নিউইয়র্ক ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • / ১৫৮ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তিনি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন) বন্ধ করা। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে, এই উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি চূড়ান্ত বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

সিএনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা বিভাগ বর্তমানে প্রায় ৪,৪০০ কর্মী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বার্ষিক বাজেট প্রায় ৭৯ বিলিয়ন ডলার। এই বিভাগটি স্কুলগুলোতে ফেডারেল তহবিল বিতরণ, ছাত্র ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চশিক্ষার মানদণ্ড নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম বন্ধ করা হবে, তবে ছাত্র ঋণ, পেল গ্রান্ট ও টাইটেল আই তহবিল সংরক্ষণ করে অন্যান্য সংস্থায় স্থানান্তর করা হবে।

এই উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকদের সংগঠনগুলো মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফেডারেল সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে এবং এটি বন্ধ হলে শিক্ষার মান ও সুযোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

শিক্ষা সচিব লিন্ডা ম্যাকমাহনকে এই রূপান্তর প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো অব্যাহত রাখা যায়। তবে, অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, শিক্ষা বিভাগ বন্ধ হলে সরকারি তহবিল বণ্টন ও শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে অসংগতি দেখা দিতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। তবে, সমালোচকদের দাবি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা আরও বৈষম্যমূলক হয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক এখনো চলমান রয়েছে, এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এই আদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। সূত্র :সিএনবিসি

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তিনি এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন) বন্ধ করা। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে, এই উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি চূড়ান্ত বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

সিএনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা বিভাগ বর্তমানে প্রায় ৪,৪০০ কর্মী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বার্ষিক বাজেট প্রায় ৭৯ বিলিয়ন ডলার। এই বিভাগটি স্কুলগুলোতে ফেডারেল তহবিল বিতরণ, ছাত্র ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চশিক্ষার মানদণ্ড নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম বন্ধ করা হবে, তবে ছাত্র ঋণ, পেল গ্রান্ট ও টাইটেল আই তহবিল সংরক্ষণ করে অন্যান্য সংস্থায় স্থানান্তর করা হবে।

এই উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকদের সংগঠনগুলো মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় ফেডারেল সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে এবং এটি বন্ধ হলে শিক্ষার মান ও সুযোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

শিক্ষা সচিব লিন্ডা ম্যাকমাহনকে এই রূপান্তর প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো অব্যাহত রাখা যায়। তবে, অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, শিক্ষা বিভাগ বন্ধ হলে সরকারি তহবিল বণ্টন ও শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে অসংগতি দেখা দিতে পারে, যা শিক্ষার্থীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য। তবে, সমালোচকদের দাবি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা আরও বৈষম্যমূলক হয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক এখনো চলমান রয়েছে, এবং কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এই আদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। সূত্র :সিএনবিসি