নিউইয়র্ক ০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঈদের সিনেমাগুলো কত আয় করলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ২১ বার পঠিত

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় মেগাস্টার শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’। রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যায় ও শোতে এখনো এগিয়ে রয়েছে। আয়েও রেকর্ড গড়েছে। পাশাপাশি অন্য সিনেমাগুলোও দর্শকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এ সিনেমাগুলোর আয়ের দিক থেকে বলা যায় নতুন দিনের মুখ দেখছে ঢালিউড।

ঈদে মাল্টিপ্লেক্সে ২৮টি শো দিয়ে যাত্রা শুরু করে তাণ্ডব, এখন সিনেমাটির প্রদর্শনীর সংখ্যা ৪৫। এ ছাড়া শতাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি পায় ‘তাণ্ডব’। সিনেমাটির আয় প্রসঙ্গে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আমরা প্রথম পাঁচ দিনের হিসাব পেয়েছি। সেখানে আমাদের গ্রস সেল পাঁচ কোটির বেশি। এই আয় আরও বাড়বে। মাঝখানে কিছুটা দর্শক কমলেও এখন আবার আগের মতো দর্শক দেখছেন।’ সিনেমার প্রযোজনা–সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, সিনেমাটির পরবর্তী পাঁচ দিনের আয় আরও চার কোটি টাকার বেশি।

এদিকে শুরুতে মাল্টিপ্লেক্সে ৯টি প্রদর্শনী পেয়েছিল ‘উৎসব’। পরিচালক তানিম নূর সিনেমাটি মুক্তির আগের দিন জানিয়েছিলেন, দর্শক পছন্দ করলে তাদের সিনেমার হল বাড়বে। সেটাই হয়েছে। আয়েও এগিয়ে রয়েছে ‘উৎসব’। এখন সিনেমাটির ১৫টি শো চলছে।

পরিচালক তানিম বলেন, ‘আমাদের সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্সে কয়েকটি শো নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করেছে। পরে হলসংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে সিনেমাটি দর্শকদের দেখাতে চাই।’ তিনি জানান, গত ৯ দিনে ‘উৎসব’ আয় করেছে এক কোটির বেশি টাকা। এ হিসাব গত সোমবার পর্যন্ত। এ আয়ের সঙ্গে গত দুই দিনে যোগ হবে আরও ২০ লাখ টাকার বেশি।

ঈদে হলসংখ্যায় ২ নম্বরে ছিল ‘ইনসাফ’। সিনেমাটির ব্যবসায়িক সফলতায় খুশি প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তবে তাণ্ডব সিনেমার কারণে তারা কিছুটা পিছিয়ে আছেন বলে জানালেন। খসরু বলেন, ‘আমাদের সিনেমা সামনে আরও ভালো চলবে। কারণ, বিভিন্ন হল থেকে তাণ্ডব নেমে গেলে আমরাই নতুন হিসেবে ঢুকব। সেভাবেই হলমালিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’ সব মিলিয়ে সিনেমায় আয় কত—এমন প্রশ্নে এই প্রযোজক বলেন, ‘যেটা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটা শুধু সিনেপ্লেক্সের। সব মিলিয়ে আয় কোটি তো পার হবেই।’

শুরুতে আশা জাগিয়েও পরে পিছিয়ে পড়ে ‘নীলচক্র’। সিনেমাটির শোর সংখ্যা কমে যায়। কমতে থাকে আয়। পরিচালক মিঠু খান বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতে পরিকল্পনা আছে ঢাকার বাইরে বড় পরিসরে মুক্তি দেওয়ার। আশা করছি, সেখানে আরও দর্শক পাব। জুলাই থেকে দেশের বাইরে বড় পরিসরে মুক্তি পাবে। সেখান থেকেও ভালো আয় হবে।’ পরিচালক না বললেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্স থেকে আয় করেছে ২৩ লাখের বেশি টাকা।

অল্পসংখ্যক হল নিয়ে আলোচনায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়ছে। সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার জানান, ক্রমান্বয়ে হল ও দর্শকসংখ্যা বাড়ছে। তিনি জানান, অল্পসংখ্যক শো হলেও বেশির ভাগই ছিল হাউসফুল। সেটা তাদের প্রত্যাশিত আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। পরিচালক বলেন, ‘আমাদের ছবিটি মিডিয়াম বাজেটের। আমরা আয় যেমন করছি, তেমনি দর্শকদের কাছ থেকে ভালো প্রশংসা পাচ্ছি। এটা কিন্তু আমাদের অর্জন। সিনেমাটিতে নিম্নবিত্ত মানুষের গল্প বলা হয়েছে। সেটা বহু দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে। ভবিষ্যতে ঢাকার বাইরেও আমাদের সিনেমা মুক্তি পাবে। আয়েও আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। তবে একটু সময় লাগবে।’

একটি সূত্র জানায়, শুধু মাল্টিপ্লেক্স থেকেই সিনেমার আয় ১৬ লাখের মতো। ইতোমধ্যে সিনেমার স্বত্বও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। সিনেমার পরিবেশক অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান বলেন, ‘আয় কত হলো, এটাকে আমরা ফোকাস করতে চাই না। কারণ, ঈদে “তাণ্ডব”ই সবচেয়ে বেশি আয় করছে। তার ধারেকাছেও অন্য সিনেমা নেই। তার মানে এই নয়, অন্য সিনেমা ভালো নয়।

‘এশা মার্ডার’ অনেক ভালো সিনেমা। সিনেমাটির আয় কিন্তু তুলনামূলক কম। কারণ, হলসংখ্যা কম পেয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা সিনেমাটি পুরো দেশ ও বিদেশে প্রবাসী দর্শকদের কাছে নিয়ে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘আয় নিয়ে এখন অনেক কথা হচ্ছে। এতে শিল্পী–কলাকুশলীরা ভাবছেন, পুরো আয়ের টাকা প্রযোজক পাচ্ছেন। তারা পারিশ্রমিক বাড়াচ্ছেন। আসলে কিন্তু গ্রস সেল থেকে কমটাই প্রযোজক পায়। সেটার হিসাব কেউ জানছে না।’ একটি সূত্র জানায়, ‘টগর’ সিনেমার আয় ১৪ লাখের মতো। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ঈদের সিনেমাগুলো কত আয় করলো

প্রকাশের সময় : ০৩:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। সিনেমার মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় মেগাস্টার শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’। রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যায় ও শোতে এখনো এগিয়ে রয়েছে। আয়েও রেকর্ড গড়েছে। পাশাপাশি অন্য সিনেমাগুলোও দর্শকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এ সিনেমাগুলোর আয়ের দিক থেকে বলা যায় নতুন দিনের মুখ দেখছে ঢালিউড।

ঈদে মাল্টিপ্লেক্সে ২৮টি শো দিয়ে যাত্রা শুরু করে তাণ্ডব, এখন সিনেমাটির প্রদর্শনীর সংখ্যা ৪৫। এ ছাড়া শতাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুক্তি পায় ‘তাণ্ডব’। সিনেমাটির আয় প্রসঙ্গে প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আমরা প্রথম পাঁচ দিনের হিসাব পেয়েছি। সেখানে আমাদের গ্রস সেল পাঁচ কোটির বেশি। এই আয় আরও বাড়বে। মাঝখানে কিছুটা দর্শক কমলেও এখন আবার আগের মতো দর্শক দেখছেন।’ সিনেমার প্রযোজনা–সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, সিনেমাটির পরবর্তী পাঁচ দিনের আয় আরও চার কোটি টাকার বেশি।

এদিকে শুরুতে মাল্টিপ্লেক্সে ৯টি প্রদর্শনী পেয়েছিল ‘উৎসব’। পরিচালক তানিম নূর সিনেমাটি মুক্তির আগের দিন জানিয়েছিলেন, দর্শক পছন্দ করলে তাদের সিনেমার হল বাড়বে। সেটাই হয়েছে। আয়েও এগিয়ে রয়েছে ‘উৎসব’। এখন সিনেমাটির ১৫টি শো চলছে।

পরিচালক তানিম বলেন, ‘আমাদের সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্সে কয়েকটি শো নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে দর্শক সিনেমাটি গ্রহণ করেছে। পরে হলসংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে সিনেমাটি দর্শকদের দেখাতে চাই।’ তিনি জানান, গত ৯ দিনে ‘উৎসব’ আয় করেছে এক কোটির বেশি টাকা। এ হিসাব গত সোমবার পর্যন্ত। এ আয়ের সঙ্গে গত দুই দিনে যোগ হবে আরও ২০ লাখ টাকার বেশি।

ঈদে হলসংখ্যায় ২ নম্বরে ছিল ‘ইনসাফ’। সিনেমাটির ব্যবসায়িক সফলতায় খুশি প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তবে তাণ্ডব সিনেমার কারণে তারা কিছুটা পিছিয়ে আছেন বলে জানালেন। খসরু বলেন, ‘আমাদের সিনেমা সামনে আরও ভালো চলবে। কারণ, বিভিন্ন হল থেকে তাণ্ডব নেমে গেলে আমরাই নতুন হিসেবে ঢুকব। সেভাবেই হলমালিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’ সব মিলিয়ে সিনেমায় আয় কত—এমন প্রশ্নে এই প্রযোজক বলেন, ‘যেটা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটা শুধু সিনেপ্লেক্সের। সব মিলিয়ে আয় কোটি তো পার হবেই।’

শুরুতে আশা জাগিয়েও পরে পিছিয়ে পড়ে ‘নীলচক্র’। সিনেমাটির শোর সংখ্যা কমে যায়। কমতে থাকে আয়। পরিচালক মিঠু খান বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতে পরিকল্পনা আছে ঢাকার বাইরে বড় পরিসরে মুক্তি দেওয়ার। আশা করছি, সেখানে আরও দর্শক পাব। জুলাই থেকে দেশের বাইরে বড় পরিসরে মুক্তি পাবে। সেখান থেকেও ভালো আয় হবে।’ পরিচালক না বললেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্স থেকে আয় করেছে ২৩ লাখের বেশি টাকা।

অল্পসংখ্যক হল নিয়ে আলোচনায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়ছে। সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার জানান, ক্রমান্বয়ে হল ও দর্শকসংখ্যা বাড়ছে। তিনি জানান, অল্পসংখ্যক শো হলেও বেশির ভাগই ছিল হাউসফুল। সেটা তাদের প্রত্যাশিত আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। পরিচালক বলেন, ‘আমাদের ছবিটি মিডিয়াম বাজেটের। আমরা আয় যেমন করছি, তেমনি দর্শকদের কাছ থেকে ভালো প্রশংসা পাচ্ছি। এটা কিন্তু আমাদের অর্জন। সিনেমাটিতে নিম্নবিত্ত মানুষের গল্প বলা হয়েছে। সেটা বহু দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে। ভবিষ্যতে ঢাকার বাইরেও আমাদের সিনেমা মুক্তি পাবে। আয়েও আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। তবে একটু সময় লাগবে।’

একটি সূত্র জানায়, শুধু মাল্টিপ্লেক্স থেকেই সিনেমার আয় ১৬ লাখের মতো। ইতোমধ্যে সিনেমার স্বত্বও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। সিনেমার পরিবেশক অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান বলেন, ‘আয় কত হলো, এটাকে আমরা ফোকাস করতে চাই না। কারণ, ঈদে “তাণ্ডব”ই সবচেয়ে বেশি আয় করছে। তার ধারেকাছেও অন্য সিনেমা নেই। তার মানে এই নয়, অন্য সিনেমা ভালো নয়।

‘এশা মার্ডার’ অনেক ভালো সিনেমা। সিনেমাটির আয় কিন্তু তুলনামূলক কম। কারণ, হলসংখ্যা কম পেয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা সিনেমাটি পুরো দেশ ও বিদেশে প্রবাসী দর্শকদের কাছে নিয়ে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘আয় নিয়ে এখন অনেক কথা হচ্ছে। এতে শিল্পী–কলাকুশলীরা ভাবছেন, পুরো আয়ের টাকা প্রযোজক পাচ্ছেন। তারা পারিশ্রমিক বাড়াচ্ছেন। আসলে কিন্তু গ্রস সেল থেকে কমটাই প্রযোজক পায়। সেটার হিসাব কেউ জানছে না।’ একটি সূত্র জানায়, ‘টগর’ সিনেমার আয় ১৪ লাখের মতো। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।