নিউইয়র্ক ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরাইলি হামলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন স্থগিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ইসরাইলি হামলায় আগুন লাগার ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন আংশিকভাবে স্থগিত করেছে ইরান। রোববার (১৪ জুন) ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলার আশঙ্কায় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণের বুশেহর প্রদেশের উপকূলে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রটি ইরানের মোট গ্যাস উৎপাদনের প্রধান উৎস। গ্যাসক্ষেত্রটি ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ ইরান। শনিবারের এ হামলাকে ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরাইলি হামলার পর থেকেই আশঙ্কায় তেলের দাম ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। যদিও ওই দিন ইসরাইল তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালায়নি। শুক্রবারের হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়। তেল আবিব বলছে, তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ পরিকল্পনা থামাতেই এই অভিযান।
ইরানের তেল মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার ফলে সেখানে আগুন লেগেছিল। তবে তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তাসনিম বলছে, দক্ষিণ পার্সের ১৪ নম্বর ফেইজের চারটি ইউনিটের একটিতে এই আগুন লাগে। যার ফলে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
ইরান বছরে প্রায় ২৭৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন করে, যা বৈশ্বিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ৬.৫ শতাংশ। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা এই গ্যাস রপ্তানি করতে পারে না, তাই গ্যাসের প্রায় পুরোটাই দেশে ব্যবহার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক্সনমোবিল ও ব্রিটিশ শেলসহ আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সহায়তায় কাতার প্রতিবছর এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে প্রায় ৭৭ মিলিয়ন টন তরল গ্যাস উৎপাদন করে। এসব গ্যাস ইউরোপ ও এশিয়ায় রফতানি করে কাতার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরাইলি হামলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন স্থগিত

প্রকাশের সময় : ০১:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

হককথা ডেস্ক: ইসরাইলি হামলায় আগুন লাগার ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন আংশিকভাবে স্থগিত করেছে ইরান। রোববার (১৪ জুন) ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলার আশঙ্কায় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণের বুশেহর প্রদেশের উপকূলে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রটি ইরানের মোট গ্যাস উৎপাদনের প্রধান উৎস। গ্যাসক্ষেত্রটি ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ ইরান। শনিবারের এ হামলাকে ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরাইলি হামলার পর থেকেই আশঙ্কায় তেলের দাম ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। যদিও ওই দিন ইসরাইল তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালায়নি। শুক্রবারের হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়। তেল আবিব বলছে, তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ পরিকল্পনা থামাতেই এই অভিযান।
ইরানের তেল মন্ত্রণালয় জানায়, হামলার ফলে সেখানে আগুন লেগেছিল। তবে তা নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তাসনিম বলছে, দক্ষিণ পার্সের ১৪ নম্বর ফেইজের চারটি ইউনিটের একটিতে এই আগুন লাগে। যার ফলে প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
ইরান বছরে প্রায় ২৭৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদন করে, যা বৈশ্বিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ৬.৫ শতাংশ। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা এই গ্যাস রপ্তানি করতে পারে না, তাই গ্যাসের প্রায় পুরোটাই দেশে ব্যবহার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক্সনমোবিল ও ব্রিটিশ শেলসহ আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সহায়তায় কাতার প্রতিবছর এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে প্রায় ৭৭ মিলিয়ন টন তরল গ্যাস উৎপাদন করে। এসব গ্যাস ইউরোপ ও এশিয়ায় রফতানি করে কাতার।