয়াউর রহমানের আমলে। আরেকটি এরশাদ সরকারের সময়। সে সময় সংবিধান স্থগিত ছিলো। কিন্তু এখন সংবিধান অ্যালাইভ। সংবিধানের অধীনে এই সরকার শপথ নিয়েছে। এরা সংবিধানের বাইরে যেতে পারবেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কার, জুলাই সনদ, গণভোট ইত্যাদি নিয়ে সরকার নিজেই সংকটের সৃষ্টি করেছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হয়ে নিজের করা জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ নিজের হাতে জমা দিয়েছেন। ফলে জুলাই সনদ ইস্যুতে সৃষ্ট জটিলতার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। জুলাই অভ্যুত্থান তথা ‘কোটা সংস্কার’ দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণভোট, জুলাই সনদ, সংস্কার কোনো কিছুই ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে এক দফার আন্দোলন ছিল দিল্লির নীল নকশায় তিনটি পাতানো জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এনজিও’র মালিক ও বিদেশ থেকে কিছু ব্যক্তিকে হায়ারে এনে উপদেষ্টাপদসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোয় পাল্টে যায় দৃশ্যপট। অভ্যুত্থানের পর মানুষ যখন নির্বাচন হবে এবং নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এমন স্বপ্নে বিভোর; তখন হঠাৎ অন্তর্বরতী সরকার থেকে আওয়াজ তোলা হয় ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়’, ‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন’। অতঃপর ১১টি সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠন অতঃপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের নামে দীর্ঘ ৮ মাস জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকার খরচ করা হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত জাতি পেয়েছে অশ্বডিম্ব। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের কেউ কেউ ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদী করতে সংস্কার ইস্যু, গণভোট নিয়ে জট পাকানোয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, নিজেরাই সংকটের সৃষ্টি করে নির্বাচন পেছানোর লক্ষ্যে জামায়াত ও হাসিনার অলিগার্ক ইসলামী আন্দোলনকে মাঠে নামিয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর পলাতক শেখ হাসিনার একটি হত্যামামলার রায়ের তারিখ জানাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন ‘ঢাকা লকডাউন’ অরাজকতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছে পলাতক হাসিনা গং। অথচ একই সময় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ঢাকা চিত্র পাল্টে দেয়ার হুংকার দিয়েছে। অরাজকতা সৃষ্টি করে কী সরকার জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে উপদেষ্টাদের কেউ কেউ নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে চায়? নাকি ঘোষিত আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে চায়? সেটা নির্ভর করবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তে। ইতোমধ্যেই অনেকে বলতে শুরু করেছে, অভ্যুত্থানে সামান্যতম অংশগ্রহণ ও সমর্থন ছিল না বিদেশ থেকে এমন ব্যক্তিদের ভাড়া করে এনে উপদেষ্টা পরিষদসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কোনো কমিটমেন্ট নেই এমন ব্যক্তিদের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খেয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে গেছেন।
‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে’ প্রধান উপদেষ্টার এ বার্তা সারাদেশে নির্বাচনী আবহ শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অথচ এখনো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যু করে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টির চেষ্টা। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার চেষ্টায় কি এই অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা? রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘ড. ইউনূস সরকার রাজনীতি করছেন না, রীতিমতো অপরাজনীতি করছেন। ড. ইউনূস-ই বছর খানেক আগে এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন তারা ফ্যাসিলিটেটর। এটা কোনো শাসক না। সেই ইউনূস সরকার এখন এমন অবস্থান নিচ্ছেন যেখানে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিম-লের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছেন। বিএনপিকে কিছু দাবী মানানোর জন্য একটা নেক্সাস তৈরি হয়েছে। নেক্সাস তৈরি হতেই পারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ আরো কিছু দল। সমস্যা হচ্ছে এর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন এবং সরকারও জড়িয়ে পড়ছে। এটার দায় প্রধান উপদেষ্টার। আপার হাউসে বিএনপি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর সমালোচিত হয়েছে। তার পরও তারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন চাপ তৈরির জন্য সরকার জামায়াতকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে বলছে, তুমি লোয়ার হাউসে পিআর চাও, গণভোট নভেম্বরে চাও। তার পর তুমি এগুলোতে ছাড় দিলে বিএনপিকে বলা হবে নভেম্বরে না, ইলেকশনের দিনই গণভোট হবে, কিন্তু তোমাকে আপার হাউসে পিআর মেনে নিতে হবে, এমনকি সেটা নোট অব ডিসেন্ট ছাড়া’।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহসানুল হক মিলন বলেন, জামায়াত যে দাবী নিয়ে আন্দোলনে নামছে সেটি মূলতঃ আওয়ামী লীগকেই সুবিধা দিবে। তিনি বলেন, জামায়াত তো মনে করছে তারা আগামীতে সরকার গঠন করবে, তাহলে এখন এতো দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করার প্রয়োজন কি? যা দাবি-দাওয়া আছে তা তিন মাস অপেক্ষা করে সরকার গঠন করার পর নিজেরাই পূরণ করবে। তা না করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে একের পর এক দাবি তুলে আন্দোলন-মাঠ গরম করা হচ্ছে কেন? নিশ্চয় এর কোন ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। তারা আসলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
নির্বাচনী ট্রেন চলতে শুরু করার পরও ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে অনিশ্চয়তার চেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচারের রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে ১৩ নভেম্বর। ওইদিন ‘ঢাকা লকডাউন’ করার হুমকি দিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা গংরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার আগের দুই দিন ১১ নভেম্বর রাজধানীকে ‘জাহান্নাম’ বানানোর হুংকার দিয়েছে জামায়াত। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘৫ দফা দাবী না মানলে ১১ নভেম্বর ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে’। দলটির নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘কিভাবে ঘি তুলতে হয় আমরা জানি। হাংকিপাংকি চলবে না’ ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির সঙ্গে কী জামায়াতের নেতৃত্বে আট দলীয় জোটে ঢাকার চেহারা পাল্টে দেয়ার হুমকির যোগসূত্র রয়েছে? কারণ, আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দিল্লির এজেন্ডা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) নির্বাচনের দাবিতে জামায়াত মাঠ গরম করেছে। এখন একই এজেন্ডায় জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দাবি করছে। আবার জামায়াতের সঙ্গী চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বিগত ১৫ বছর শেখ হাসিনার অনুকম্পা আর ‘র’ এর ফুয়েলে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়েছে। সেই ইসলামী ধারার দলটি জামায়াতকে বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করছে। অথচ জামায়াতের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা ভালভাবেই জানেন উপদেষ্টা পরিষদ সংবিধান অনুযায়ী শপথ নেয়ায় সংবিধানের বাইরে গিয়ে এই অন্তর্বরতী সরকারের গণভোট করার অধিকার নেই। গণভোট আয়োজনের চেষ্টা হলে কেউ আদালতে রিট করলে ভোট আটকে যাবে। এটা জানার পরও জায়ায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বর্তমান সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন হয়েছে, তারা এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন। এই সংবিধানে গণভোট নিয়ে কিছু নেই। আগামীতে নির্বাচনে পাস করে সংসদে গিয়ে সংবিধানে গণভোট যুক্ত করে এরপর গণভোটে আসতে পারে।’
অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর থেকে উপদেষ্টা পরিষদ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসা বিদেশি ও এনজিওকর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানের মূল চেতনা থেকে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার কৌশলে মেতে উঠে। তারা ভেঙ্গেপড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং জনগণের ভোটাধিকারের আগে সংস্কার ইস্যু নিয়ে আসেন। ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের পিছনে রাষ্ট্রের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। অতঃপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি করা হয় বিদেশ থেকে হায়ারে আনা সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে। হাসিনা রেজিমে গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে পরিচিত মনির হায়দারকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রায় সাড়ে ৮ মাসে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে টানা বৈঠক করে ৮৪ সুপারিশের জুলাই সনদ প্রণয়ন করে কমিশন। এনসিপি ছাড়া অধিকাংশ দলই তাতে সই করে। কিন্তু এই জুলাই সনদের আলোকে কীভাবে সংস্কার বাস্তবায়িত হবে এ বিষয়ে একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। জুলাই সনদ সরকারের হাতে হস্তান্তরের পর বিএনপিসহ অধিকাংশ দল অভিযোগ করে স্বাক্ষর করা সনদে কিছু কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। সনদ থেকে নোট অব ডিসেন্ট বাদ দেয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা গেছে কমিশনের সহ সভাপতি ব্যক্তি ড. আলী রীয়াজ ও সঞ্চালক মনির হায়দারকে। তারা জুলাই সনদ সরকারের হাতে তুলে দিয়ে রাজনৈতিক সংকটের সুরাহার আগেই দেশ ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। ৩ নভেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ফলে এখন সবাই তাকিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের দিকে। ওই বৈঠকে গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা জানার জন্য দেশবাসী মুখিয়ে রয়েছে। সরকার ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে নির্বাচনের পথে নাকি গণভোট ইস্যু জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার পথে হাঁটবে সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ। (দৈনিক ইনকিলাব)
















