নিউইয়র্ক ০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রকাশ হচ্ছে কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১২২ বার পঠিত

ছয় দশকের বেশি সময় ধরে চলা অপেক্ষার অবসান। আজ মঙ্গলবারই (১৮ মার্চ) জনসমক্ষে আসছে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ‘রহস্যময়’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮০ হাজার পাতার গোপন নথি। ওই নথিতে কী-কী অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে কৌতুহল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন জন এফ কেনেডি। তার মর্মান্তিক মৃত্যু গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জন এফ কেনেডি মারা যাওয়ার ৫ বছর বাদে ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাঁর ভাই তথা যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর রবার্ট এফ কেনেডি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।

ওই তিন নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট এতদিন জনসমক্ষে আসেনি। দশকের পর দশক জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নানা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে গ্যালাপের এক সমীক্ষায় ৬৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলেছিলেন, লি হার্ভে অসওয়াল্ড একাই জন এফ কেনেডিকে হত্যা করেছিলেন বলে ওয়ারেন কমিশন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তা তারা বিশ্বাস করেন না।

কোনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই দেশের তিন জনপ্রিয় নেতার গুপ্তহত্যার নথি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে কোনও উ‍ৎসাহ দেখাননি। তবে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই কেনেডি ভ্রাতৃদ্বয় এবং মাটিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পরে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকানিরা বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছেন। এবার সবকিছু প্রকাশ করা হবে।’

ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তার কাকার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘অকাট্য’ ও ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ রয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।

 

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রকাশ হচ্ছে কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ছয় দশকের বেশি সময় ধরে চলা অপেক্ষার অবসান। আজ মঙ্গলবারই (১৮ মার্চ) জনসমক্ষে আসছে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ‘রহস্যময়’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮০ হাজার পাতার গোপন নথি। ওই নথিতে কী-কী অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে কৌতুহল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন জন এফ কেনেডি। তার মর্মান্তিক মৃত্যু গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জন এফ কেনেডি মারা যাওয়ার ৫ বছর বাদে ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাঁর ভাই তথা যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর রবার্ট এফ কেনেডি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।

ওই তিন নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট এতদিন জনসমক্ষে আসেনি। দশকের পর দশক জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নানা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে গ্যালাপের এক সমীক্ষায় ৬৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলেছিলেন, লি হার্ভে অসওয়াল্ড একাই জন এফ কেনেডিকে হত্যা করেছিলেন বলে ওয়ারেন কমিশন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তা তারা বিশ্বাস করেন না।

কোনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই দেশের তিন জনপ্রিয় নেতার গুপ্তহত্যার নথি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে কোনও উ‍ৎসাহ দেখাননি। তবে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই কেনেডি ভ্রাতৃদ্বয় এবং মাটিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পরে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকানিরা বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছেন। এবার সবকিছু প্রকাশ করা হবে।’

ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তার কাকার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘অকাট্য’ ও ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ রয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।