‘নেতানিয়াহুর চেয়ে ট্রাম্প বেশি ইসরায়েলি দেশপ্রেমিক’

- প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
- / ১৩৪ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চেয়েও বেশি ইসরায়েলি দেশপ্রেমিক। তিনিই জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য সরাসরি হামাসের সাথে কথা বলছেন। সোমবার (১০ মার্চ) সকালে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সংবিধান, আইন ও বিচার কমিটিতে গাজায় বন্দী থাকা এক সেনার ভাই ইয়েহুদা কোহেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি যে, আমাদের সরকারের চেয়ে আমেরিকানদের কাছে জিম্মিদের মুক্ত করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে পার্লামেন্টের সাথে কথা বলছি, যার সরকার এসব পর্যালোচনা করার কথা। পার্লামেন্ট নীরব – একটি শব্দও বলছে না।
কোহেন প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘নেতানিয়াহু কী করছেন?’ তিনি বলে, ১৭ মার্চ পর্যন্ত নেতানিয়াহু দিন গুনছেন। তার আগ্রহের বিষয় হলো বাজেট বিল, তার আগ্রহের বিষয় হলো জোটের সাথে টিকে থাকা। এর ফলে নেতানিয়াহু হয়তো ফৌজদারি বিচার সত্ত্বেও আরও দুই বছর টিকে থাকার সুযোগ পাবে। আরেক বন্দী নিমরোদের ভাই ইয়োটাম সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টে হবে যদি তিনি জানতেন, তাহলে তার ভাইকে চাকরি শুরু করার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে বলতেন। কারণ, এতে তার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেত।
ইয়োটাম অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সরকার জিম্মিদের প্রতি ততটা যত্নশীল নয়, যতটা আমেরিকা নাগরিকদের প্রতি কাজ করে। তিনি পার্লামেন্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দেশের নাগরিক হওয়ার মূল্য কী? আমি কেন ইসরায়েলি বাহিনীতে অবদান রাখলাম? আমার ভাই কেন অবদান রাখলো? আমার বোন এখনো ইসরায়েলি বাহিনীতে কেন? কিসের জন্য?
তিনি উল্লেখ করেন, এমন কিছু দিন ছিল যখন একজন সেনা অফিসার হিসেবে তিনি ইউনিফর্ম পরে ঘুরে বেড়াতে গর্বিত ছিলেন। ইয়োটাম বলেন, কিন্তু এখন আর তা নেই। এখন এমন কিছু দিন আছে, যখন আমি ইসরায়েলি নাগরিকত্ব ধারণ করতে লজ্জা বোধ করি। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।