নিউইয়র্ক ০২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসভবনে বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে উদযাপন

গ্রেসি ম্যানশন হয়ে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে তৃতীয় বারের মতো উদযাপিত হলো ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে’। বাংলাদেশ সোসাইটির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ইস্ট রিভারের পাড়ে মেয়রের সরকারি বাসভবন ‘গ্রেসি ম্যানশন’-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি প্রশাসন ছাড়াও জনপ্রতিনিধি আর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশীর উপস্থিতিতে ‘গ্রেসি ম্যানশন’ হয়ে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ, পরিণত হয় বাংলাদেশীদের মিলনমেলায়। ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী সংস্কৃতির আদলে সাজানো হয় ভবনটি।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ৪জন ব্যক্তির হাতে সম্মাননা তুলে দেন মেয়র অ্যাডাম। বাঙালীর অবিস্মরণীয় বিজয়গাথা নিয়ে অলোচনা করা হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ছিলো বাঙালি খাবারও। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার এক অন্যরকম সন্ধ্যা কেটেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী কমিউনিটির ভূয়সী প্রসংশা করেন আফ্রিকান-আমেরিকান মেয়র এরিক অ্যাডামস। বলেন, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশীদের অবদান অনস্বীকার্য। ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশীরা নিউইয়র্ক সিটিকে বসবাসের চমৎকার একটি জনপদে পরিণত করতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। সিটি প্রশাসনের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার থেকে সিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বাংলাদেশী-আমেরিকানরা। পুলিশ প্রশাসনেও বাংলাদেশীদের অবদান অনস্বীকার্য।
বহুজাতিক নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক এডামস বলেন, আপনাদের মতোই আমিও একটি কমিউনিটির সদস্য। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের পথে আমেরিকান রাজনীতি ও প্রশাসনের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে ভোটের ময়দানে আপনারাও বিজয় অর্জনে সক্ষম হবেন। এখনই সময় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের শক্তিশালী সিটিতে নিজের ভয়েস তুলে ধরার। বলেন, আমার বিশ্বাস একদিন বাংলাদেশী-আমেরিকান এই সিটির মেয়র হবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেয়র অফিসের চীফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার বাংলাদেশী-আমেরিকান মীর বাশার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। মীর বাশার সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন য়ের অফিসের মুসলিম অ্যাফেয়ার্স বিভাগের মোহাম্মদ মাহাদী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জাঁকজমকভাবে বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মেয়রের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। বাংলাদেশীদের সঙ্গে মেয়রের আন্তরিক সম্পর্কের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, মেয়র এরিক অ্যাডামস বাংলাদেশীদের জন্য সবসময় তার দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন, বাংলাদেশীদেরকে আপন মনে করেন। তিনি বারবার বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়ে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দেশের সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশী কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাবেক এমপি এম এম শাহীন, নুসরাত ফজল, জয়া করিম এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম-কে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। মেয়র তাদের হাতে সম্মাণনা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী রানো নেওয়াজ এবং উদীয়মান শিল্পী অনিক রাজ। সেতারে বাউল কালা মিয়া ও ঢুলি শফিক বাঙালী সংস্কৃতির হৃদয়কাড়া সুর তুলে ধরে উপস্থিত সবাইকে উজ্জীবিত করেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসভবনে বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে উদযাপন

গ্রেসি ম্যানশন হয়ে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে তৃতীয় বারের মতো উদযাপিত হলো ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে’। বাংলাদেশ সোসাইটির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ইস্ট রিভারের পাড়ে মেয়রের সরকারি বাসভবন ‘গ্রেসি ম্যানশন’-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি প্রশাসন ছাড়াও জনপ্রতিনিধি আর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশীর উপস্থিতিতে ‘গ্রেসি ম্যানশন’ হয়ে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ, পরিণত হয় বাংলাদেশীদের মিলনমেলায়। ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী সংস্কৃতির আদলে সাজানো হয় ভবনটি।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ৪জন ব্যক্তির হাতে সম্মাননা তুলে দেন মেয়র অ্যাডাম। বাঙালীর অবিস্মরণীয় বিজয়গাথা নিয়ে অলোচনা করা হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ছিলো বাঙালি খাবারও। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার এক অন্যরকম সন্ধ্যা কেটেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী কমিউনিটির ভূয়সী প্রসংশা করেন আফ্রিকান-আমেরিকান মেয়র এরিক অ্যাডামস। বলেন, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশীদের অবদান অনস্বীকার্য। ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশীরা নিউইয়র্ক সিটিকে বসবাসের চমৎকার একটি জনপদে পরিণত করতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। সিটি প্রশাসনের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার থেকে সিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বাংলাদেশী-আমেরিকানরা। পুলিশ প্রশাসনেও বাংলাদেশীদের অবদান অনস্বীকার্য।
বহুজাতিক নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক এডামস বলেন, আপনাদের মতোই আমিও একটি কমিউনিটির সদস্য। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের পথে আমেরিকান রাজনীতি ও প্রশাসনের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে ভোটের ময়দানে আপনারাও বিজয় অর্জনে সক্ষম হবেন। এখনই সময় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের শক্তিশালী সিটিতে নিজের ভয়েস তুলে ধরার। বলেন, আমার বিশ্বাস একদিন বাংলাদেশী-আমেরিকান এই সিটির মেয়র হবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেয়র অফিসের চীফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার বাংলাদেশী-আমেরিকান মীর বাশার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। মীর বাশার সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন য়ের অফিসের মুসলিম অ্যাফেয়ার্স বিভাগের মোহাম্মদ মাহাদী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জাঁকজমকভাবে বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মেয়রের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। বাংলাদেশীদের সঙ্গে মেয়রের আন্তরিক সম্পর্কের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, মেয়র এরিক অ্যাডামস বাংলাদেশীদের জন্য সবসময় তার দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন, বাংলাদেশীদেরকে আপন মনে করেন। তিনি বারবার বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়ে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দেশের সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশী কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাবেক এমপি এম এম শাহীন, নুসরাত ফজল, জয়া করিম এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম-কে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। মেয়র তাদের হাতে সম্মাণনা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী রানো নেওয়াজ এবং উদীয়মান শিল্পী অনিক রাজ। সেতারে বাউল কালা মিয়া ও ঢুলি শফিক বাঙালী সংস্কৃতির হৃদয়কাড়া সুর তুলে ধরে উপস্থিত সবাইকে উজ্জীবিত করেন।