নিউইয়র্ক ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
বিশ্বব্যাংকের সম্মেলনে যোগ দেবেন ২২ থেকে ২৩ এপ্রিল

নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের মতবিনিময় ১৯ এপ্রিল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ডঃ আহসান এইচ মনসুর ১৯ এপ্রিল, শনিবার বিকেল ৫টায় নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ফ্যাসিবাদী আমলে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে গভর্নর নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে অবহিত করবেন। আগামী ২২ থেকে ২৩ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংকের গুরুত্বপূর্ন একটি সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন ড. মনসুর। এই সম্মেলনে যোগদানের পূর্বে ১৮ এপ্রিল বিকেলে নিউইয়র্ক পৌছবেন তিনি। তার আগমন উপলক্ষে স্থানীয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করছে। অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠান ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর নিউইয়র্কের বাংলাদেশী রেমিট্যান্স হাউজ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সাথে মিলিত হবেন। এর বাইরে নিউইয়র্কে অন্য কোন অনুষ্ঠানে গভর্নরের যোগদানের কোন কর্মসূচী নেই বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা। যিনি গভর্নরের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকটির গভর্নর ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। এজন্য সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে মোটা অংকের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সাফল্যের প্রমাণ রেখেছেন তিনি। গত মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পৌছেছে বাংলাদেশে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে গভর্নরের মতবিনিময় অনুষ্ঠানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসীরা। এমন উদ্যোগের জন্য তারা নিউইয়র্ক কনস্যুলেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশী রেমিট্যান্স হাউজগুলোর কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এবিসিসিআই)’র চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ বলেন, দেশের মতো প্রবাসেও ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে রুখে দিতে হবে। সংঘবদ্ধ এসব চক্র এখনো দেশের ক্ষতিসাধনে সক্রিয়। তিনি গভর্নরকে নিউইয়র্কে স্বাগত জানান।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ধন্যবাদ জানান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ করে দেয়ায়। তারা বলেন, বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা যদি অর্থপাচারকারীদের কথিত রেমিট্যান্স মেলায় অংশ নেয়ার অপচেষ্টা করেন তাহলে তাদেরকে রুখে দেয়া হবে।
এদিকে দেশের অর্থ পাচারকারী চিহ্নিত সিন্ডিকেট মিথ্যে তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তথা কথিত একটি রেমিট্যান্স মেলায় অংশ নেয়ার যে অপচেষ্টা চালান, তা ভেস্তে গেছে বলে জানা যায়। তারপরও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কথিত রেমিট্যান্স মেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অংশগ্রহণ নিয়ে বিজ্ঞাপন (যা মিথ্যে প্রচারণা হিসেবে বলছেন কেউ কেউ) অব্যাহত রেখেছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে নূন্যতম কোন সম্পৃক্ততা নেই এমন প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই দেশের অর্থ পাচারে ফ্যাসিবাদের লুটেরাদের দোসর হিসেবে কাজ করে আসছে অভিযোগ উঠছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিশ্বব্যাংকের সম্মেলনে যোগ দেবেন ২২ থেকে ২৩ এপ্রিল

নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের মতবিনিময় ১৯ এপ্রিল

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ডঃ আহসান এইচ মনসুর ১৯ এপ্রিল, শনিবার বিকেল ৫টায় নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ফ্যাসিবাদী আমলে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে গভর্নর নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে অবহিত করবেন। আগামী ২২ থেকে ২৩ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংকের গুরুত্বপূর্ন একটি সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন ড. মনসুর। এই সম্মেলনে যোগদানের পূর্বে ১৮ এপ্রিল বিকেলে নিউইয়র্ক পৌছবেন তিনি। তার আগমন উপলক্ষে স্থানীয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করছে। অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠান ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর নিউইয়র্কের বাংলাদেশী রেমিট্যান্স হাউজ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সাথে মিলিত হবেন। এর বাইরে নিউইয়র্কে অন্য কোন অনুষ্ঠানে গভর্নরের যোগদানের কোন কর্মসূচী নেই বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা। যিনি গভর্নরের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বিরামহীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকটির গভর্নর ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। এজন্য সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে মোটা অংকের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সাফল্যের প্রমাণ রেখেছেন তিনি। গত মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পৌছেছে বাংলাদেশে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে গভর্নরের মতবিনিময় অনুষ্ঠানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসীরা। এমন উদ্যোগের জন্য তারা নিউইয়র্ক কনস্যুলেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশী রেমিট্যান্স হাউজগুলোর কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এবিসিসিআই)’র চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ বলেন, দেশের মতো প্রবাসেও ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে রুখে দিতে হবে। সংঘবদ্ধ এসব চক্র এখনো দেশের ক্ষতিসাধনে সক্রিয়। তিনি গভর্নরকে নিউইয়র্কে স্বাগত জানান।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ধন্যবাদ জানান প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ করে দেয়ায়। তারা বলেন, বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা যদি অর্থপাচারকারীদের কথিত রেমিট্যান্স মেলায় অংশ নেয়ার অপচেষ্টা করেন তাহলে তাদেরকে রুখে দেয়া হবে।
এদিকে দেশের অর্থ পাচারকারী চিহ্নিত সিন্ডিকেট মিথ্যে তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তথা কথিত একটি রেমিট্যান্স মেলায় অংশ নেয়ার যে অপচেষ্টা চালান, তা ভেস্তে গেছে বলে জানা যায়। তারপরও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কথিত রেমিট্যান্স মেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অংশগ্রহণ নিয়ে বিজ্ঞাপন (যা মিথ্যে প্রচারণা হিসেবে বলছেন কেউ কেউ) অব্যাহত রেখেছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে নূন্যতম কোন সম্পৃক্ততা নেই এমন প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই দেশের অর্থ পাচারে ফ্যাসিবাদের লুটেরাদের দোসর হিসেবে কাজ করে আসছে অভিযোগ উঠছে।