ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের অভিষেক অনুষ্ঠিত
দক্ষিণ সুরমা’কে দক্ষিণ সদরের মর্যাদা প্রদানের দাবী

- প্রকাশের সময় : ০১:২৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩১ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি: দক্ষিণ সুরমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন মিশিগানের ২০২৫-২৬ কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ারেন শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে কমিনিটি নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করেন। এসোসিয়েশনে সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিশিগান বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাংবাদিক-কবি হেলাল উদদীন রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন হ্যামট্রামিক সিটির ডেপুটি মেয়র আবু আহমদ মুসা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী আব্দুর রহিম, আইনজীবী সালেহ আহমদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা শাহ ছমির উদ্দিন, কলমন্দর আলী, ওসমানী পরিষদের সভপতি নূরুল হক, মোস্তাক আহমদ মুক্তা, মিশিগান বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল তালুকদার, সালেহ আহমদ বাদল, আইনজীবী মুজিবুর রহমান শাহীন, নজরুল ইসলাম, আলমগীর আলী, তাহির আলী, মানিক মিয়া, পংকি মিয়া, আক্কাছ উদ্দিন আক্কাই, এনাম আহমদ, সুলতান আহমদ, আব্দুল হাই পারভেজ ও এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন জাবেদ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে নতুন কার্যকরী কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন।
সাংবাদিক হেলাল উদদীন রানা তার বক্তব্যে দক্ষিণ সুরমাকে দক্ষিণ সদরের মর্যাদা প্রদানের দাবী জানিয়ে বলেন, নদীর উত্তর পাড়কে যদি সদরের মর্যাদা দেয়া হয় তাহলে দক্ষিণকে কেন নয়। উত্তরের চেয়ে দক্ষিণের গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। দক্ষিণে রয়েছে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, বিসিক শিল্প নগরী, পাসপোর্ট অফিস, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বহু গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। তাছাড়া দক্ষিণ শহরের প্রবেশদ্বার হিসাবেও স্বীকৃত।
হ্যামট্রামিক সিটির ডেপুটি মেয়র আবু আহমদ মুসা তার বক্তব্যে বিপুল ভোটে তাকে নির্বাচিত করার জন্য হ্যামট্রামিকবাসী সহ মিশিগানের সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান। মুসা বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমি আশা করি আগামী দিনেও আমার প্রতি আপনাদের এই স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মিশিগানের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী সৈয়দ শাফি সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের বিমোহিত করেন। পরে অভ্যাগতদের নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়।