দেশে ফিরলেন আরো ৩০ বাংলাদেশী : ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় দেড় লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার

- প্রকাশের সময় : ০১:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১০ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হচ্ছেন বাংলাদেশীরা। অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে দেশটি থেকে এবার ৩০ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দেশে ফেরত অভিবাসীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসনবিরোধী অভিযান আরো জোরদার হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর আগে তিন ধাপে ১৮৭ জন বাংলাদেশী ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৯ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৯৭০ জনকে বহিষ্কার করা হয় জুন মাসে। এ সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহবানে আরো ৪ হাজার ২৪১ জন স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরেছেন। ইউএস ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এ্যানফোর্সমেন্ট (আইস) গত ৪ সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানিয়েছে। উল্লেখ্য, এটি প্রথম সরকারি তথ্য যেখানে দেশওয়ারী বহিস্কারের বিবরণী রয়েছে।
অভিবাসন দফতরের অভিভাবক ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট’র মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম বারবার দাবী করেছেন, অবৈধভাবে বসবাসরতদের গ্রেফতার ও বহিষ্কারের ঘটনা আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে। তবে এ দাবির সমর্থনে কোন মাসে কতজনকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে তা কখনো প্রকাশ করা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে প্রতি মাসের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে আইসের ওয়েবসাইটে। সে অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমল তথা গত বছরের জুলাই মাসে ২৫ হাজার জনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর এবছরের জুলাই-তে সে সংখ্যা হচ্ছে ২৩ হাজার ২৫০। তবে বাইডেনের আমলের চেয়ে বর্তমানে অভিবাসন-বিরোধী অভিযানের প্রচারণা অনেক বেশি এবং এরফলে গোটা কমিউনিটি সন্ত্রস্ত্র হয়ে উঠেছে-যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে।
এ প্রসঙ্গে ‘লিবারটেরিয়ান ক্যাটো ইন্সটিটিউট’র অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক ডেভিড বাইয়ার বলেন, ‘আমি বলতে পারি গত বছরের চেয়ে এ বছরের ৮ মাসে বহিষ্কারের সংখ্যা কোনভাবেই বেশী নয়।’ এমনকি গ্রেফতারের ভয়ে অনেকে আত্মগোপনে যাওয়ায় দুর্বৃত্তদের তথ্য জানতে সক্ষম হচ্ছে না টহল পুলিশের দল। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির পরিপূরক হিসেবে নানা অপকর্মে দণ্ডিত অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের সাফল্য দেখা গেছে। এবং এটাই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য। এভাবেই সামাজিক শান্তি ও স্বস্তি প্রতিষ্ঠার সংকল্পে নিবেদিত রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন-মন্তব্য ক্রিস্টি নয়েমের।
সংশ্লিরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি কঠোর ও সমালোচিত হলেও তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গ্রেফতার ও বহিষ্কারের প্রচারণা জোরদারের ফলে মেক্সিকো হয়ে দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে বেআইনি/চোরাইপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রবণতা প্রায়ই শূন্যে কোঠায় নেমে এসেছে।