নিউইয়র্ক ০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা

সময়ের দাবী দেশে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বন্দোবস্ত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / ২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খানের প্রথম গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন- নির্বাচন হলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, সব সমস্যার সমাধান হবে, তা ঠিক নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ২০২৪-এর বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার জরুরী। আর ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা দেশ ও জাতির জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। বক্তারা বলেন, একুাত্তরের চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি বলেই বিগত ৫৪ বছরেও বাংলাদেশের জনগনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তেমনী ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে হলে নির্বাচনের আগে সংস্কার জরুরী। আর যারা নির্বাচনের আগে সংস্কার চান না, তারা দেশ, জাতি, দলকে ভালোবাসেন না। তারা নিজের স্বার্থে দল করেন। যেকারণে দেশে বৈষম্য, অনৈতিকতা, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বেড়েছে। সময়ের দাবী সংস্কারের মাধ্যেমে নতুন বন্দোবস্ত। বক্তারা বলেন, ডা. ওয়াজেদের গ্রন্থটি ইতিহাসের দলিল হিসেবে পাঠকদের প্রেরণা যুগাবে। খবর ইউএনএ’র।
কুইন্সের আগ্রা প্যালেসের পার্টি হলে রোববার দুপুরে (৬ জুলাই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আবিদ রহমান। গ্রন্থটির উপর আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, লেখক-কলামিস্ট মাহমুদ রেজা চৌধুরী ও লেখক-কবি কাজী জহিরুল ইসলাম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ফ্লোরিডা’র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনাজ খান সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রæপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন, বাংলাদেশ সোসাইটি’র সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াদুদ ভ‚ইয়া ও নার্গিস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, ড. শওকত আলী, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, এডভোকেট মজিবুর রহমান, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি ও ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট রেজাউল হক চৌধুরী, সৈয়দ আল আমীন রাসেল, বদরুজ্জামান পিকলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক আদিত্য শাহীন।
গ্রন্থটির উপর আলালোচনাকালে মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’-এর সকল নিবন্ধ/প্রবন্ধ পৃথক পৃথকভাবে আলোচনার দাবী রাখে। তার তার লেখায় দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ রয়েছে। আর কোন লেখা কবে লেখা হয়েছে তার তারিখ দেয়া থাকলে ভলো হতো। তিনি বলেন, লেখালেখি ছাড়া ভালো সাংবাদিক হওয়া যায় না। আমাদের সময় যে সাংবাদিকতা দেখেছি আজ সেই সাংবাদিকতা নেই।
হাসান ফেরদৌস বলেন, ডা. ওয়াজেদ খানের গ্রন্থটির কোন কোন প্রবন্ধে কারো কারো দ্বিমত থাকার পরও এটি চব্বিশ-এর জুলাই বিপ্লবের একটি দলিল হিসেবে দেখা যেতে পারে। যা পাঠককে জুলাই বিপ্লবের ধারণা দেবে। তবে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমার দ্বি-মত রয়েছে। দেশের সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের ত্রাতা নয়, সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দেখা উচিৎ। দেশ ও জাতির স্বার্থে সেনাবাহিনীর মাথায়ও তা থাকা উচিৎ।
আবু তাহের বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের স্বার্থে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরেই নানান সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। দেশের কথা, দেশের জনগণের কথা ভাবেননি বলেই দেশে এতো দূর্নীতি, অরাজকতা, বৈষম্য। তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়েই দেশকে ভালোবাসা উচিৎ, রাজনীতিকদের রাজনীতি করা উচিৎ।
মাহমুদ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’ এই গানই আমাদের শেষ ঠিকানা হওয়া উচিৎ। এই গানের চেতনাই ফুটে উঠেছে ডা. ওয়াজেদ খানের গ্রন্থে। তিনি বলেন, ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যার ঘটনার মতো একটি ঘটনাই একটি সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, বিগত সরকারের এতো অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম আমাদের সামনে রয়েছে যা দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা যেতে পারে।
কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে ডা. ওয়াজেদ খানের গ্রন্থটি একটি সফল গ্রন্থ। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হওয়া উচিত তাই তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে। গ্রন্থটিতে রাজনৈতিক বিষয় থাকলেও লেখ নির্মহভাবেই তার মতামত তুলে ধরেছেন। তিনি গ্রন্থটির ইংরেজী প্রকাশনার অনুরোধ জানান।
দিনাজ খান বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশে ছিলাম। ৭দিন ঢাকার বনানীর বাসায় আটক ছিলাম। শুধু গুলির শব্দ শুনেছি। তিনি বলেন, আমি একটি রাজনৈতিক দল করলেও আমি মনে করি একাত্তুর আর চব্বিসের চেতনা ধরে রাখতে হলে দেশের সংবিধান পরিবর্তন দরকার, দেশের সর্বক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন।
ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, নির্বাচন নয়, আগে সংস্কার জরুরী। নির্বাচন হলেই যে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, সব সমস্যার সমাধান হবে, তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ২০২৪-এর বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার জরুরী। আর ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা দেশ ও জাতির জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।
অনুষ্ঠানে গ্রন্থটি নিয়ে ডা. ওয়াজেদ খানের বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও শো প্রদর্শিত হয়। মধ্যাহ্ন ভোজের পাশাপাশি দেশের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রকাশনা উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত দম্পতি লিমন চৌধুরী ও ফারহানা তুলি।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা

সময়ের দাবী দেশে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বন্দোবস্ত

প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খানের প্রথম গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন- নির্বাচন হলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, সব সমস্যার সমাধান হবে, তা ঠিক নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ২০২৪-এর বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার জরুরী। আর ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা দেশ ও জাতির জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। বক্তারা বলেন, একুাত্তরের চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি বলেই বিগত ৫৪ বছরেও বাংলাদেশের জনগনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তেমনী ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে হলে নির্বাচনের আগে সংস্কার জরুরী। আর যারা নির্বাচনের আগে সংস্কার চান না, তারা দেশ, জাতি, দলকে ভালোবাসেন না। তারা নিজের স্বার্থে দল করেন। যেকারণে দেশে বৈষম্য, অনৈতিকতা, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বেড়েছে। সময়ের দাবী সংস্কারের মাধ্যেমে নতুন বন্দোবস্ত। বক্তারা বলেন, ডা. ওয়াজেদের গ্রন্থটি ইতিহাসের দলিল হিসেবে পাঠকদের প্রেরণা যুগাবে। খবর ইউএনএ’র।
কুইন্সের আগ্রা প্যালেসের পার্টি হলে রোববার দুপুরে (৬ জুলাই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আবিদ রহমান। গ্রন্থটির উপর আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, লেখক-কলামিস্ট মাহমুদ রেজা চৌধুরী ও লেখক-কবি কাজী জহিরুল ইসলাম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ফ্লোরিডা’র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনাজ খান সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রæপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন, বাংলাদেশ সোসাইটি’র সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াদুদ ভ‚ইয়া ও নার্গিস আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, ড. শওকত আলী, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, এডভোকেট মজিবুর রহমান, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি ও ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট রেজাউল হক চৌধুরী, সৈয়দ আল আমীন রাসেল, বদরুজ্জামান পিকলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক আদিত্য শাহীন।
গ্রন্থটির উপর আলালোচনাকালে মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’-এর সকল নিবন্ধ/প্রবন্ধ পৃথক পৃথকভাবে আলোচনার দাবী রাখে। তার তার লেখায় দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ রয়েছে। আর কোন লেখা কবে লেখা হয়েছে তার তারিখ দেয়া থাকলে ভলো হতো। তিনি বলেন, লেখালেখি ছাড়া ভালো সাংবাদিক হওয়া যায় না। আমাদের সময় যে সাংবাদিকতা দেখেছি আজ সেই সাংবাদিকতা নেই।
হাসান ফেরদৌস বলেন, ডা. ওয়াজেদ খানের গ্রন্থটির কোন কোন প্রবন্ধে কারো কারো দ্বিমত থাকার পরও এটি চব্বিশ-এর জুলাই বিপ্লবের একটি দলিল হিসেবে দেখা যেতে পারে। যা পাঠককে জুলাই বিপ্লবের ধারণা দেবে। তবে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমার দ্বি-মত রয়েছে। দেশের সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের ত্রাতা নয়, সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দেখা উচিৎ। দেশ ও জাতির স্বার্থে সেনাবাহিনীর মাথায়ও তা থাকা উচিৎ।
আবু তাহের বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের স্বার্থে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরেই নানান সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। দেশের কথা, দেশের জনগণের কথা ভাবেননি বলেই দেশে এতো দূর্নীতি, অরাজকতা, বৈষম্য। তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়েই দেশকে ভালোবাসা উচিৎ, রাজনীতিকদের রাজনীতি করা উচিৎ।
মাহমুদ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’ এই গানই আমাদের শেষ ঠিকানা হওয়া উচিৎ। এই গানের চেতনাই ফুটে উঠেছে ডা. ওয়াজেদ খানের গ্রন্থে। তিনি বলেন, ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যার ঘটনার মতো একটি ঘটনাই একটি সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, বিগত সরকারের এতো অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম আমাদের সামনে রয়েছে যা দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা যেতে পারে।
কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে ডা. ওয়াজেদ খানের গ্রন্থটি একটি সফল গ্রন্থ। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হওয়া উচিত তাই তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে। গ্রন্থটিতে রাজনৈতিক বিষয় থাকলেও লেখ নির্মহভাবেই তার মতামত তুলে ধরেছেন। তিনি গ্রন্থটির ইংরেজী প্রকাশনার অনুরোধ জানান।
দিনাজ খান বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশে ছিলাম। ৭দিন ঢাকার বনানীর বাসায় আটক ছিলাম। শুধু গুলির শব্দ শুনেছি। তিনি বলেন, আমি একটি রাজনৈতিক দল করলেও আমি মনে করি একাত্তুর আর চব্বিসের চেতনা ধরে রাখতে হলে দেশের সংবিধান পরিবর্তন দরকার, দেশের সর্বক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন।
ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, নির্বাচন নয়, আগে সংস্কার জরুরী। নির্বাচন হলেই যে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, সব সমস্যার সমাধান হবে, তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ২০২৪-এর বৈষম্য বিরোধী বিপ্লবের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে সকল ক্ষেত্রেই সংস্কার জরুরী। আর ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা দেশ ও জাতির জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।
অনুষ্ঠানে গ্রন্থটি নিয়ে ডা. ওয়াজেদ খানের বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও শো প্রদর্শিত হয়। মধ্যাহ্ন ভোজের পাশাপাশি দেশের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রকাশনা উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত দম্পতি লিমন চৌধুরী ও ফারহানা তুলি।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।