নিউইয়র্ক ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নিহত ১, আহত অর্ধশত 

রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দিলো তৌহিদী জনতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন। এ ছাড়া নুরাল পাগলার দরবার শরীফ ও বাড়িতেও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ইউএনও’র গাড়ি, পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে দরবারের এক অনুসারী নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স¤প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উপরে দাফন করে সেখানে কা’বা শরীফের আদল দেয়া হয়। এ নিয়ে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র নামে একটি সংগঠনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। তার মধ্যেই জুমার নামাজের পর পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থান থেকে তৌহিদী জনতা এসে শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা নুরুল হকের বাড়ি ও দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ আগে থেকেই সেখানে থাকলেও মানুষের ঢলের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সক্ষম হয়নি। পরে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন তৌহিদী জনতা পিছু হটে নুরুল হকের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায়। এর কিছু পরে বাড়িতে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় তৌহিদী জনতা। তখন তারা বাড়ির সামনে থাকা নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা মরদেহটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এদিকে সংঘর্ষে রাসেল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি গোয়ালন্দের তেনাপোচা গ্রামে।
এ সময় তৌহিদী জনতার একজন মো. আল আমিন বলেন, নুরাল পাগল একটা সময় নিজেকে ইমাম মাহাদি দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি খোদাও দাবি করেছেন। তার কর্মকাÐ ছিল শরীয়তবিরোধী। এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমান মেনে নিতে পারে নাই। যে কারণে জনতা নুরাল পাগলের দরবার ভেঙে দিয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে তার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলেছে।
গোয়ালন্দের ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের পর তৌহিদী জনতা জড়ো হন। তাদের একটা অংশ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সে সময় পুলিশের গাড়ি ও ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে নুরুল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল হক আশির দশকের মাঝামাঝি নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ বলে দাবি করেছিলেন। তখন চাপের মুখে তিনি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে আবার তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। তার বেশ কিছু ভক্ত-অনুসারীও রয়েছে।
২৩শে আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে তার প্রতিষ্ঠিত গোয়ালন্দ দরবার শরীফের ভেতরে কা’বা শরীফের আদলে রং করা মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। এরপর থেকে কবর নিচু, রং পরিবর্তন ও ইমাম মাহাদির দরবার শরীফ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি তোলেন তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয়পক্ষকে নিয়ে একটি সভাও হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে একটি কমিটিও গঠন করে। কবরের ব্যাপারে প্রশাসন নুরুল হকের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে। পরিবার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিল। শুক্রবার সেখানে হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে নুরুল হকের ছেলে মেহেদী নূর জিলানী বুধবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমার বাবা ইমাম মাহাদির দ্বীন প্রচারক ছিলেন। মৃত্যুর পর তার ওছিয়ত মোতাবেক কিছুটা উঁচু করে ইসলামের বিধান মেনে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১২ ফুট উঁচু করার অভিযোগ সত্য নয়। তিন থেকে চার ফুট উঁচু হতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।’
জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে
এদিকে গোয়ালন্দে নুরুল হক মোল্লা, যিনি নুরাল পাগলা নামেও পরিচিত, তাঁর কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজটি আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের আইন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মৌলিক ভিত্তির ওপর সরাসরি আঘাত। এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি মানুষের জীবনের পবিত্রতা, জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও রক্ষা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রæত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি, ঘৃণা ও সহিংসতাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করুন, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলুন। (দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নিহত ১, আহত অর্ধশত 

রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দিলো তৌহিদী জনতা

প্রকাশের সময় : ১২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন। এ ছাড়া নুরাল পাগলার দরবার শরীফ ও বাড়িতেও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ইউএনও’র গাড়ি, পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে দরবারের এক অনুসারী নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স¤প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উপরে দাফন করে সেখানে কা’বা শরীফের আদল দেয়া হয়। এ নিয়ে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র নামে একটি সংগঠনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। তার মধ্যেই জুমার নামাজের পর পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থান থেকে তৌহিদী জনতা এসে শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা নুরুল হকের বাড়ি ও দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ আগে থেকেই সেখানে থাকলেও মানুষের ঢলের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সক্ষম হয়নি। পরে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন তৌহিদী জনতা পিছু হটে নুরুল হকের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায়। এর কিছু পরে বাড়িতে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় তৌহিদী জনতা। তখন তারা বাড়ির সামনে থাকা নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা মরদেহটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এদিকে সংঘর্ষে রাসেল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি গোয়ালন্দের তেনাপোচা গ্রামে।
এ সময় তৌহিদী জনতার একজন মো. আল আমিন বলেন, নুরাল পাগল একটা সময় নিজেকে ইমাম মাহাদি দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি খোদাও দাবি করেছেন। তার কর্মকাÐ ছিল শরীয়তবিরোধী। এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমান মেনে নিতে পারে নাই। যে কারণে জনতা নুরাল পাগলের দরবার ভেঙে দিয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে দিয়েছে। সেইসঙ্গে তার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলেছে।
গোয়ালন্দের ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের পর তৌহিদী জনতা জড়ো হন। তাদের একটা অংশ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সে সময় পুলিশের গাড়ি ও ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে নুরুল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল হক আশির দশকের মাঝামাঝি নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ বলে দাবি করেছিলেন। তখন চাপের মুখে তিনি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে আবার তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। তার বেশ কিছু ভক্ত-অনুসারীও রয়েছে।
২৩শে আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে তার প্রতিষ্ঠিত গোয়ালন্দ দরবার শরীফের ভেতরে কা’বা শরীফের আদলে রং করা মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। এরপর থেকে কবর নিচু, রং পরিবর্তন ও ইমাম মাহাদির দরবার শরীফ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি তোলেন তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয়পক্ষকে নিয়ে একটি সভাও হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে একটি কমিটিও গঠন করে। কবরের ব্যাপারে প্রশাসন নুরুল হকের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে। পরিবার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিল। শুক্রবার সেখানে হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে নুরুল হকের ছেলে মেহেদী নূর জিলানী বুধবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমার বাবা ইমাম মাহাদির দ্বীন প্রচারক ছিলেন। মৃত্যুর পর তার ওছিয়ত মোতাবেক কিছুটা উঁচু করে ইসলামের বিধান মেনে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘১২ ফুট উঁচু করার অভিযোগ সত্য নয়। তিন থেকে চার ফুট উঁচু হতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।’
জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে
এদিকে গোয়ালন্দে নুরুল হক মোল্লা, যিনি নুরাল পাগলা নামেও পরিচিত, তাঁর কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই অমানবিক ও ঘৃণ্য কাজটি আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের আইন এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সভ্য সমাজের মৌলিক ভিত্তির ওপর সরাসরি আঘাত। এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি মানুষের জীবনের পবিত্রতা, জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও রক্ষা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রæত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি, ঘৃণা ও সহিংসতাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করুন, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলুন। (দৈনিক মানবজমিন)